নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৯
নতুন মন্ত্রীদের কম কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের আগে মন্ত্রণালয়ের কাজ পর্যবেক্ষন এবং বোঝার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা পরামর্শ দেন। যেসব মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী তাদের আগে মনোযোগ দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ বোঝার জন্য বলেছেন। সময় নিতে বলেছেন। মন্ত্রণালয়ে বসেই ‘এটা করে ফেলবো ওটা করে ফেলবো বলে উচ্চাশা বাড়ালে পরে সমলোচিত হতে হবে।’ সূত্র মতে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম , সরকারের অগ্রাধিকার এসব সম্পর্কে আগে সম্যক ধারনা নিতে বলেছে। এরপর মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং বিভাগের কাজগুলো পর্যালোচনা করতে বলেছেন। সূত্রমতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুরো মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম যখন বুঝবে তখন মন্ত্রণালয় চালানো সহজ হবে। নতুন মন্ত্রীদের তিনি সার্বক্ষণিকভাবে নির্বাচনী ইশতেহার সঙ্গে রাখতে বলেছেন। মন্ত্রণালয়ের কাজের সঙ্গে ইশতেহারকে মিলিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা এবং অগ্রাধিকার চূড়ান্ত করতে বলেছেন। একজন উপ-মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী তিন ধরণের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হলো- স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নের লক্ষ্য স্থির করতে বলেছেন। অন্য একজন প্রতিমন্ত্রীকে সব বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো করলে পরে ‘হালকা’ হয়ে যাবে বলেও ওই প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। মিডিয়ায় চেহারা দেখানোর চেয়ে জনগণের জন্য বেশি করে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন নতুন মন্ত্রী হওয়া একজনকে। সূত্রমতে তাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভালো কাজ করলে সবাই তো দেখবে, মিডিয়াও ভালো বলবে। কিন্তু কিছু না করে মিডিয়াতে বেশি কথা বললে জনগণ বিরক্ত হবে, মিডিয়াও সমালোচনা করবে।’
অন্য একজন মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী আগের মন্ত্রিসভার সমালোচনা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীত্ব পাওয়া মন্ত্রীকে বলেছেন, আগের মন্ত্রীরা ব্যর্থ না। তাছাড়া উন্নয়নের ধারাবাহিকতার কথা আমরা বলছি। আগের মন্ত্রীদের সমালোচনা করলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয়। তারা (আগের মন্ত্রীরা) যেখান থেকে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই নতুনদের শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রায় সব মন্ত্রীকেই প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামীকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে সবগুলো মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যাবেন। এখানে তিনি মন্ত্রণালয়ের কাজ সম্পর্কে নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখবেন। আগামী ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে তিনি মন্ত্রীদের কাজ কর্ম সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো বলছে, নতুন মন্ত্রীসভাকে প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাখতে চান। মন্ত্রীরা যেন কোন ভাবেই বিতর্কিত না হন সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।