নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯
বেনাপোল বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে এসিড ও ভারী পণ্য রাখায় বন্দরের আশেপাশে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় বাড়িঘর ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী মানুষ। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষ বিষয়টি অভিযোগ আকারে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসলেও কোনো কাজ হয়নি। অসংখ্য মানুষ এসিডের বিক্রিয়া ও শব্দ দূষণে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।
বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালের গা ঘেষে বসবাসকারী বদরুল আলম ও আব্দুল জব্বার জানান, বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক রাখার কথা। কিন্তু সেখানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাখা হচ্ছে আমদানিকৃত এসিড ও লৌহ জাতীয় দ্রব্য। সেখানে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য নির্মিত হয়েছে বাথরুম। তা সত্ত্বেও পাশের ড্রেনেই প্রাকৃতিক কাজ সারছে ড্রাইভাররা। ফলে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
ট্রাক টার্মিনালে পণ্য রাখায় সারাদিন ভারী পণ্যসহ অ্যাসিড জাতীয় পণ্য লোড আনলোড হচ্ছে। রাতে বিকট শব্দে বন্দরের পাশ্ববর্তী লোকজন সমস্যার মুখে পড়ছে। বিশেষ করে বিশাল ওজনের আমদানিকৃত সিআরকয়েল ও বোল্ডার আনলোডের সময় বিকট শব্দে মাটি পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। ফলে এলাকায় যেন আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখনো ট্রার্মিনালের ভেতরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তখন এলাকাবাসী বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রাচীর দিয়ে গোটা এলাকাবাসীকে ঘিরে ফেলেছে। দীর্ঘদিন সমাধানের দাবি করেও কোনো সমাধান মেলেনি তাদের। ফলে কয়েক হাজার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠন সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমানসহ ১৯৪ টি পরিবার স্বাক্ষরিত একটি আবেদন করা হয় বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র স্বাক্ষরিত বন্দরের পাশ্ববর্তী ৯ দশমিক ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশপত্র পাঠান। সর্বশেষ এ বছরের ত তারিখ এলাকাবাসী বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিলের সঙ্গে মানবিক বিষয়টি তুলে ধরে সমাধান চাইলে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশ্বস্থ করেন। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও উওেজনা বিরাজ করছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দু জলিল জানান, বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে বন্দরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি অচিরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন।
মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী।
মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।
এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।
লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।