কালার ইনসাইড

বিএনপিপন্থী শিল্পীরা কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

এই যে শিল্পীদের পরিচয় গান কিংবা অভিনয়ের মাধ্যমে, তা হয়তো তারা ভুলে যান। শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমতো দলীয় হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। একদল ক্ষমতায় আসলে অন্যদলকে নিষিদ্ধ করা নিয়মে পরিণত হচ্ছে। আমরা মনে করি শিল্পীর গুন থেকে বিচার করা হোক। সে আওয়ামী লীগ না বিএনপি সেটা বড় কথা নয়। অতীতের এমন রীতি পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী। তিনি অনুদান দিলে বেছে দেন না, আমজাদ হোসেন বিএনপি করতেন কিংবা জাতীয় পুরস্কারের ক্ষেত্রে ভাবেন না, গাজী মাজহারুল আনোয়ার কোন দল করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী পর্যায় থেকে মানুষগুলো কতটা নিরপেক্ষ হতে পারছেন? নিরপেক্ষ না হয়ে তাহলে কাদের সুবিধা দিচ্ছেন? যারা সুবিধা নিচ্ছেন, তারা কি এই জন্যই দলে এসেছেন?

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, শিল্পীদের ভরা মৌসুম। নির্বাচনের আগে দলবেধে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন শিল্পী সমাজের প্রায় সবাই। সবটাই ভালবেসে কিনা বোঝা দায়! কারণ প্রায় সবাই নিশ্চিত ছিলেন আওয়ামী লীগই ফের ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগে নাম লেখানো কিনা কে জানে! এমনকি কাজকর্ম বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচারণায় তাদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। এমন সময় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির সমর্থনে কি কোন শিল্পী নেই? বিএনপিপন্থী শিল্পীরা অবশ্য দাবি করেছেন,‘অনেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের প্রথম সারির সদস্য ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। আমাদের দলের নেতাদের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। আজ ক্ষমতা নেই, তারাও নেই। ক্ষমতায় আসলে বোঝা যেত কে বিএনপি কে আওয়ামী লীগ।’

এই যে চুপিচুপি দলবদল। তাদের কথা বাদই দিলাম। ক্ষমতায় ফিরতে ব্যার্থ বিএনপির সঙ্গে যেসব শিল্পী ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাদের খোঁজ রাখি আমরা? এমন কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা যেমন নিজেদের কথা জানিয়েছেন। তেমনি বিএনপিপন্থী যাদের খোঁজ নেই তাদের খবরও। ২০১৩ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন কনকচাঁপা। এ বছর সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান। দল ক্ষমতায় নেই বলে কী পেশাদায়িত্বে কোন সমস্যা হচ্ছে? ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত গান করতে পারছি না। চলচ্চিত্রে কিছু ডাক পাই। কিন্তু স্টেজে ডাক খুব একটা পাওয়া হয় না। এর পেছনে কারণ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব প্রগ্রামের আয়োজন করে। সেখানে আমার তো সিল লাগানো। এতে দু:খবোধ হয়, আমাকে শিল্পী হিসেবে মূল্যায়ন করুণ। রাজনীতি করা আমার অন্য আরেকটি কাজ।’

মনির খান বলেন,‘ অনেকেই বলছে আমি দলে ফিরছি। এটা মিথ্যা তথ্য। আমি নিজে বক্তব্য দিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এখনো আমার সিদ্ধান্তে অনড়। রাজনীতিতে আর ফিরব না। রাজনীতি আমার কাছে খুব যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়। এটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে এই যা।’

নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে বলেন,‘ নিজের সামর্থ্যে যতটকু সম্ভব সেবা করবো। তবে এখন পুরো মনোযোগ গানে। ইউটিউবে দুটি চ্যানেল গড়েছি-‘মনির খান অফিশিয়াল চ্যানেল’ ও ‘মনির খান এমকে মিউজিক টোয়েন্টিফোর’। নতুন নতুন গান প্রকাশ করছি। প্রশংসাও পাচ্ছি। শ্রোতা-দর্শকরা বলছেন, আপনি গানের মানুষ গানেই থাকেন। স্টেজ কিংবা সিনেমার গানে কন্ঠ দেওয়ার ইচ্ছে আছে। ডাকলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল মামা ছিলেন কট্টর আওয়ামী লীগ আর আমি বিএনপি। আমরা কিন্তু একসঙ্গে বহুবছর পথ চলেছি। কে দল করেছে আর সে ক্ষমতায়। এটা ভাবা ঠিক নয়। এটা শিল্পকে ধ্বংস করে দিবে।’

একশিল্পী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘ মনির খানদের কোন সমস্যা হবে না। জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে জেলে যাওয়া নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ-খবরও তিনি কখনো নেননি। এমনকি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার দিন সিঙ্গাপুরে শো করতে যান। সিঙ্গাপুর থেকে অসংখ্য নেতাকর্মী মালয়েশিয়ায় কোকোর জানাযায় অংশ নিলেও যাননি মনির খান। দেশে বিদেশে শো নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সংগঠনে সময় দিতে পারেননা তিনি। এবার নমিনেশন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তো জাসাসের দায়িত্ব থেকেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তলে তলে তার শো কিন্তু ঠিকই চলে।’

মনির খানের প্রতি যে কথা উঠেছে। এমন অনেকেই আছে, সরকারী লোকদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপিপন্থী শিল্পীদের তালিকায় আছে আসিফের নামও। কিন্তু সে অনেক আগ থেকেই দলের কোন কর্মকান্ডে নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও সে সমানে তার ব্যস্ততা ধরে রেখেছেন। বেবি নাজনীন সঙ্গীত জগত থেকে নিজ ইচ্ছায় অনেকটা গুটিয়ে রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করেছেন। ন্যানসি আছেন পারিবারিক সমস্যায়। তবে তিনি নানা সময় অভিযোগ করেছেন,‘ যখন তিনি কোন দলের সমর্থণ দেন। তারপর থেকে তার স্টেজ শো কমে শুন্যের খাতায় নেমে আসে। অনেক জায়গায় ফিক্সড হলেও তা পরিবর্তন হয়ে যায়।’

জাসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদেরও নেই কর্মব্যস্ততা। মনিরুজ্জামান মনির গান লেখেননা অনেকদিন। ইথুন বাবুও সুর তুলেন না। তবে বাদশা বুলবুল ও রিজিয়া পারভীন আশাবাদী। তারা বলেন,‘ আমরা টুকটাক গানে নিয়মিত হচ্ছি। কিন্তু একদল আছে যারা নিজেদের ক্ষমতাসীন দাবি করে রেডিও, টিভি, স্টেজ দখল করে আছেন। কি করার! আমরা শিল্পী। কাজ করতে চাই।’ দুজনারই অনেকদিন ধরে নতুন গান নেই বলে জানা যায়। শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা সিনেমা জগত ছেড়েছেন অনেকদিন হলো। তিনি অশ্লীল নায়িকা বলে পরিচিত। তিনি আর সিনেমায় নয়, রাজনীতিতেই সময় কাটাবেন বলে জানান। দলের হাইকমান্ডের অপেক্ষায় আছে। গাজী মাজহারুল আনোয়ার অসুস্থ। জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মাজাহার আলী (শিবা সানু) ভিলেন হিসেবে পরিচিত। তিনি নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হন। এখন পর্যন্ত তাকে ছাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা কে, কত তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের কি সম্পত্তি আছে তা জানার আগ্রহ সবারই আছে। কারণ এই সব নায়িকাদের বিলাশবহুল জীবন-যাপন সবাইকেই আশ্চর্যন্বিত করে। ভারতের দক্ষিণী চলচিত্রের নয়নতারার কথায় ধরা যাক, তার নিজের প্লেন রয়েছে। তাই অনেকে ভাবেন তিনি বোধহয় ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা। আবার কারও কারও ধারণা আলিয়া বা দীপিকাই সবচেয়ে ধনী।

কিন্তু সাধারণ মানুষের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ভারতের সর্বোচ্চ ধনী নায়িকার মুকুট এখনো সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের দখলে। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি।

সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা বচ্চন পরিবারের এই বৌমাই। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি। প্রতি বছর শুধু মাত্র ব্র্যান্ড এনডরসমেন্ট থেকে ঐশ্বর্যর আয় হয় ৮০-৯০ কোটি। একদিনের কোন- ইভেন্টের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন - কোটি।

তালিকার দুই নম্বরে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬২০ কোটি রুপি। ভারতের ধনী নায়িকাদের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন আলিয়া ভাট। তার মোট সম্পদ ৫১৭ কোটি রুপি।

এই তালিকায় কারিনা কাপুর খান আছেন চতুর্থ স্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮৫ কোটি রুপি। এরপরের অবস্থানটি দীপিকা পাডুকোনের। এই অভিনেত্রী ৩১৪ কোটি রুপির মালিক।

এছাড়াও আনুশকা শর্মা (তার মোট সম্পত্তি ২৫৫ কোটি), মাধুরী দীক্ষিত নেনে (তার মোট সম্পত্তি ২৪৮ কোটির), কাজল (তার মোট সম্পত্তি ২৪০কোটির), ক্যাটরিনা কাইফ (তার মোট সম্পত্তি ২২৪ কোটির), শিল্পা শেঠি (তার মোট সম্পত্তি ১৫৮ কোটির), নয়নতারা (তার মোট সম্পত্তি ২০০ কোটির) রানি মুখার্জি (তার মোট সম্পত্তি ২০০কোটির)


ধনী নায়িকা   ঐশ্বরিয়া   সম্পত্তি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে : অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ‘কাজলরেখা’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তীর। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। রাজ-মন্দিরার নতুন এই জুটি দর্শকরাও পছন্দ করেছে।

তারই রেশ ধরে এই জুটির প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিশেষ করে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে শরিফুল রাজের সংসার ভাঙার পরে তাদের প্রেমের গুঞ্জনে নতুন বাতাস লেগেছে। বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন মন্দিরা।

যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিজীবনে প্রেমের সম্পর্কে আছেন। তবে কার সঙ্গে প্রেম করছেন সেটা ফাঁস করতে চান না। একইসঙ্গে এই অভিনেত্রী মনে করেন, প্রত্যেকের জীবনেই প্রেম থাকা উচিত।

মন্দিরা বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। প্রেম ছাড়া একজন মানুষ ভাল থাকতে পারে না। বাস্তব জীবনে আমারও প্রেম আছে। তবে এখন প্রেম করলেও বিয়ে করার ইচ্ছা নেই। বিয়ে করার জন্য পরিবার থেকেও চাপ নেই। তাই কাজেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছি।’

এসময় রাজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘রাজ আমার অনেক ভালো বন্ধু। বন্ধু থেকে প্রেমিক অনেকেরই জীবনে হয়। তবে আমার জীবনে এমনটা হবে না। সে আমার ভালো বন্ধুই থাকবে।’

 

 


মন্দিরা চক্রবর্তী   শরিফুল রাজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ছেলে আরিয়ানের নির্দেশনায় ওয়েব সিরিজে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০১:২৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। বি-টাউনের বাঘাবাঘা নির্মাতা তাকে নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। এবার শাহরুখ একদমই নতুন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন। ছেলে আরিয়ান খানের নির্দেশনায় ওটিটিতে দেখা যাবে তাকে।

অভিনয়ের থেকে আরিয়ান খানকে পরিচালনাই বেশি টানে। এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন শাহরুখ পুত্র। বাবাকে নিয়ে এরই মধ্যে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন। এবার আর বিজ্ঞাপনে নয়। শাহরুখকে দেখা যাবে আরিয়ানের পরিচালনায় ওয়েব সিরিজে, যা হতে যাচ্ছে তার প্রথম ওয়েব সিরিজ।

গণমাধ্যমটির সূত্রমতে, সিরিজটির শুটিং এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন এডিটিংয়ের পালা। সিরিজে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে। সিরিজের নাম স্টারডম। শাহরুখের চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।

আরিয়ান খান তার প্রথম সিরিজের জন্য বেশ কয়েকবার খবরে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি ববি দেওলও তার প্রোজেক্টে এন্ট্রি নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এ সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ববিকে। তার একটি অভিনব ভূমিকাও থাকবে। যেটি একজন সাধারণ মানুষ যা ভাবেন, তার থেকে একেবারেই আলাদা।


আরিয়ান   ওটিটি   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

দর্শকের জন্যই বারবার ফিরে আসি: অভিনেত্রী রিচি

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। এখন সংসার-সন্তান নিয়েই তার ব্যস্ততা। তবে সুযোগ পেলেই ফিরে আসেন দেশে। সময় কাটান সহকর্মীদের সঙ্গে। সম্প্রতি মা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রিচি।

মা দিবস নিয়ে শুরুতেই রিচি বলেন, ‘বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর সব মাকে আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। তাদের জন্যই আজ পৃথিবী এত সুন্দর। প্রতিটি সন্তানের সফলতার পেছনেই মায়েদের অবদান রয়েছে। তাই এমন একটি দিনে আমার মাকেও আমার কাজের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে। যার জন্য আমি গর্বিত।’

অনেকদিন ধরেই রিচির নতুন কোনো কাজ নেই। তবে ভালো কাজ হলে অবশ্যই তা করবেন তিনি। এমনটা জানিয়ে রিচি আরও বলেন, ‘ভালো গল্প হলে অবশ্যই কাজ করব। আমার পছন্দ হলেই আমি কাজ করি, যা আগেও বলেছি। কারণ দেশের মানুষ আমাকে অভিনয়ের মাধ্যমে চেনে। দূরে থাকলেও দর্শকের সঙ্গে আমার আত্মার একটি যোগাযোগ রয়েছে। সে কারণেই সুযোগ পেলে দেশের দর্শকের জন্য বারবার ফিরে আসি আমি।’

রিচি সোলায়মান নব্বই দশক থেকে একাধারে বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করে দেশ ও দেশের বাইরে নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সব মিলিয়ে ২০টির মতো নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাশেকুর রহমানকে বিয়ে করেন রিচি সোলায়মান। এরপর থেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।


অভিনেত্রী   রিচি   সোলায়মান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই লক্ষ রুপি আয় ওরির

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র দু’বছরের মধ্যে বলিপাড়ার তারকাদের ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছেন ওরহান অবত্রমানি ওরফে ওরি। জাহ্নবী কাপুর, সুহানা খান থেকে সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে, এমনকি দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের পাশেও দেখা গেছে ওরিকে।

তিনি ছবিতে অভিনয় করেন না। শুধু ছবি তোলেন। তার সঙ্গে ছবি নেই, ভারতে এমন তারকা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর!  তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ রুপি উপার্জন করেন তিনি! সেই অর্থের অঙ্কটা নাকি দৈনিক ২০-৩০ লাখ আবার কখনও কখনও ৫০ লাখ ছোঁয়।

বলিপাড়ার যেকোনও পার্টি হোক, কিংবা বিয়েবাড়ি অথবা জন্মদিন, ওরি ছাড়া যেন অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ। নেটপাড়ায় তিনি পরিচত মুখ। তার নিত্যনতুন দামি পোশাক কিংবা ফোনের কভার অথবা চুলের ছাঁট নিয়ে নেটিজেনদের উৎসাহ রয়েছে। পাশপাশি, অনেকেরই কৌতহূল রয়েছে তার আয়ের উৎস নিয়ে।

সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এসে তিনি জানান, ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। করণ জোহরের এজেন্সি তার কাজ দেখাশোনা করে। তবে সিনেমা করতে রাজি নন তিনি। অতো খাটাখাটনি করতে পারবেন না, সাফ কথা এই তারকার।

স্রেফ তারকাদের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। ওরির কথায়, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি ছবি তুলি, আর সেই ছবি পোস্ট করার জন্য আমি টাকা পাই। এক রাতেই ওই সব ছবি পোস্ট করে আমি ২০-৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করি। তা ছাড়া আমাকে বিয়েতে লোকে ডাকেন। তাদের বিয়েতে ছবি তোলার জন্য ১৫-২০ লক্ষ টাকা দেন।’ সেই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে নাকি বাড়ে টাকার অঙ্ক! পাশপাশি, ওরি এ-ও জানান শুধুই কাজ নয়, মানুষকে আনন্দ দিতেও চান তিনি।


তারকা   রুপি   ওরি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন