নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে যে বিপুল সংখ্যক তারকা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল তাদেরকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের অনেকেই সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পেলেও তারা যেন হতাশ না হন, তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকেন এবং আওয়ামী লীগের চিন্তা চেতনাকে লালন করেন, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রাতে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন তাদের সবাই কিছু পাওয়ার আশায় আসেনি। তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখেছে, ভাল কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এসেছে। কাজেই সবাইকে মতলববাজ বা সুযোগসন্ধানী বলা ঠিক হবে না। একটা ভাল পরিবেশ দেখে এসকল তারকারা এসেছে। এদেরকে কাজে লাগাতে হবে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের আদলে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন বা নাটকের তারকাদের আওয়ামী লীগ কাজে লাগাতে চায়। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপ কমিটি, শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদেরকে কীভাবে সংযুক্ত করা যায় সেটা খতিয়ে দেখার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেন যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়, সে ব্যাপারেও তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র বলেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক তারকা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা যে তাদেরকে ডেকে এনেছি তা নয়। বরং আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা মনে করেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগকে প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের আবেগ ও অনুভূতি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।’
তিনি জানান যে, ‘মনোনয়ন দেয়াটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। সবাই মনোনয়ন পায় না। দল করলেও অনেকে মনোনয়ন পায় না। মনোনয়ন না পেলেই যে হতাশ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বরং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আমরা তাদেরকে যুক্ত করবো।’
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান হবে। এই কার্যক্রমে কিভাবে তাদেরকে কাজে লাগানো যায় সে পরিকল্পনা আওয়ামী লীগ গ্রহণ করছে। একইভাবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানে তারকাদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
একটা সময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ আওয়ামী লীগ থেকে বিমুখ ছিল। তারা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা চাইতো না। এখন যেহেতু তারা উৎসাহ দেখিয়েছে। এই উৎসাহকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে দল ও সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা জরুরি। কারণ তাদেরকে যদি সম্পৃক্ত না করা হয় তাহলে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে। এই যোগাযোগটা আওয়ামী লীগ অব্যাহত রাখতে চেয়েছে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।