নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
টানা তৃতীয়বারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবারের মত দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর একটি লক্ষ্য স্পষ্ট। সেটি হলো, তিনি তরুণদের তুলে আনতে চান। তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনতে চান। এমপি মনোনয়ন, নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য মনোনয়ন এবং উপজেলা মনোনয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি কথা স্পষ্ট করেছেন তাহলো, তিনি এখনি আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরী করতে চান। নতুন নেতৃত্বকে যোগ্য এবং আগামী দিনের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতে চান। এবার মন্ত্রিসভায় তিনি যেমন তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছেন, পাশাপাশি তিনি তরুণদের নিয়ে নতুন সাংগঠনিক বিন্যাস করার ব্যাপারেও লক্ষ্য স্থির করেছেন। সেটা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
তরুণদের যেমন তিনি উৎসাহ দিচ্ছেন। তরুণদের যেমন তিনি আগামী দিনের আওয়ামী লীগ এবং সরকার পরিচালনার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে চাইছেন। তেমনি তার কিছু পছন্দের তারুণ্য স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর যে কয়েকজন স্নেহ ধন্য হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যাদের নিজের হাতে গড়ে তুলতে চাচ্ছেন, এবারের সরকার বিন্যাসে তা সুস্পষ্ট হয়েছে। এদেরকেই প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য নিজ হাতে তৈরী করছেন। এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
এদের মধ্যে অন্যতম হলেন...
এনামুল হক শামীম: দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী তাকে গড়ে তুলছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের জন্য মনোনিত করেছিলেন। তিনি ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৯৬-২০০১ সালের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবেও এনামুল হক শামীম কাজ করেছিলেন। গত কাউন্সিলে এনামুল হক শামীমকে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য এই সাবেক ছাত্র নেতাকে এবারই প্রথম মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন পেয়েই তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বোঝা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর আপাত স্নেহ তার কাছে আছে এবং প্রধানমন্ত্রী তা দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োগ করছেন। তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার একটা পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল: আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় রক্ষক প্রয়াত মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান তিনি। মহীউদ্দীন চৌধুরির মৃত্যুর পর থেকেই নওফেল প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ ধন্য হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মহাজোটের একজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নওফেলকে মনোনয়ন দেন। প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পরই তাকে শিক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে যে নওফেল আছেন তা খুবই স্পষ্ট।
বিপ্লব বড়ুয়া: তিনি একজন ব্যারিস্টার। তিনি নির্বাচন করেননি, কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের ব্যাক্তিতে পরিনত হন। নির্বাচনের পরেও তিনি দলীয় কর্মকান্ডে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে দাপ্তরিক কাজে আওয়ামী লীগে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। আব্দুল মান্নান খান, আব্দুস সোবহান গোলাপদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পরে দক্ষ এবং সার্বক্ষনিক দাপ্তরিক কাজের জন্য একজন দরকার ছিল। সে দায়িত্বটা বিপ্লব বড়ুয়া অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করছেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সুনজড়েও তিনি এসেছেন। এবার তিনি মনোনয়ন চাননি, মনোনয়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশও করেননি। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ তার প্রতি আরও বেড়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে।
আনজুম সুলতানা সীমা: কুমিল্লা অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ে তিনি। তাকে কুমিল্লা সিটি করপোরশনের নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জন্য সেই নির্বাচনে আনজুম সুলতানা বিজয়ী হতে পারেননি। বিজয়ী না হলেও প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ থেকে তিনি বঞ্চিত হননি। এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে আনজুমকে নির্বাচিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্নেহ যে তার প্রতি রয়েছে, এটা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় সবাই জানেন। এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে তাকে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য গড়ে তুলতে চান তা স্পষ্ট হয়েছে।
এছাড়াও আরও অনেক তরুণ রয়েছে, যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত পরিচর্যা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরী করছেন। তারাই হয়তো আগামী দিনে দলের মূল কান্ডারি হবেন। সেজন্যই তিনি দলকে প্রস্তুত করছেন। তৃতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সরকারে যেমন নতুন রক্ত প্রবাহ সঞ্চালন করতে চেয়েছেন, তেমনি আগামী দিনের আওয়ামী লীগ প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।