নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
কথায় বলে, সবার জীবনেই নাকি প্রেম আসে। চরম কর্কশ ব্যক্তিটিও নাকি জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে প্রেমে পড়েন। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির জটিল সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন যারা, যাদের মাথার মধ্যে কিলবিল করে রাজনীতির হাজারো মারপ্যাঁচ, তারা কি জীবনে আসলেই কখনও প্রেমে পড়েছেন? তাদের জীবনসঙ্গীরাই বা কেমন? যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বেশকিছু দেশের রাষ্ট্রনেতাদের প্রেম, বিয়ে কিংবা জীবনসঙ্গী সম্পর্কে কম বেশি জানি আমরা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে তো হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বরাজনীতির শীর্ষস্থানীয় নেতা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল কিংবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র জীবনসঙ্গীরা যেন পর্দার আড়ালেই থেকে যান। তাদের আসলেই কোনো জীবনসঙ্গী আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দিহান হয়ে পড়েন অনেকেই। চলুন দেখে নিই কয়েকজন বিশ্বনেতার প্রেম-পরিণয়ের কাহিনী।
অ্যাঞ্জেলা মেরকেল- জোয়াকিম সয়্যার
জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মেরকেলকে অনেকেই খিটমিটে স্বভাবের বুড়ো দাদির সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির এই কড়া হেডটিচারের জীবনেও প্রেম এসেছে। বার্লিনের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রিতে গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় কোয়ান্টাম রসায়নবিদ জোয়াকিম সয়্যারের সঙ্গে প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দু’জনের রসায়ন গড়ায় বিয়েতে। যা অমলিন আছে আজও।
সরকারি প্রাসাদের বদলে নিজেদের বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করেন এই জুটি। বার্লিনের ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’র কাছে একটি পুরনো ফ্ল্যাটেই থাকেন তারা। ছুটি পেলেই দুজনে চলে যান উকারমার্ক নামের ছোট্ট এক শহরে। ব্যস্ততা না থাকলে সুপার মার্কেটে গিয়ে দুজন মিলে সাপ্তাহিক বাজারটাও করে ফেলেন একসঙ্গে। এক নির্বাচনী প্রচারণায় মেরকেল জানিয়েছিলেন, তিনি কেক তৈরি করতে ভালোবাসেন। আর তা মনমতো না হলে স্বামীর অনুযোগও শুনতে হয় তাঁকে। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই দম্পতি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ‘ফিট’ থাকতে সময় পেলেই মুক্ত বাতাসে হেঁটে বেড়াতে পছন্দ করেন।
থেরেসা মে-ফিলিপ জন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বেশ কয়েক মাস ধরেই যেন ব্রেক্সিটের বেড়াজালেই আটকে আছেন। তাই বলে ভেবে বসবেন না যে, তার কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই। তার স্বামী ফিলিপ জন একজন বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংকার। বেশ কয়েক মাস প্রেম করে ১৯৮০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঘর বেঁধেছিলেন এই জুটি। নিঃসন্তান এই দম্পতি সুযোগ পেলেই ফুরফুরে হাওয়ায় ঘুরে বেড়ান বলে জানা যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প-মেলানিয়া ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিভিন্ন সফর বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একসঙ্গেই দেখা যায়। কিন্তু এই দম্পতির মধ্যে ভালোবাসা যে কতটুকু তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। মেলানিয়াকে বিয়ে করার আগেও ট্রাম্প বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, সেটা তো সবারই জানা। ট্রাম্পের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও এখন ওপেন সিক্রেট। ট্রাম্প-মেলানিয়ার সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, একে অপরের হাতে হাত রেখে, হাসিমুখেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন পার্টিতে। এর একটি কারণও আছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের স্ত্রী অর্থাৎ ফার্স্ট লেডি অনেকটা আনুষ্ঠানিক একটি পোস্ট। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফর বা হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডির উপস্থিতি অনেকটা অপরিহার্যই বলা চলে।
ইমানুয়েল ম্যাখোঁ- ব্রিজিত ম্যাখোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ আর ব্রিজিত ম্যাখোঁর প্রেমকাহিনী যেন সিনেমা নাটককেও হার মানায়। ম্যাখোঁ কিশোর বয়সে তার টিচার ব্রিজিতের প্রেমে পড়েছিলেন। সন্তানের এই অবুঝ প্রেম ভেস্তে দিতে ম্যাখোঁর মা-বাবা ব্রিজিতের বাড়িতে গিয়ে তাকে শাসিয়েও এসেছিলেন। ২৫ বছরের বড় ব্রিজিতকে ম্যাখোঁ যখন বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। শোনা যায়, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে ম্যাখোঁ ব্রিজিতের সন্তানদের অনুমতি নিয়েছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।
এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি এ হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।
গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত ও সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল বিমানঘাঁটি ড্রোন হিজবুল্লাহ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।
এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত ও আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় গাজা ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ এ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।
মন্তব্য করুন
পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।
পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?
স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। এ সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।
ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।
এ ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক এ রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।
ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের এ অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এ সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমা শক্তি
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় গাজা ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।