ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির কাছে ১২০ কোটি টাকা ফেরত চায় জামাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বিএনপির সঙ্গে জামাতের সম্পর্ক যতটা না আদর্শিক, তার চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি এবং জামাতের সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যে তাদের অর্থনৈতিক যোগসূত্রের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। জামাত তার নীতি নির্ধারনী সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএনপি যদি জামাত থেকে আলাদা হয় তাহলে তারা ১২০ কোটি টাকা ফেরত চাইবে। যে অর্থ অতীতে জামাত বিএনপিকে দিয়েছিল। বিএনপির সঙ্গে ১৯৯৬ এর পর থেকে জামাতের ঐক্য গড়ে উঠেছিল। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইসলামী দেশগুলো এবং পাকিস্তানের কাছ থেকে যে অর্থগুলো বাংলাদেশে আসে সেই অর্থের মূল বাহক জামাত। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এই সমস্ত অর্থ জামাত সংগ্রহ করে বিএনপিকে দিত। যখন বিএনপির একটি অংশ জামাত থেকে আলাদা হতে চাইছে, তখন জামাত মনে ভিন্ন চিন্তা। জামাত যে অর্থগুলো বিএনপিকে দিয়েছিল তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, নির্বাচন পরিচালনার জন্য, সেই অর্থগুলো বিএনপির ফেরত দিতে হবে। জামাতের সর্বশেষ বৈঠকে, যেখানে ২০ দলের ভবিষ্যৎ এবং বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। সেখানে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা চমকপ্রদ। সেই তথ্যে দেখা গেছে যে, এবারের নির্বাচনের জন্যও জামাত বিএনপিকে টাকা দিয়েছে। এই টাকা পাকিস্তান থেকে লন্ডনে গিয়েছে। 

উল্লেখ্য যে, এবারের নির্বাচনে জামাতের ২২ জনকে ধানেরশীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছিল। জানা যায় যে, কোন জনপ্রিয়তা বা জামাতের প্রতি কোন ভালোবাসার জন্য নয়। এই অর্থের বিনিময়ে জামাত ২২ টি মনোনয়ন কিনেছিল। এই টাকা লন্ডনে পরিশোধ করা হয়েছিল। ‘জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ’ যদিও তাদের নাম পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। এফবিআইর মতামত অনুযায়ী জামাত হলো আন্তর্জাতিক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। পাকিস্তান বা অন্যান্য দেশের জামায়াত ইসলামের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। এবং একই আদর্শ নিয়ে তারা পরিচালিত হয়। সেইজন্য বাংলাদেশে সংগঠন পরিচালনা, নির্বাচনসহ অন্যান্য তৎপরতার জন্য জামাত আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ পায়। কিছুদিন আগ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে জামাতের অর্থ পাওয়া ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এই সমস্ত অর্থের একটি বড় অংশ জামাত দিত বিএনপিকে।

এবারের নির্বাচনই শুধু নয়, বিভিন্ন সময়ে জামাত যে অর্থ দিয়েছে সে সমস্ত নিয়ে জামাতের নীতি নির্ধারক বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।  এর মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে যখন আন্দোলন শুরু হয় তখন সে আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে টাকা দিয়েছিল জামাত। কথা ছিল যে, বেগম খালেদা জিয়া ২০ দল নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে আন্দোলন করবে। সেই প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া বেশ কিছু জনসভায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু পরে জনমতের চাপে বেগম খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দেওয়া হয় এ নিয়ে যেন তারা তেমন কথাবার্তা না বলেন। যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপির নিশ্চুপ থাকার একটি বড় কারণ ছিল অর্থপ্রাপ্তি।

২০০১ সালে জামাতের দুজন মন্ত্রী হন। এরা হলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মুজাহিদ। এ দুজনকেই মন্ত্রী করার জন্য জামাত তৎকালীন সময়ে বিএনপিকে অর্থ দিয়েছিল বলে ওই বৈঠকে উঠে এসেছে।

১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি এবং জামাতের সম্পর্কের টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে বিএনপিই জামাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কারণ জামাত যখন বিএনপি থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল, তখন বিএনপির মধ্যপ্রাচ্যসহ পাকিস্তান থেকে বিএনপির একার পক্ষে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্যই মূলত আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের জন্য জামাতের সঙ্গে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরে চারদলীয় জোট গঠন করা হয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়। ঐ নির্বাচনেও পাকিস্তানের আইএসআই বিএনপিকে যে বিপুল পরিমাণের টাকা দিয়েছিল, তা জামাতের মাধ্যমেই দিয়েছিল। জামাত তাদের রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারনের সর্বশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে , যদি জামাত আলদা হয় বিএনপি থেকে, তাহলে বিভিন্ন সময়ে বিএনপিকে আন্দোলন, সংগ্রাম এবং নির্বাচনের জন্য যে অর্থ দিয়েছিল সে অর্থগুলো ফেরত দিবে। প্রাথমিক হিসেবে দেখা গেছে, অর্থের পরিমাণ ১২০কোটি টাকার কাছাকাছি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, মূলত আর্থিক কারণেই তারেক জিয়া জামাত থেকে আলাদা হতে চান না। ২০ দলকে নিয়েই তিনি রাজনীতি করতে চান। কিন্তু জামাত বিএনপির সঙ্গে থাকায় শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও অশ্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে বিএনপির সঙ্গে জামাতের সখ্যতা থাকলে বা সম্পর্ক থাকলে বিএনপিকেও তারা একটি মৌলবাদী দক্ষিনপন্থী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করবে। সে হিসেবে বিএনপির সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি আদায় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পরবে। সেই বিবেচনা থেকেই বিএনপি যখন জামাত থেকে আলাদা হতে চাইছে, তখন তাদের অর্থনৈতিক ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। 



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। কারণ গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক সেটিই আমরা চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছে, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকে তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল তাবোল বলে। এখন দেখি আরো সিনিয়র নেতারাও আবোল তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। উনারা আশা করেছিলেন কী না কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিলেন দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরো গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এতিমখানায় খাবার দেবে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। 

বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। 

একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন করা হবে।

পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   এতিমখানা   আওয়ামী লীগ   উপ-কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি, দাবি ফখরুলের

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান বদলায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (১৫ মে) যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে জোটের শরিকদের ধারাবাহিক বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু’র সফর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের অবস্থানেই আছে, জনগণের চাওয়া-পাওয়ার বিপক্ষে তারা না। তবে কূটনৈতিক স্বার্থে যেকোনো সরকারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখে থাকে।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
  
তিনি বলেন, সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই কাজ করছে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা। 

যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রথম দফায় গণফোরামের একাংশ ও পিপলস্ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে লিঁয়াজো কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দ্বিতীয় দফায় গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা আরও ছয়টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
  
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দুই দফা ডোনাল্ড লু’র সফর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের চার মাস পর ফের ঢাকায় এলেন লু। তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন ডোনাল্ড লু।  বিমানবন্দরে লু’কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলের ভেতরের কোন্দল, বিভক্তি এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দলকে ব্যবহার করা, দলের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করা এই সমস্ত বিষয়গুলোকে একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। 

তিনি বলেন, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ব্যস্ত। এবার আওয়ামী লীগ তাঁর প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর বার্ষিকী পালন করবে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের আবেগ অনুভূতি রয়েছে। ইতোমধ্যে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণভাবে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এখন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক পরপরই আওয়ামী লীগের ভেতর যারা কোন্দল সৃষ্টি করছেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় মাই ম্যান তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ লঙ্ঘন করছেন এবং দলের ভেতর নানা রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এই তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যে সমস্ত মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন উপজেলা নির্বাচনে এবং জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকায় কোন্দল জিইয়ে রেখেছেন তাদের সঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, সতর্ক করবেন এবং কোন্দল মিটিয়ে ফেলার জন্য একটি আল্টিমেটাম দেবেন। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা কোন্দল না মেটায় এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন গ্রহণ করা হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি অনেক সহ্য করেছেন। নির্বাচনের পর থেকে তিনি বারবার বলছেন যে, দলের ভেতরে যেন কেউ বিভক্তি সৃষ্টি না করে, নির্বাচনের পর এখন সকলে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে কিন্তু বাস্তবতা হল যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তারা কারও কথাই শুনছেন না। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আহ্বানও সাড়া দেয়নি মন্ত্রী-এমপিরা। এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন যে, কোন কোন মন্ত্রী, এমপির আত্মীয়রা চর দখলের মতো এলাকা দখলের জন্য আধিপত্য বিস্তার করছেন এবং আত্মীয়করণ করছেন। যারা এটির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের নামের তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। তবে যারা দলের ভেতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন এবং কোন্দল সৃষ্টি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু বলেননি। তারা মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন