নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
তারেক জিয়াকে উপদেষ্টা করা সহ পাঁচ দফা প্রস্তাব নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত শুক্রবার রাতে তিনি লন্ডনে পৌঁছান। তার লন্ডন সফর নিয়ে কঠোর ‘গোপনীয়তা’ ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি। যুক্তরাজ্য বিএনপির ঊর্ধ্বতন দু’একজন নেতা ছাড়া সবাই মির্জা ফখরুলের যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে অন্ধকারে আছেন।
আজ কোন এক সময়ে বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, বিএনপি পুনর্গঠন, সরকার বিরোধী মোর্চা এবং আন্দোলনের রূপপরিকল্পনা বিষয়ে পরামর্শের জন্যই তারেক জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির করণীয় সম্পর্কে পাঁচটি প্রস্তাব তারেক জিয়ার সামনে উপস্থাপন করবেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছে। এই পাঁচ প্রস্তাব হলো;
১. তারেক জিয়া আপাততঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। তিনি বিএনপির উপদেষ্টা বা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অলংকারিক দায়িত্ব পালন করবেন।
২. আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বিএনপি জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে। ধর্মান্ধ এবং দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করবে না।
৩. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টই হবে বিএনপির নেতৃত্বে একমাত্র জোট। ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একীভূত হবে।
৪. আপাততঃ কাউন্সিল না করে, আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দল পুনর্গঠন করা হবে। স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং ত্যাগীদের দিয়ে পূরণ করা হবে।
৫. বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত, দলের মহাসচিব ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি মহাসচিব দল পুনর্গঠন করে নতুন করে ধাপে ধাপে আন্দোলনের কথা বলছেন। যদিও দলের মধ্যেই এখন মির্জা ফখরুলের অবস্থা নড়বড়ে। দলের সিনিয়র নেতাদের অধিকাংশই মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিতে চান। দলের এই কোন্দল মেটাতেই তারেক বিএনপি মহাসচিবকে লন্ডনে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপিতে তারেক জিয়ার অবস্থাই আজ নড়বড়ে। দলের একটি বড় অংশ মনে করে বিএনপির বর্তমান দুরাবস্থার জন্য তারেক জিয়াই সবচেয়ে বেশী দায়ী। তার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপির একটি বড় অংশই এখন তারেক জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুজনেরই অপসারণ চায়। তারা চায়, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। যেহেতু, বেগম জিয়া এখন জেলে, তাই স্থায়ী কমিটির যৌথ নেতৃত্বে দল পরিচালিত হওয়া উচিৎ বলেই বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করেন। সেক্ষেত্রে তারেক ফখরুলের বৈঠক বিএনপিকে নতুন সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।