নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
নতুন নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দুই বছর সময় দিতে চায় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা বলেছেন, সম্ভবত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ক্ষমতায় থেকে উদযাপনের জন্যই আওয়ামী লীগ এতো মরিয়া হয়েছিল এই নির্বাচনে। সেজন্যই ২১ সাল পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বড় ধরনের কোন কর্মসূচি নেবে না। তবে ২১ সালের পর থেকে নতুন নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধাপে ধাপে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে চায়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ.স.ম. আবদুর রব বলেছেন,‘এই সংসদ তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না। জনগণের আন্দোলনের মুখেই সরকারকে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।’ তিনি দাবি করেন,‘জনগণ এই নির্বাচনকে মেনে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি তেমন নয়। জনগণ প্রতিরোধের পথ খুঁজছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আগামী দুই বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ধাপে ধাপে এগুতে চাইছে। এই কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে;
১. নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা: এই মামলার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চেষ্টা করবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন,‘ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আমরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রকৃত তথ্য উন্মোচন করবো।’
২. সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনে করে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিএনপিতে সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে। এজন্য তাদের ছয়মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে। ঐক্যফ্রন্টের অন্য দলগুলোই নিজেদের গুছিয়ে নিতে চাইছে আগে। গণফোরাম বলছে, নির্বাচনের সময় তাদের দলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যোগ দিয়েছেন। এজন্য গণফোরামও কাউন্সিলের কথা ভাবছে। আগামী একবছর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলো সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়ানোর কাজেই ব্যস্ত থাকবে।
৩. ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বৃদ্ধি: এই সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বৃদ্ধি করার কাজ করা হবে বলে ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে। গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সকল শক্তিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্ল্যাটফর্মে আনতে চাইছে জোটটি। আগামী একবছরের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের অবয়বে দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে বলেই মনে করছে ফ্রন্টের নেতারা।
৪. জামাত সংকটের সমাধান: নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সবথেকে বিব্রতকর অবস্থায় আছে জামাত ইস্যুতে। জামাত থাকায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, জামাত না ছাড়লে বিএনপির কোন আবেদনেই সাড়া দেয়া হবে না। এরকম বাস্তবতায় জামাত বিলোপ অথবা জামাতকে বিএনপি থেকে আলাদা করার কাজ চলছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে জামাত ইস্যুর ফয়সালা হবে।
৫. নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা: আগামী এক বছরের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছে। এই রূপরেখার ভিত্তিতেই ঐক্যফ্রন্ট ধাপে ধাপে আন্দোলন শুরু করতে চায়।
৬. সুশীলদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক: একবছর পর অর্থাৎ সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সুশীলদের নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম করতে চায়।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টই হবে রাজনীতির প্রধান চরিত্র। তখনই তারা শুরু করবে আসল আন্দোলন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।