ইনসাইড পলিটিক্স

আবারও ক্ষমতাবান উপদেষ্টারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রথমবারের মত সরকার গঠন করে। সেই সরকার এখন পর্যন্ত চলছে। তবে এবার মহাজোট নয়, আওয়ামী লীগ এককভাবেই সরকার গঠন করেছে। জোটকে মন্ত্রিসভা এবং সরকার গঠন থেকে বাইরে রেখেছে। ২০০৮ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মত শপথ নেন, তখন তিনি মন্ত্রিসভায় যেমন চমক দিয়েছিলেন তেমনি তিনি একটি শক্তিশালি উপদেষ্টা মন্ডলী গঠন করেছিলেন। এই উপদেষ্টা মন্ডলী কোন কোন ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার চেয়েও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিল। এই নিয়ে তখন বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময় উপদেষ্টারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তাদের ভূমিকাই ছিল শেষ কথা। যদিও উপদেষ্টারা সংবিধান মতে শপথ গ্রহণ করেন না। তারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হলেও মন্ত্রীর মর্যাদা পায়।

সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন এইচটি ইমাম। তিনি জনপ্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই নাক গলাতেন এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন। এ সময় অনেকে তাকে দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবেও মনে করতেন। সে সময় অন্যান্য উপদেষ্টারাও যথেষ্ঠ ক্ষমতাবান ছিলেন। সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল উপদেষ্টারা যেহেতু গোপনীয়তার শপথ নেন না, সেহেতু তারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন কিনা। এই নিয়ে বিতর্ক হওয়ার প্রেক্ষিতে উপদেষ্টাদের মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দেওয়া হলেও একনেকের বৈঠকে উপদেষ্টারা থাকতেন এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তারা উপদেশ, পরামর্শ দিতেন। সে সময় উপদেষ্টারাই মন্ত্রীদের চেয়ে ক্ষমতাবান ছিলেন বলে জানা যায়।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় আসে, তখন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েটরা সব মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হন। তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মো. নাসিমের মত হেভিওয়েটরা যখন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়েন, তখন উপদেষ্টারা কোনঠাসা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে এই উপদেষ্টারা অনেকটাই কোনঠাসা এবং কর্মহীন হয়ে পড়েন। সে সময় তাদের কর্মকান্ড তেমন চোখে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত ছিল। এ সময় ২০০৮ সালের সবচেয়ে ক্ষমতাবান উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে জনপ্রশাসন থেকে রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে তার ক্ষমতা অনেকটা লোপ পায়। জনপ্রশাসনে তার হস্তক্ষেপও কমে যায়। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে এইচটি ইমামের পুনরুত্থান ঘটে। তিনি আবার নির্বাচন পরিচালনার কো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং টানা তৃতীয় মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন হলেও উপদেষ্টা মন্ডলীতে তেমন পরিবর্তন হয়নি।

২০১৪ সালে যে উপদেষ্টা পরিষদ ছিল, সেই উপদেষ্টা পরিষদই প্রধানমন্ত্রী বহাল রাখে। উপদেষ্টাদের অধিকাংশই টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছে। এই সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মন্ত্রীদের চেয়ে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি।  এবার যেহেতু মন্ত্রিসভার সমস্ত হেভিওয়েটদের আবার বাদ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার অনেকেই নতুন এবং আনকোড়া। প্রথমবারের মত মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন এর সংখ্যা অনেক বেশি। সেখানে উপদেষ্টারা আবার ক্ষমতাবান হয়ে উঠছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। তবে উপদেষ্টারা এখন তাদের ক্ষমতাটা ২০০৮ সালের মত প্রকাশ্যে দেখাচ্ছেন না। তারা গোপনে তাদের ক্ষমতা দেখাচ্ছেন।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা যায় যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে উপদেষ্টারা পরামর্শ , নির্দেশ ইত্যাদি দিচ্ছেন। এবং বিভিন্ন কার্যক্রম করার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে একটা হিসেবে পরিস্কার হয়ে গেছে যে প্রথমত, অধিকাংশ মন্ত্রী উপদেষ্টাদের চেয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে জুনিয়র এবং কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। সেজন্য উপদেষ্টাদের এই কথাগুলো শুনছেন । দ্বিতীয়ত, উপদেষ্টারা যেহেতু প্রায় সবাই তিন মেয়াদের উপদেষ্টা, কিন্তু তিন মেয়াদের মন্ত্রী নেই। সেজন্য মনে করা হচ্ছে তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেই মন্ত্রী এবং আমলারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।  তৃতীয়ত, উপদেষ্টা মন্ডলীর বেশিরভাগই হচ্ছে প্রাক্তন আমলা। এখন যেহেতু সরকারে আমলাদের ক্ষমতা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমলারা তাদের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপদেষ্টাদেরই স্বরণাপন্ন হচ্ছেন। ফলে উপদেষ্টারা মন্ত্রণালয়ের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহল হচ্ছেন এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে তৃতীয় মেয়াদে এসে আবার উপদেষ্টারাই ক্ষমতাবান হয়ে গেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন,   ‘উপদেষ্টারা ক্ষমতাবান হয়েছেন কারণ হলো রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা হ্রাস করে আমলাদের ক্ষমতা বেড়েছে, এজন্য উপদেষ্টারা এখন ক্ষমতাবান হচ্ছেন।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

বিস্তারিত আসছে....


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন