ইনসাইড পলিটিক্স

আবার বি. চৌধুরীতে ঝুঁকছে বিএনপি নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০২ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

বিএনপির একাধিক নেতা আবারও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তবে এই যোগাযোগ বিকল্পধারায় যোগ দেয়ার জন্য নাকি নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যে যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তার অংশ কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিএনপির মধ্যে অধ্যাপক বি. চৌধুরীর একটা প্রভাব বলয় রয়েছে। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নেতা এবং প্রথম মহাসচিব। দীর্ঘদিন বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজেই অধ্যাপক বি. চৌধুরীর অনেক অনুসারী ও শীষ্য বিএনপিতে রয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বি. চৌধুরীর একজন শীষ্য। খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর বি. চৌধুরীর সঙ্গে মির্জা ফখরুল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। অতীতের তিক্ততা ভুলে বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বৃহত্তর জোট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই প্রথমে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়। এই যুক্তফ্রন্ট থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অদৃশ্য কারণে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়েই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়।

অনেকেই মনে করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার ছেলে মাহি বি চৌধুরীকে পছন্দ করেন না এবং শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারা থাকতে পারেনি। তার প্রতিশোধ হিসেবে বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনে দুটি আসন পেয়ে সংসদে আছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসাকারীদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক বি. চৌধুরী। তার ছেলে মাহি বি. চৌধুরীর সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মহলের ঘনিষ্ঠতার কথা জানা যায়।

মনে করা হচ্ছিল, এর মধ্য দিয়েই বিএনপির সঙ্গে বি. চৌধুরীর সম্পর্কের ইতি ঘটে গেছে এবং ২০০১ সালের পর থেকে শুরু হওয়া এই তিক্ততার সম্পর্ক আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বিএনপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা অধ্যাপক বি. চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা আবারও বি. চৌধুরীর কাছে অতীতের তিক্ততার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারা বি. চৌধুরীকে বলেছেন শুধুমাত্র তারেক জিয়ার কারণেই তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেননি। তারা মনে করেন যে বিএনপির এই ক্রান্তিকালে ত্রাতা হিসেবে বি. চৌধুরীর মতো একজন নেতৃত্ব প্রয়োজন। বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, বি. চৌধুরী তাদেরকে বলেছেন তারেক জিয়া যতোদিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবে ততোদিন বিএনপির কোন ভবিষ্যৎ নেই। তারেক জিয়াই বিএনপির বর্তমান পরিণতির জন্য দায়ী।

একটি সূত্র বলছে, বিএনপির কয়েকজন নেতা বি. চৌধুরীকে অনুরোধ করেছেন তিনি যেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটা ঐক্য গঠনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সে উদ্যোগের সঙ্গে অবশ্যই বিএনপি থাকবে। কিন্তু বি. চৌধুরী এরকম উদ্যোগ নিতে অসম্মত হয়েছেন। বরং তিনি বলেছেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ খুবই নাজুক। বিএনপির পরিণতি মুসলিম লিগের মতোই হতে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা যেন বিকল্পধারায় যোগদান করে সেই আহ্বান জানান।

একটি সূত্র বলছে যে, অধ্যাপক বি চৌধুরী মনে করছেন যে, বিকল্পধারাই আগামী দিনে বাংলাদেশে বিরোধী দলের প্রধান প্লাটফর্ম হবে। কারণ বিএনপি বিলুপ্ত হয়ে গেলে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামিক মূল্যবোধসম্পন্ন কোনো মূলধারার রাজনৈতিক দল থাকবে না। সে জায়গাটা একমাত্র বিকল্পধারাই দখল করে নিতে পারবে। তবে এখনও বিএনপির মধ্যে একটি অংশ মনে করছে, অধ্যাপক বি চৌধুরী বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল রয়েছেন, বিএনপির প্রতি তাঁর মমত্ববোধ রয়েছে। তাঁর সঙ্গে যা করা হয়েছে সেটা অন্যায়। মান-অভিমান ভুলে বিএনপির এই ক্রান্তিকালে বিএনপির একজন নেতৃত্ব দরকার। তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

বিএনপির যারা যোগাযোগ করছেন তারা অনেকেই ড. কামাল হোসেনের উপর বিরক্ত। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল তারা তা পালন করতে পারছেন না। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকলে বিএনপির যে আদর্শিক অবস্থান তা ক্ষুণ্ণ হতে বাধ্য। কারণ ড. কামাল হোসেন একবারও জিয়াউর রহমানের নাম মুখে নেন না। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তাকে স্বীকার করেন না। তাছাড়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদেও বিশ্বাস করেন না। এরকম ব্যক্তির নেতৃত্বে ঐক্য করার চেয়ে জাতীয়তাবাদী নেতা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নেতা বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্য করাই ভালো। এটা নিয়ে বিএনপির মধ্যেও নানারকম টানাপোড়েন চলছে।

এ নিয়ে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে, যারা অধ্যাপক বি চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করছেন তাঁরা আসলে কোনো ঐক্য বা জোট নয় তারা বিএনপি ছাড়ার পায়তারা করছেন। ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন, এই পদত্যাগকারীরাও অধ্যাপক বি. চৌধুরীর কাছে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান মনে করেন যে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি বিরোধী দল গঠন করার জন্যই বিএনপিকে ভাঙার প্রক্রিয়া চলছে। এ লক্ষ্যে যেহেতু বি. চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটা অতীত সম্পর্ক আছে তাই তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

যদিও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহি বি চৌধুরী এ ধরণের ভাবনাকে অমূলক ও ভিত্তীহীন বলে অভিমত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপির যে অবস্থা তাতে বিএনপিতে কোনো সুস্থ রাজনীতিবিদ থাকতে পারবে না। তাঁরা অন্যান্য জায়গা খুঁজছে। সেখানে তাঁরা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সখ্যতা গড়তে চায়। অবশ্যই এই সমমনা দলগুলোর মধ্যে তাঁদের প্রথম পছন্দ বিকল্পধারা। সেজন্যই তাঁরা বিকল্পধারায় যোগ দিচ্ছে। তিনি নিশ্চিত হয়ে বলেন যে, কোনো ঐক্য বা ফ্রন্ট নয়, বিএনপির সঙ্গে কোন ঐক্যের প্রশ্নই ওঠে না। তবে বিএনপি থেকে যদি কেউ বিকল্পধারায় আসে তাদের জন্য বিকল্পধারার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন