নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন। দলের নেতাদের রোগ শোক গোপন না রেখে দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথাও বিভিন্ন নেতাকর্মীকে বলেছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর মন খারাপ। রোববার হঠাৎ করেই দলের সাধারন সম্পাদক অসুস্থ হবার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হবার পর প্রধানমন্ত্রীই তার চিকিৎসার যাবতীয় তদারকি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল এবং প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠী ঢাকায় এসেছিলেন। সার্বিক তদারকি করতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী জেনেছেন , নির্বাচনের আগেও ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন। তার ক্রিটিনিন অনেক বেশি ছিল। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত এনজিও গ্রাম এবং কিডনির চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি এসব শোনেনি। আজ কাল করে তিনি চিকিৎসা এড়িয়ে গেছেন। দলের অন্য নেতারা যেন এরকম ভুল ভুল না করে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এখন নেতাদেরই স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী একজন মন্ত্রীকে বলেছেন, ধুমপান ছেড়ে দিতে। ঐ নেতা আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা । গত নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। দলের একজন নেতাকে বলেছেন, দলের নেতাকর্মীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা যায় কিনা। সরকারী হাসপাতাল থেকে এরকম স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে কোন সমঝোতা স্বারক করা যায় কিনা সেটাও ভাবতে বলেছেন ঐ নেতাকে। সূত্রমতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হাসপাতালটা তো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, সেটাও ভাবতে বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি কাল এক নেতার সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। ৭৫’র পর থেকে ৯৬ পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি ৭৫ এর পর ওবায়দুল কাদেরের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা স্মরণ করেন। ওয়ান ইলেভেনেও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, ‘এতো নির্যাতনের পরও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বেঁচে আছে, সম্ভবত দেশের মানুষের ভালোবাসায়।’
জানা গেছে, এক ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। তারা এখন নিজেরাই মনে করেছেন, বিপদ আসার আগেই শরীরের যত্ন নেয়া জরুরি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন সফর বাম দল জাসদ ওর্য়ার্কাস পার্টি সাম্যবাদী দল
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না।