ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনীতির মরা গাঙে জোয়ার আনবে ডাকসু?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১১ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

বাংলাদেশের নিস্তরঙ্গ রাজনীতিতে যখন কোন ইস্যু নেই, বিরোধী দলগুলো নিজেদের অস্তিত্বে লড়াইয়ে লিপ্ত, সাংগঠনিক দুর্বলতা, হতাশা, কোন্দলে জর্জরিত ঠিক সেসময়ে ডাকসু নির্বাচন কি তাদের মরা গাঙে জোয়ার আনলো? ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পর থেকে দেশে দৃশ্যত কোন রাজনীতি নেই, রাজনীতিবিদদের হাতে কোন কর্মসূচি নেই। খোদ সরকারী দলের মধ্যেও কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। সরকারী দল ব্যস্ত উপজেলা নির্বাচন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন, নদীরক্ষাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে।

নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিরোধী দলগুলো কার্যত হতাশ। নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জর্জরিত। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে অন্তর্কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। তাদের কোন কর্মসূচি নেই। শুধুমাত্র বক্তব্য-বিবৃতি, গোলটেবিল বৈঠকের মধ্যে বিএনপি নেতারা তাদের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের উত্থাপিত অভিযোগের কোন তথ্য প্রমাণ তারা হাজির করতে পারছে না। নির্বাচন নিয়ে ট্রাইব্যুনালে তারা মামলা করলেও সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে কোন উৎসাহ উদ্দীপনা বা আগ্রহ দেখা যায়নি। এমন কোন শক্তি বা সাংগঠনিক সক্ষমতা তাদের নেই। এমনকি তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলখানায় বন্দী থাকলেও তার মুক্তি ব্যাপারে তারা কার্যকর কোন কর্মসূচি দিতে পারেনি। অন্য বিরোধী দলগুলোর অবস্থা আরও তথৈবচ। এর মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন সাংসদ ইতিমধ্যে সংসদে যোগ দিয়েছেন। বাকি দলগুলোর কোন কার্যক্রমই নেই। শুধুমাত্র মাঝেমধ্যে চা নাস্তা খাওয়ার জন্য তারা একত্র হয়ে থাকেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন ১৪ দলের শরীকদের মধ্যে হাহাকার বিরাজ করছে। তারা নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত। তারা সরকারী দলে নাকি বিরোধী দলে সেটা নিয়েই তাদের এখন লিটমাস পরীক্ষা চলছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে কি ডাকসু নির্বাচন রাজনীতির মাঠে একটি নতুন ইস্যু তৈরি করে দিলো?

প্রথমত, ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো নয়। জাতীয় নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটার থাকলেও ডাকসু নির্বাচনে ভোটার মাত্র ৪৩ হাজার। দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনাই ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ঠ। এর ফলে সারাদেশের মানুষের মধ্যে এই মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে, যে সরকার ডাকসু নির্বাচনেও কারচুপি করে সে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়? এটা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, অসন্তোষ, অনীহা দানা বাঁধবে।

দ্বিতীয়ত, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো একাট্টা হয়ে গেলো। ছাত্রদল এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন- এগুলো সব আলাদা আলাদা হয়ে ছিল। বাম প্রগতিশীল দলগুলো সবসময় ছাত্রদলের সঙ্গে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে প্রশাসন যখন ঠিকঠাকভাবে জবাব দিতে পারলো না, তখন এরা একসঙ্গে নির্বাচন বর্জন করলো এবং একসঙ্গে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। তাহলে এই নির্বাচন কি ছাত্রআন্দোলনের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করলো না সরকারের বিরুদ্ধে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সরকারবিরোধী আন্দোলন বা যেকোনো আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনই যেকোনো সরকারের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন এখানে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যে প্লাটফর্ম তৈরি হলো সেটা কি সরকারকে কোনো অস্বস্তিতে ফেলবে?

তৃতীয়ত, বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের অস্তিত্ব বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা প্রচারণার সুযোগ পেল এবং ডাকসু নির্বাচন বর্জন করে তারা অন্য সংগঠনগুলোর মধ্যে অনেকটা মিশে গেল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর মাধ্যমে তারা ক্যাম্পাসে সুসংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেল? এই সংগঠিত হওয়ার ফলে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি কি বাড়তে যাচ্ছে? কারণ যেকোনো সংগঠনের ছাত্রসংগঠন তাদের নতুন রক্ত সঞ্চালন করে। সংগঠনকে গতিশীল এবং শক্তিশালী করে তুলতে ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে ডাকসুর আজকের ঘটনাটি বিএনপিকেও আবার নতুন জীবন দেবে কিনা, সেটা নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে।

চতুর্থত, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের নিরুপদ্রব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষুণ্ন হবে কিনা, ডাকসু নির্বাচন বাতিল বা বর্জনের আন্দোলন কি শেষ পর্যন্ত পরিবেশকে সহিংস এবং হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলন হবে কি না তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অনেকেই মনে করছেন যে, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অতি উৎসাহী গোষ্ঠী এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত এবং তাদের নতুন প্রাণ সঞ্চারণের সুযোগ করে দিলো কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন