নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১২ মার্চ, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলেন তারেক? ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা, নির্বাচন বর্জন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর নানা ঘোষণা এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচন। নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে কেটে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৪ ঘন্টা। অবশেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা বিজয়ী ভিপি নুরুল হক নুরুকে জড়িয়ে ধরলেন ছাত্রলীগ নেতা শোভন। এর মধ্য দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ বছর পর নির্বাচন একটা গ্রহণযোগ্যতা পেল। কিন্তু ১১ মার্চ এই নির্বাচনের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা অনিশ্চয়তা এবং নানা অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। এই সমস্ত অনিশ্চয়তা অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে নামটা এসেছে তা হলো তারেক জিয়া। লন্ডনে পলাতক বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডাকসু নির্বাচন বানচাল করে সেখান থেকে একটা ছাত্র আন্দোলনের নীল নকশা করেছিল বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই নীল নকশার ব্লু প্রিন্ট এখন গোয়েন্দাদের হাতে। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ছাত্রদের দৃঢ়তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্বশীল আচরণ এবং সবচেয়ে বড় কথা সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সহনশীলতার কারণে তারেক জিয়ার এমন পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
কি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তারেক জিয়া? একাধিক প্রাপ্ত সূত্রে দেখা গেছে যে, তারেক জিয়া চেয়েছিলেন এই নির্বাচনকে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের একটি মডেল হিসাবে দেখানো। যেখানে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরানো হয়েছে বলে বিএনপির কথিত অভিযোগ রয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তারেকের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ভুয়া ব্যালট পেপার ছেপেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তায় যে সিল মারা ব্যালট পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো আসলে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছিল না। কে বা কারা এই ব্যালট পেপার ছাপিয়ে ওখানে রেখেছিল। আর এর উদ্দেশ্য ছিল একটাই, এই অজুহাতে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়া। নির্বাচনকে পন্ড করে দেওয়া। কিন্তু এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালেয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত, তড়িৎ এবং তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। পরবর্তীতে এনিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমটিগুলো আটক ব্যালট পেপার মিলিয়ে দেখেছেন যা নকল। প্রশ্ন উঠেছে কারা এই ব্যালট পেপার সংগ্রহ করেছিল। গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, তারেকের লোকজনই এই নির্বাচন বানচাল ও এমন একটি পরিস্থিতি তৈরী করার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল। একই রকম রোকেয়া হলেও এরকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগের সহনশীল আচরণের জন্য পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়নি। তারেক জিয়া এই ঘটনার ইন্ধনদাতা তার একটি বড় প্রমাণ হলো এই নির্বাচনের ফলাফল। নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে যে, ছাত্রদল কোথাও বিজয়ী হয়নি। এমনকি যে নূন্যতম ভোট, তাও পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের যে ভোটগুলো ছিল তা তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের প্রার্থীদের দিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জামাতের একটা সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র আগেই নিশ্চিত করেছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, ছাত্রদলের ভোটগুলো তাহলে কোথায় গেল? তাহলে কি এই নির্বাচনে ছাত্রদলকে অংশগ্রহণ করানো হয়েছিল নির্বাচন নিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করানোর জন্যই? নির্বাচন যখন বর্জনের ঘোষণা আসে, তখন প্রথম বর্জনের ঘোষণা আসে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। এটা একটা পরিকল্পিত নীল নকশা ছিল যে ছাত্রদল একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন বর্জন ঘোষণা দিবে এবং তাদের সঙ্গে অন্যরা যোগ দিবে। আরেকটি যে বিষয় লক্ষণীয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের এই সংগঠন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সংসদে এবং হল সংসদে প্যানেল ঘোষণা করেছিল। প্রশ্ন হলো কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি প্ল্যাটফর্ম এবং এটা কোন ছাত্র সংগঠন নয়। এদের কোন আয়ের উৎসও নেই। কাজেই এই সংগঠনের নির্বাচনের ব্যায়ভার কারা বহন করলো? একাধিক সূত্র বলছে এই ব্যায়ভার তারেক জিয়া এবং জামাত শিবির দিয়েছে। তার মানে তারেক জিয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ক্যাম্পাসে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে চেয়েছিল। যে পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে না এমন ক্যাম্পাস থেকে একটা আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করা হবে। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের যে ফলাফল সেখান থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, এই নির্বাচনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন দাবিদার ছাত্রদলের একটা অন্য মোটিভ ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি যে বিষয় দেখা যায়, নির্বাচনে সাদা প্যানেল ভূক্ত শিক্ষকরা এই নির্বাচন ভিত্তিক একটি পর্যবেক্ষক মহল গঠন করেছিল। অথচ ডাকসু নির্বাচন ইতিহাসে এরকমটা নজিরবিহীন। এরকম কোন পদ্ধতি ডাকসুতে নেই। কারণ এখানে শিক্ষকরাই থাকেন এবং তারা সকলের অভিবাবক তুল্য। এরকম একটি পরিস্থিতিতে ডাকসুকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত করার জন্যই সাদা প্যানেল ভূক্ত শিক্ষকদের এরকম পর্যবেক্ষক মহলের নামে মাঠে নামানো হয়েছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবং এর পেছনে তারেকের ইন্ধন ছিল। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে পরাজয়ের পর লন্ডনে তারেক জিয়া চাইছে বাংলাদেশে এমন একটি অবস্থা তৈরী করতে, যার ফলে সরকার একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে। সেজন্য ডাকসু ছিল তারেকের একটি সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্ম। পরিকল্পনা ছিল ডাকসু নির্বাচন মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হবে এবং নির্বাচন পন্ড করা হবে। এই নির্বাচন পণ্ডের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের গুজব ও উস্কে দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই একটি সরকার পতনের আন্দোলনের সূত্রপাত করানো হবে। কিন্তু সকলের সময়োচিত প্রাজ্ঞতায় এবং সংযমশীল আচরণের কারণে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। তারেক জিয়ার আরেকটা ষড়যন্ত্রও এ যাত্রায় ভেস্তে গেল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে নানা কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও রয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া এসব নেতারা এবার ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান।
এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়ে অন্তত তিনশজন আবেদন করেছে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে। আবেদনের পর এখন পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে মাত্র ২০ জনের। বাকিদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে অনড় হাইকমান্ড।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমা না পেয়ে কেউ কেউ একাধিকবার আবেদনও করেছেন। ঘুরছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে।
তবে কোনো সংকেত না মিললেও বিএনপির কর্মসূচিতে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের অনেকেই অংশ নিচ্ছেন।
ক্ষমা না করার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, বেশ কয়েকজন একাধিকবার আবেদন করলেও স্থানীয় গ্রুপিং-দ্বন্দ্বের কারণে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। আবার ঢালাওভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলে দলে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়তে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৪ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে দুজন ছাড়া কেউ বিজয়ী হতে পারেননি। ফলে বাকিদের কেউ কেউ বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে ২০৪ নেতাকে।
মন্তব্য করুন
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি অনুযায়ী যারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করবেন তাদেরকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবেই যুক্তরাজ্যের সাথে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় শুধুমাত্র অবৈধ ব্যক্তিদেরকেই দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে না, বাংলাদেশে দন্ডিত, অপরাধী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদেরও ফিরিয়ে নানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে অপরাধ করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাবে তাদেরকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করার জন্য প্রক্রিয়া করবে। সেই বিবেচনায় তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল হল, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করা। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেননি এবং আপিল করার সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এছাড়াও অর্থপাচারের একটি মামলায় হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সরকার নানা রকম দেন দরবার করে আসছেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তারেক জিয়াকে দেশে আনা সম্ভব হয়নি।
তারেক এখন যুক্তরাজ্যে আছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করা ব্যক্তিকে যে সমস্ত শর্ত এবং নিয়ম মানতে হয় তা মানছেন না বলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অধিকার করা হয়েছে। যেমন- লন্ডনে বসে তারেক বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষেদাগার করছেন, সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অন্তত ৩টি সফরে তারেক জিয়া লন্ডনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন এবং তার নির্দেশে সেখানে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসেও তারেক জিয়ার নির্দেশে হামলা করা হয়েছিল এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছে এবং কূটনৈতিকরা মনে করছেন, তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
তবে কোন কোন মহল বলছে, তারেক জিয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাকে যেহেতু যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং তারেক জিয়া সেই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আবেদন সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে সেকারণেই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি এত দ্রুত নাও হতে পারে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলেই জানা গেছে।
তারেক জিয়া বিএনপি যুক্তরাজ্য ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে নানা কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও রয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া এসব নেতারা এবার ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান।
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।