ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘নো ব্রেক্সিট’র পথে ব্রিটেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

দ্বিতীয় দফার ভোটেও মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দীর্ঘ দেন-দরবার শেষে তিনি যে খসড়া চুক্তি করেছিলেন, পার্লামেন্টের ২৮২ জন এমপিই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ব্রিটিশ এমপিদের এই সিদ্ধান্ত কি ব্রিটেনকে ‘নো ব্রেক্সিট’ এর পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে?

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিটেনের সামনে এখন হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র পথ খোলা আছে। তাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কোনও চুক্তি বা ডিল ছাড়াই তারা ইইউ থেকে বেরিয়ে আসবে কিনা। কিংবা প্রধানমন্ত্রীর খসড়া চুক্তিটি নিয়ে আরেক দফা ভোটাভুটিও হতে পারে।

থেরেসা মে’র সামনে আরেকটি বিকল্প হলো, তিনি আবারও নতুন করে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করতে পারেন। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এই পথে যেতে চাইলে ২৯ মার্চ এর মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।  

ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনের বিকল্প চিন্তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচনায় আসছে তা হলো, পুনরায় গণভোট। ব্রিটিশদের কাছে আবারও জানতে চাওয়া হতে পারে যে তারা ব্রেক্সিট চায় কিনা। সেক্ষেত্রে আইনে নতুন সংযোজন প্রয়োজন হবে এবং কারা ভোটার হতে পারবে সেটাও নির্ধারণ করতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে আগের গণভোটের সময় ব্রিটিশরা হয়তো বুঝতে পারেনি যে, এই প্রক্রিয়াটা এতোটা জটিল হবে। নতুন করে গণভোট আয়োজন করলে অন্যরকম ফলও আসতে পারে। কিন্তু সেটি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এমনিতেই ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যে এক ধরণের অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হচ্ছেই। অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও কমে গেছে।

এই অস্থিতিশীলতা দূর করতে ব্রিটেন চাইলে নো ব্রেক্সিটের পথেই হাঁটতে পারে। ইউরোপীয় আদালতের নির্দেশনা বলছে, ব্রিটেন চাইলেই এককভাবে এই সিদ্ধান্তটি নিতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে ব্রিটেন সেই পথেই হাটবে কি না সেটাই এখন দেখা বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট: আর্জেন্টিনাকে ধন্যবাদ জানাল ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৭:৪১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় আর্জেন্টিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ রোববার (১২ মে) আর্জেন্টিনা ছাড়াও হাঙ্গেরি ও চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালাকে ধন্যবাদ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য।”

গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং তাদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। কিন্তু শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।

শুক্রবার (১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভুটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।’ 

এই প্রস্তাবে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া ১৪৩টি দেশ মূলত স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।  এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। 


ফিলিস্তিন   আর্জেন্টিনা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মেক্সিকো

প্রকাশ: ০৭:২২ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মেক্সিকো। রোববার (১২ মে) গুয়েতেমালা মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রোববার সকালে চিয়াপাস উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে।

এদিকে গুয়েতেমালার দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে একাধিক স্থানে অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী কোয়েটজালতেনাঙ্গো এবং সান মার্কোসে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়কসহ ভূমিধসেরও খবর পাওয়া গেছে।

১৯৭৬ সালে গুয়েতেমালায় সাড়ে সাত মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে প্রায় ২৩ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প ছিল এটি।


ভূমিকম্প   মেক্সিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চার দশকের মধ্যে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্কে ফাটল

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা কৌশলগত সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরায়েল যদি তার পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ আক্রমণ করে, তাহলে কী হবে? জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি তাদেরকে আর অস্ত্র সরবরাহ করব না।’ 

আমেরিকা ইসরায়েল মৈত্রীর ভিত্তিই হলো অস্ত্রের চালান। গত চার দশকে এই প্রথম এতে ফাটল দেখা যাচ্ছে।  

গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয় রুখতে নিজ দেশে ও দেশের বাহিরে ব্যাপক চাপে আছেন বাইডেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটিই জানালেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আমেরিকার সবচেয়ে কাছের কৌশলগত মিত্র। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের পর এ ধরনের পদক্ষেপ আর দেখা যায়নি। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক বিশেষজ্ঞ এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ মধ্যস্থতাকারী অ্যারন ডেভিড মিলারের মতে, এই সংঘাতের শুরু থেকেই বাইডেনকে দ্বিধায় দেখা গেছে। তাঁর একদিকে ইসরায়েলপন্থী রিপাবলিকান পার্টি, অন্যদিকে নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও দেখা দিয়েছে বিভক্তি। এখন পর্যন্ত বাইডেন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে এমন কিছু দেখা যায়নি যাতে আমেরিকা–ইসরায়েল সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

কিন্তু ইসরায়েল রাফাহতে স্থল অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন দেখা যায়। 

গত সোমবার ইসরায়েল জানায়, তারা শহরটির পূর্বে হামাসকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। স্থানীয়রা বিরামহীন বিষ্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রায় অকার্যকর হাসপাতালগুলোতেও আহতদের সংখ্যা মাত্রা ছাড়িয়েছে। 

জাতিসংঘ বলছে, প্রায় এক লাখ মানুষ ওই এলাকা থেকে পালিয়েছে এবং তারা খাবার, আশ্রয়, পানি ও স্যানিটেশনের ভয়াবহ সংকটে আছে। 

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার শহরটিতে পূর্ণমাত্রায় স্থল অভিযান চালানোর কথা বলছেন, যেখানে প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আছেন। তিনি বলছেন, এখানে লুকিয়ে থাকা হামাসের অবশিষ্ট চার ব্যাটালিয়ন যোদ্ধাকে নিশ্চিহ্ন করতে এই অভিযান জরুরী। যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব সফল হলেও অভিযান চালানো হবে বলে মত তাঁর। 

ওয়াশিংটন নেতানিয়াহুকে রাফাহতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনা না করতে বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছে। অ্যারন ডেভিড মিলার বলছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আশঙ্কা করছেন, রাফাহতে অভিযান হলে যুদ্ধ বন্ধ বা জিম্মিদের উদ্ধারের আর কোনো উপায় থাকবে না। 

বাইডেন প্রশাসনে কাজ করা একজন সাবেক কর্মকর্তা জানান, বাইডেন মিশরের সঙ্গে কোনো সংকট এড়িয়ে চলতে চান। একই সঙ্গে এই অভিযানের ফলে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে ক্ষোভ ও বিভাজন আরও বাড়তে পারে। 
 
গত বুধবার বাইডেনের সাক্ষাৎকার প্রচারের পরপর আমেরিকা ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ও ৫০০ পাউন্ডের বোমার দুটি চালান স্থগিত করেছে। 
 
মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কমকর্তা বলেন, এই বোমাগুলো ঘনবসতিপূরর্ণ একটি এলাকায় ব্যবহার করলে যে প্রভাব পড়বে তাতে আমেরিকা উদ্বিগ্ন, যা আমরা গাজার অন্য এলাকাগুলোতে দেখেছি। 

ইসরায়েলের অস্ত্রাগারে থাকা নানা অস্ত্রের মধ্যে ২ হাজার পাউন্ডের বোমা সবচেয়ে বিধ্বংসী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হামাসকে নির্মূল করকে এই ধরনের অস্ত্র জরুরী। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ছাড়া জয়েন্ট ডিরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন (জেডিএএম) কিটের একটি চালানও বিবেচনায় রয়েছে। এই কিট আনগাইডেড বোমাকে গাইডেডে পরিণত করতে পারে। 
 
গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে আমেরিকার সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করে থাকতে পারে। কিন্তু এতে আরও বলা হয়, এ সংক্রান্ত পূর্ণ তথ্য আমেরিকার কাছে নেই। যার অর্থ সামরিক সহায়তা চালু থাকতে পারে। 
 
মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক গোলন্দাজ কর্নেল জো বুকিনো, যিনি পরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা কমান্ড সেন্টকমের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল কাছে এখনো যে পরিমাণ গোলাবারুদ মজুত আছে, তা দিয়ে রাফাহকে ‘মাটিতে মিশিয়ে’ ফেলা সম্ভব।  

ইসরায়েলকে বছরে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি কংগ্রেস অস্ত্র ও প্রতিরোধ সরঞ্জামের জন্য আরও ১৭ বিলিয়ন ডলার এর সঙ্গে যুক্ত করেছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মার্কিন প্রাণঘাতী অস্ত্র সহায়তা পাওয়া দেশ হলো ইসরায়েল। 

কর্নেল জো বুকিনোর মতে, রাফাহতে আক্রমণ ঠেকাতে অস্ত্রের যে চালান স্থগিত করা হয়েছে তা নিতান্তই নগণ্য। তিনি বলেন, ‘এটা মার্কিন জনগনকে একটা বোঝ দিতে একটি ছোটখাট রাজনৈতিক খেলা, যারা পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন।’  

কারণ যাই হোক, এতে বাইডেন যে রাজনৈতিকভাবে চাপে পড়েছেন তাতে সন্দেহ নেই। মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকানরা বাইডেনকে তুলোধুনো করছেন। 
 
মার্কিন সিনেটর পেট রিকেটস বলেন, ‘আমি মনে করি, এই স্থগিতাদেশ ক্ষোভ তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। প্রেসিডেন্টের এমন কাজ করার এখতিয়ার নেই।’ 

ইসরায়েল তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহতে আক্রমন পরিচালনা করতে চায়, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মিত্র ইসরায়েলকে আমাদের সমর্থন করতে হবে।’ 

আরেক রিপাবলিকান সিনেটর জন বারাসো বলেন, ‘নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইসরায়েলের যা খুশি তা করার অধিকার আছে।’ 

বারাসোর মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। তবে বাইডেনের নিজের দলে কিন্তু এ সিদ্ধান্তকে বেশ ভালোভাবেই স্বাগত জানানো হয়েছে। 

ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিশ কুনস দুইমাস আগে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের রক্ষা না করে ইসরায়েল যদি রাফাহতে অভিযান চালায় তাহলে যেন তাদের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘গাজা সংঘাত আমাদের যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে তা অত্যন্ত বেদনার। আমরা যারা ইসরায়েলের তীব্র সমর্থক তারাও মানুষের কষ্ট এবং মানবিক বিপর্যয়ে উদ্বিগ্ন।’  

ক্রিশ কুনস মনে করেন, নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্রমাগত চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যেহেতু ইসরায়েলি সরকার টিকে আছে কিছু অতিজাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক শক্তির ওপরে এবং তারা গাজায় মানবিক সহযোগিতা ঢুকতে দিতে চায় না। পাশাপাশি পশ্চিম তীর থেকেও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে চায়। 

কায়রোতে হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির যে আলোচনা চলছিল তা গত সপ্তাহে ভেস্তে যায়। কয়েকজন ইসরায়েলি বিশ্লেষক বাইডেনকে সতর্ক করে বলেছেন যে, তার এ সিদ্ধান্ত জিম্মি মুক্তির মধ্যস্থতায় বাধা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি রাফাহ আক্রমণ না করতে যে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এতে হামাস লাভবান হবে। 

গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর বাইডেন তেল আবিব সফর করেন এবং নেতানিয়াহুর পাশে নিজের অবস্থানের জানান দেন। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘৯/১১ এর পর আমরা যে ভুল করেছি তোমরা সেটি থেকে বিরত থাক।’ 

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষরাও অনেক কষ্ট করছে এবং পুরো পৃথিবীর মতো আমরাও নিস্পাপ ফিলিস্তিনি প্রাণহানির জন্য শোক জানাই।’ 

বাইডেন অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি একলা লড়তে হয়, আমরা তাই করব। আমি আগেই বলেছি, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা আমাদের নখ দিয়েও যুদ্ধ করব।’ 

নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিশ কুনস বলেন, ‘তাদের নখ দিয়ে যুদ্ধ করার প্রয়োজন নেই। তাদের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র দিয়েও যুদ্ধ করা উচিত, অনেকক্ষেত্রেই যেগুলো মার্কিনিদের সঙ্গে যৌথভাবে বানানো। এর অনেকগুলোই তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের এমনভাবে যুদ্ধ করতে হবে যাতে বেসামরিক প্রাণহানি বেশি না হয়।’ 

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২.৩৫ কোটি রুপির স্বর্ণ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ২.৩৫ কোটি রুপির বেশি মূল্যের স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। 

শনিবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হালদারপাড়া বর্ডার পোস্টে কর্মরত ৩২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্তে চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে।

চোরাকারবারীরা যখন এই স্বর্ণের বারগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করার চেষ্টা করছিল, সেসময় ২৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করে বিএসএফ। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ৩.২০৮  কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭২০ রুপি।

সোমবার ভারতে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট নেওয়া হবে। এই পর্বে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি লোকসভার নির্বাচন কেন্দ্র রয়েছে। স্বাভাবিক কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিএসএফ। তারই সফলতা পেয়েছে তারা।

বিএসএফের পক্ষে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী, শনিবার হালদারপাড়া বর্ডার পোস্টের বিএসএফ জওয়ানরা স্বর্ণ পাচারের সম্ভাবনার খবর পান। খবর পেয়ে জওয়ানরা সন্দেহভাজন এলাকায় অতর্কিত অভিযান চালায়। জওয়ানদের একটি দল সীমান্তবর্তী একটি কলাবাগানে আত্মগোপন করে, অন্য দলটি স্থানীয় বাঁশবাগানে ওত পেতে নজরদারি চালাতে থাকে। এসময় সন্দেহভাজন দুই চোরাকারবারীকে ধারালো ছুরি এবং হাতে কিছু প্যাকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে এবং কলা বাগান থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরত্বে আরও তিন চোরাকারবারীকে দেখতে পান, যারা স্বর্ণ সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। যখন চোরাকারবারীরা প্যাকেটটি বেড়ার উপর ফেলে দিতে যাচ্ছিল, তখন জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। কিন্তু হঠাৎ করে চোরাকারবারীরা ধারালো ছুরি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে জওয়ানরাও এক রাউন্ড রাবার গুলি চালায়।

এতে পাচারকারীরা ভয় পেয়ে প্যাকেটটি মাটিতে ফেলে আবার বাংলাদেশের দিকে ছুটে যায়। পরে জওয়ানরা ওই জায়গায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ধারালো ছুরি এবং তিনটি ছোট প্যাকেট উদ্ধার করে। প্যাকেটের ভেতর থেকে ২৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। সেই স্বর্ণ জব্দ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তা নিয়ে আসা হয় সীমান্ত চৌকিতে। জব্দকৃত স্বর্ণ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বনপুর কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়।


ভারত   বাংলাদেশ   আন্তর্জাতিক সীমান্ত   স্বর্ণ   উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলবাস দুর্ঘটনায় ১১জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলবাস দুর্ঘটনায় বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। 

দেশটির সবচেয়ে বড় দ্বীপ জাভায় গ্র্যাজুয়েশন ট্রিপের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ৬১ জন যাত্রী ছিলেন এবং সেটি জাভার দিপক শহর থেকে লেমবাং নামের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে যাচ্ছিল। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীরা তাদের গ্র্যাজুয়েশন উদযাপন করতে স্কুল ট্রিপে বের হয়েছিল। বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং বিপরীত লেনে চলে যায়। এরপর বাসটি একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। জাভা পুলিশের মুখপাত্র জুলস আব্রাহাম আবাস্ত এই তথ্য দিয়েছেন।

আবাস্ত বলেন,'ঘটনাস্থলেই নয়জন মারা গেছেন। একজন শিক্ষক ও স্থানীয় একজন মোটরচালকসহ আরও দু’জন পরে হাসপাতালে মারা গেছেন। ৫৩ জনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'


ইন্দোনেশিয়া   স্কুলবাস   দুর্ঘটনা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন