ইনসাইড পলিটিক্স

বেশি ভোট পেয়ে তোপের মুখে যে ছাত্রলীগ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের কয়েকজন প্রার্থীর অস্বাভাবিক ভোট নিজ দলের মধ্যেই সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরী করেছে। ছাত্রলীগের মধ্যে তা নিয়ে অশ্বস্তি চলছে এবং পরস্পরকে পরস্পর অবিশ্বাস করা শুরু করেছে। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা মনে করছেন যে, যারা ১১ হাজারের উর্ধ্বে ভোট পেয়েছেন তাদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সম্পৃক্ততা ছিল। এবার ডাকসু নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী এই ১১ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে। এরমধ্যে ভিপি পদে নুরুল হক নূর পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২ ভোট। অন্য পাঁচজনই ছাত্রলীগের। এরমধ্যে ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩০১ ভোট। তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। সাদ্দাম হোসেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। ডাকসু নির্বাচনে তিনি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের পদ চেয়েছিলেন। এই সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছিল বলে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তখন সেসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যৌথ প্যানেল সাদ্দামকে সভাপতি এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার একটা প্রস্তাব ছিল। যদিও সে প্রস্তাবটি বেশিদূর আগায়নি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক এমনকি এজিএস পদও দাবি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তা পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলছেন, সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আগে থেকেই ছিল। তাছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ছাত্রদের মধ্যে জনপ্রিয়। এজন্য তিনি সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।

এছাড়াও অন্য যে চারজন এগারো হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে সদস্য পদে যোশীয় সাংমা চিবল পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৬৮ ভোট। সাদ বিন কাদের চৌধুরী স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে পেয়েছেন ১২ হাজার ১৮৭ ভোট। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে শামস ই নোমান পেয়েছেন ১২ হাজার ১৬৩ ভোট। সদস্য পদে রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩২ ভোট। এই পাঁচজনই যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় তখন থেকে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় তখন ছাত্রলীগের একটি বড় অংশ কোটা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কোটা আন্দোলনের পক্ষে তারা রাস্তায় নেমেছিল। যখন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যায়, তখন তারা সরে আসে। কিন্তু ছাত্রলীগের একটি অংশ তখনও কোটা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। তবে ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজনের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ছাত্রলীগের একটি সূত্র মনে করছে যে, ছাত্রলীগের একটি অংশ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গোপন আতাতের মাধ্যমে শোভনকে হারিয়েছে। সাদ্দামের ভোট তার অন্যতম বড় প্রমান। এরফলে সর্বাধিক ভোট পেলেও সাদ্দাম হোসেনকে অনেকে ছাত্রলীগের মধ্যে ভিলেন মনে করছেন। মনে করছেন যে, সাদ্দাম হোসেন তার নিজের বিজয় সুরক্ষিত করার জন্য এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্য শোভনেকে নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। ছাত্রলীগের মধ্যে এখন এনিয়ে কানাঘুষা চলছে। জানা গেছে যে ছাত্রলীগের ভিতরে এনিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারা খুব শীঘ্রই এ নিয়ে কথা বলবেন। ভোটের তারতম্যটা কেনো হলো এটা তারা বোঝার চেষ্টা করবেন। ছাত্রলীগের সর্বশেষ কাউন্সিলের পরে ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কে হবেন এ নিয়ে ছাত্রলীগের নানারকম লবিং তৎপরতা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর একক সিদ্ধান্তে এবং নিজস্ব তদন্তের ভিত্তিতে ছাত্রলীগের এই কমিটি গঠন করেছিলেন। কমিটি গঠনের পর ছাত্রলীগে আপাত সুসম্পর্ক থাকলেও ছাত্রলীগের ভিতরে এটা নিয়ে স্পষ্ট দ্বিধা বিভক্তি ছিল বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে। এই দ্বিধা-দ্বন্দের বিষয়ে একটি মূল বিষয় ছিল যে, রেজওয়ানুল হক শোভনকে সভাপতি করা একটি পক্ষ মেনে নিতে পারেনি। এই ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের সেই অংশটিই তাঁরসঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে ছাত্রলীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ মনে করছে।

তবে ছাত্রলীগের অন্য একটি সূত্র বলছে যে, সাদ্দাম হোসেন যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং তিনি এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হওয়ার কারণে তিনি ভোট বেশি পেয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের অনেক নেতাই এখন প্রকাশ্যেই বলছেন যে, সাদ্দাম দলের স্বার্থের বাইরে নিজে জয়ী হওয়ার জন্য কোটা সংস্কারকারীদের সঙ্গে আঁতাত করেছে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে। তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন। আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন। 

ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।

যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেয়। 

অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান হাবিব খান।


নির্বাচন কমিশন   ইসি হাবিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না...

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার শ্রীকান্ত উপন্যাসে লিখেছিলেন, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়। রাজলক্ষী-শ্রীকান্তের প্রেম উপাখ্যানে বিরহ পর্বে শরৎচন্দ্রের এই মন্তব্যটি অমর। সাম্প্রতিক সময়ে এই মন্তব্যটি নতুন করে মনে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের প্রেক্ষিতে। ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর নয়। এর আগেও তিনি দুবার এসেছিলেন। এককভাবে এসেছিলেন ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই সফর আর এই সফরের মধ্যে যে পার্থক্য সেটি ব্যাপক বিস্তর এবং দুই মেরুর অবস্থান।

ডোনাল্ড লু বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচিত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে। ইমরান খানের অভিযোগ, ডোনাল্ড লু ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যকে অস্বীকার করা হয়নি। এর পরেই ডোনাল্ড লু বিশ্ব রাজনীতিতে বিশেষ করে উপমহাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

বাংলাদেশের নির্বাচনের আগেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সরব। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন; অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তাকে অত্যন্ত সরব দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের পর তিনি তিনটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিলেন। দুই দফায় বাংলাদেশে এসেছিলেন। একবার এসেছিলেন এককভাবে। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি গ্রহণ করে তখন তিনি জিল্লুর রহমানের তৃতীয় মাত্রা টকশোতে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তার আগ্রহ এবং নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান সকলের কাছেই সুস্পষ্ট ছিল।

অনেকেই মনে করতেন যে, ডোনাল্ড লু হয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেবে, পাকিস্তানে যেভাবে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পরে এবার ডোনাল্ড লু’র সফর সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায়। তিনি ক্রিকেট খেললেন, ফুচকা খেলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। সব পুরনো স্মৃতি ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিলেন। কিন্তু পুরনো বন্ধুদেরকে একেবারে ভুলে গেলেন। যারা নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন তাদের সঙ্গে একধরনের বিচ্ছেদের বার্তা দিয়েই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করলেন। এ যেন বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।

কারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং সুশীল সমাজ ডোনাল্ড লু’র প্রেমে পাগল হয়ে গেছিল এবং ডোনাল্ড লু কে তারা মনে করতেন ত্রাতা হিসেবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, সেই সফরে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বাংলাদেশের সুশীলদের- বিশেষ করে বদিউল আলম মজুমদার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জিল্লুর রহমান, আদিলুর রহমান খানদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সম্পর্কের কথা সকলেই জানত এবং তারা বাংলাদেশে যেন একেকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকেন্দ্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী কী করতে পারে, নির্বাচনের পর কী কী হতে পারে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সরকারের কী পরিণতি হবে- ইত্যাদি নিয়ে এইসব সুশীলদের বাক্যবাণ জাতিকে শিহরিত করেছিল, আতঙ্কিত করেছিল। কিন্তু এবার তারা দেখাও পেলেন না ডোনাল্ড লু’র। তাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বড়ো প্রেম তা এবার কাছে টানে নাই দূরে ঠেলে দিয়েছে।

একইভাবে বিএনপির আন্দোলনের ভারকেন্দ্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রই বিএনপির আন্দোলনকে সফল করবে, বিশেষ করে ২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আসার পর থেকেই আস্তে আস্তে বিএনপি উজ্জীবিত হতে শুরু করে। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে পিটার ডি হাস যে বিভিন্ন স্থানগুলোতে গেলেন সেখানে পুরনো প্রেমের কোন চিহ্ন ছিল না। বিএনপি নেতারাও এখন ডোনাল্ড লু’র সাথে সাক্ষাৎ করতে না পেরে ডোনাল্ড লুকেই অপ্রয়োজনীয় বলছেন, গুরুত্বহীন বলছেন। অথচ এই ডোনাল্ড লু ছিল এক সময় বিএনপির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়- এই বক্তব্যটি শুধুমাত্র যে প্রেম ভালোবাসার রোমান্টিকতার জন্য প্রযোজ্য তা নয়, এতদিন পরে প্রমাণ হল- কূটনীতির মাঠেও বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।


ডোনাল্ড লু   বাংলাদেশ   রাজনীতি   বিএনপি   বদিউল আলম মজুমদার   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। কারণ গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক সেটিই আমরা চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছে, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকে তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল তাবোল বলে। এখন দেখি আরো সিনিয়র নেতারাও আবোল তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। উনারা আশা করেছিলেন কী না কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিলেন দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরো গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এতিমখানায় খাবার দেবে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। 

বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। 

একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন করা হবে।

পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   এতিমখানা   আওয়ামী লীগ   উপ-কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন