ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক জিয়ার হাতে সময় তিন মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

যুক্তিসঙ্গতভাবে অভিযোগ খণ্ডন না করতে পারলে ১৫ জুনের মধ্যে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ব্রিটিশ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদদে মদদ দেয়া, জঙ্গি সম্পৃক্ততা, জঙ্গি অর্থায়নসহ একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল এবং এসমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশের ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত তারেক জিয়া সম্পর্কিত অভিযোগের ব্যাপারে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‘স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’ এবং ‘ব্রিটিশ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’, পররাষ্ট্র দপ্তর যৌথভাবে তদন্ত করে। যৌথ তদন্তে যে পাঁচটি অভিযোগ ছিল সেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রাথমিক যে প্রমাণ পাওয়া গেছে তা যে সঠিক নয় তা প্রমাণ করার জন্য তারেক জিয়াকে ৯০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই ৯০ দিনের মধ্যে তারেক জিয়া অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগ বাতিল করা হবে। সেক্ষেত্রে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে সেগুলো হলো-
১. ২১ আগস্ট, ২০০৪ এ গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারেক জিয়া যুক্ত ছিলেন। এ হামলার জন্য তারেক কিছু পাকিস্তানভিত্তিক উগ্র জঙ্গি সংগঠনের সহায়তা নিয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র পেয়েছিলেন।

২. দশ ট্রাক অস্ত্র ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে পৌঁছে দেয়ার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তারেক জিয়া। তারেকের সম্মতিতেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল।

৩. ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তারেক জিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। দাউদ ইব্রাহিমের একাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে তারেক জিয়ার শেয়ার রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে।

৪. তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যে আসার পর সৌদিভিত্তিক একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এদের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন করেছেন বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৫. সর্বশেষ তারেক জিয়ার লন্ডনে ক্রিয়াশীল অনেকগুলো জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের সাথে তারেক জিয়া নিয়মিত বৈঠক করেন।

এই অভিযোগগুলোর মধ্যে প্রথমটির ব্যাপারে বাংলাদেশের আদালতে রায় হয়েছে। আদালতের রায়ের কপি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে দেয়া হয়েছে। সেই রায়টি তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে যে, ২০০৪ সালে পাকিস্তানি উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগাযোগের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অভিযোগের ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে একাধিক তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। অন্য অভিযোগগুলোর ব্যাপারে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, ব্রিটিশ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও পররাষ্ট্র দপ্তর যৌথ তদন্তে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, এই সমস্ত তথ্য প্রমাণের পর তারেক জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তারেক জিয়াকে ৯০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই আত্মপক্ষ সমর্থনে তারেক জিয়াকে দালিলিক এবং উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাজির করতে হবে। এর আগে যখন অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছিল তখন অভিযোগগুলো সত্য কিনা তা তারেক জিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তখন অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন তারেক জিয়ার আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন, অভিযোগগুলো অসত্য ও মিথ্যা। এরপর বৃটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান চালানো হয় এবং এগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এর প্রেক্ষিতে তারেক জিয়াকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ও দালিলিকভাবে অভিযোগ খণ্ডনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল ১৫ মার্চ এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১৫ জুনের মধ্যে যদি তারেক জিয়া সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারেন তাহলে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল করে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই অভিযোগ এখন তথ্য উপাত্ত দিয়ে খণ্ডন করা তার জন্য অসম্ভব ব্যাপার। কাজেই তারেক জিয়ার দেশে ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র।  

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে’

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।

এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩০ জনের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ২৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে)  এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে ভাণ্ডারিয়ার সব পদ, গোসাইরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী এবং দাগনভুঞা উপেজলায় মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থীনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো উপজেলায় ৮ মে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।


উপজেলা   নির্বাচন   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার বিরোধী আন্দোলন: জামায়াতকে একমঞ্চে চায় ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দাবিতে আগামীর আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে একমঞ্চে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট। তাদের পরামর্শ, বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত শক্তিশালী। তাই মাঠের আন্দোলন সফল করতে হলে জামায়াতসহ বাম-ডান ও ইসলামী ঘরানার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।

তারা বলেন, ২৮ অক্টোবরের আগে একমঞ্চ থেকে আন্দোলন পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা তখন একমঞ্চে প্রায় চলেও এসেছিলাম। কিন্তু যুগপতেরই দুএকটি শরিক দল ও জোটের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২৮ অক্টোবর জামায়াতও মাঠে ছিল। কিন্তু পৃথকভাবে তারা কর্মসূচি করেছে। ওইদিন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

রোববার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তাদের এমন পরামর্শ দেন ১২ দলের কয়েকজন নেতা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একদফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও যুগপৎভাবে কোনো কর্মসূচি মাঠে গড়ায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে মিত্রদের পরামর্শ নিতে তাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এ দিন ১২ দলের পর একই স্থানে এলডিপির সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি।

গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর ১২ ও ১৩ জানুয়ারি যুগপতের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ভার্চুয়ালি সিরিজ বৈঠক হয়। যেটাকে তখন বিএনপি ও শরিকদের পক্ষ থেকে ‘সৌজন্য বৈঠক’ বলা হয়েছিল। সেখানে সরকারি নানামুখী চাপ ও প্রলোভন সত্ত্বেও নির্বাচনে না যাওয়া এবং যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত রাখায় বিএনপির পক্ষ থেকে মিত্রদের সাধুবাদ জানানো হয়।

জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নতুন কী কর্মসূচি নেওয়া যায়- সে ব্যাপারে ১২ দল নেতাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। তখন জোটের কয়েকজন নেতা নির্বাচন বর্জন করে যুগপৎ কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সবাইকে নিয়ে ঈদুল আজহার পর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার পরামর্শ দেন। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে দুএকজন নেতা ঢাকায় একমঞ্চ থেকে সমাবেশ এবং ঢাকার বাইরে সব মহানগরে একই আদলে সমাবেশের মতো কর্মসূচির প্রস্তাব করেন।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করেছে। এটা আমাদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা মাঝে মাঝেই বসি, আলোচনা করি। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মানুষের দুর্ভোগ, দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা, দুর্নীতি-অনাচার, সীমান্ত সংকট, সীমান্তে মানুষ হত্যা, সীমান্তে অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীতে আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা চেয়েছে। আমরা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করব।


জামায়াত   জোট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভোটার বাড়ানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল ৩৬.১৮ শতাংশ। আগামী তিন ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রচার আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (১২ মে) ইসি সূত্র জানায়, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ইসির মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মাসিক সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেন।

ওই সভায় ইসি সচিব বলেন, ইসির মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

প্রথম পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচন আরো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম আরো গতিশীল করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয় সভায়।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ১১৭ উপজেলায় ব্যালটে ভোট হয়। ভোটের হার ৩৭.২২ শতাংশ। ২২ উপজেলায় ভোট হয় ইভিএমে, ভোটের হার ৩১.৩১ শতাংশ।

এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী এক হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৯ জন।

এই ধাপের ভোট হবে আগামী ২১ মে। তৃতীয় ধাপের ভোট ২৯ মে। এই ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল। আজ সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

আর চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৭৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৭২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৬ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯৯ জন রয়েছেন। এই ধাপের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। ভোট হবে ৫ জুন।


নির্বাচন কমিশন   ইসি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শরিকদের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবশেষে শরিকদের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী হয়েছে। শিগগিরই শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গত ২ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নির্বাচন এলেই গুরুত্ব বাড়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের। নির্বাচন শেষে কমতে থাকে জোটের রাজনৈতিক তৎপরতা। বাড়তে থাকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর ভরাডুবির পর প্রশ্ন উঠেছে ২০ বছর বয়সী এই জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও। প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়নি এমন অভিযোগ শরিক দলের নেতাদের।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আলাদা কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট আছে। আমি  খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে ভিত্তি করে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪-দলীয় জোট। তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার-দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে এ জোট।

দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করা এই জোটের শরিক দলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র। এর মধ্যে তিনটি দলের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। এরা হলো- গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।

শরিকদের মধ্য থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চারজন, দশম সংসদে সংরক্ষিত দুজনসহ ১৩ জন, একাদশ সংসদে আটজন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুজনে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের রেজাউল করিম তানসেন না জিতলে এবার মুখ রক্ষা করাই কঠিন হতো ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি করতে পারেনি শরিক দলগুলো। আওয়ামী লীগের ওপর অত্যধিক নির্ভরতায় কমে গেছে দলগুলোর জনভিত্তি। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ছোট দলের বড় নেতাদের ভাবমূর্তি। সব মিলিয়ে জোটের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের জন্য পরিণত হয়েছে বোঝায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি তাদের পুরনো ২০-দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা নতুন জোট গঠন করে রাজপথে নামলে আওয়ামী লীগও আবার ১৪-দলীয় জোট বা মহাজোট সক্রিয় করবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে দেখলে ১৪ দলের তৎপরতা দৃশ্যমান করবে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জোটের রাজনীতিকে চাঙা করে তুলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। নেত্রী বৈঠকের কথা বলেছেন খুব বেশি দিন হয়নি। আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি।

জোটের মুখপাত্র, সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু গণমাধ্যকে বলেন, জোটের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। জোট আছে, থাকবে। নেত্রী সময় দিলেই আমরা শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসব।


শরিক   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন