নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ এএম, ১৯ মার্চ, ২০১৯
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো গতকাল সোমবার। ১৬টি জেলার মোট ১১৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে ১১৬টি উপজেলায় সাত হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে।নানা অনিয়মের কারণে মোট সাতটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর ভেতরে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিনটি, রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে একটি ও বরকলে একটি, কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি এবং দিনাজপুরের পাবর্তীপুরের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আর বাকি সাত হাজার ৩২টি কেন্দ্রে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৫৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে ২৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে দুই জন জয়লাভ করেছেন। নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির এক বহিষ্কৃত নেতাও হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হলেন যারা:
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় ফজলে রাব্বী সুইট, পীরগঞ্জে আখতারুল ইসলাম ও হরিপুরে অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অরুনাংশু দত্ত টিটো, তারাগঞ্জে আনিছুর রহমান লিটন ও পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ মন্ডল নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় যথাক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও রুহুল আমিন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, ফুলছড়িতে জিএম পারভেজ সেলিম ও সাদুল্যাপুরে শাহরিয়ার খান বিপ্লব।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আমিনুল ইসলাম, বিরলে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, নবাবগঞ্জে আতাউর রহমান ও ফুলবাড়ীতে আতাউর রহমান মিল্টন নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে এই জেলার পার্বতীপুরে আওয়ামী লীগের হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, হাকিমপুরে হারুনুর রশীদ ও ঘোড়াঘাট রাফে খন্দকার শাহেনশাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়া সদরে আবু সুফিয়ান শফিক, সারিয়াকান্দিতে মুনজিল সরকার, সোনাতলায় অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন, ধুনটে আব্দুল হাই খোকন, শাহজাহানপুরে প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, নন্দীগ্রামে রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, গাবতলীতে রফি নেওয়াজ খান রবিন, শেরপুরে মজিবর রহমান মজনু (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ও আদমদিঘীতে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) জয়ী হয়েছেন।
নওগাঁর আত্রাইয়ে মো. নিয়ামতপুরে মো. ফরিদ আহম্মেদ,এবাদুর রহমান প্রামাণিক, ধামইরহাটে মো. আজাহার আলী, মহাদেবপুরে মো. আহসান হাবিব ভোদন, মান্দায় স. ম. জসিম উদ্দীন ও পত্নীতলায় মো. আব্দুল গাফফার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনার ঈশ্বরদীতে নুরুজ্জামান বিশ্বাস, ভাঙ্গুড়ায় মো. বাকিবিল্লাহ, বেড়ায় মো. আব্দুল কাদের, সাঁথিয়ায় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দোলোয়ার ও সুজানগরে শাহিনুজ্জামান শাহিন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), সদরে আলহাজ মোশারফ হোসেন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট সদরে আশফাক আহমদ, দক্ষিণ সুরমায় আবু জাহিদ, বিশ্বনাথে মো. নুনু মিয়া, বালাগঞ্জে মোস্তাকুর রহমান, গোলাপগঞ্জে ইকবাল আহমদ চৌধুরী, কানাইঘাটে আব্দুল মোমিন চৌধুরী ও জকিগঞ্জে লোকমান উদ্দিন চৌধুরী জয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার সদরে কামাল হোসেন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), কমলগঞ্জে অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও শ্রীমঙ্গলে রনধীর কুমার দেব নির্বাচিত হয়েছেন।
বান্দরবান সদর উপজেলায় এ কে এম জাহাঙ্গীর, নাইক্ষ্যংছড়িতে মো. শফিউল্লাহ, রোয়াংছড়িতে চহাইমং মারমা, থানচিতে থোয়াই হ্লা মং, রুমায় উহ্লাচিং মারমা ও লামায় মোস্তাফা জামাল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএম আল মামুন, সন্দ্বীপে মো. শাহজাহান বিএ, রাঙ্গুনিয়ায় খলিলুর রহমান চৌধুরী, হাটহাজারীতে এসএম রাশেদুল আলম, রাউজানে একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল ও মীরসরাইয়ে মো. জসিম উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন।
আওয়ামী লীগের ২৭ জন বিদ্রোহী জয়ী:
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাহারোলে আবদুল মালেক সরকার ও চিরিরবন্দরে তরিকুল ইসলাম তারিক; বগুড়ার শিবগঞ্জে ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, কাহালুতে হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরজ ও দুপঁচাচিয়ায় আলহাজ ফজলুল হক। নওগাঁর সাঁপাহারে মো. শাহজাহান হোসেন, পোরশায় মো. মঞ্জুর মোরশেদ, বদলগাছীতে মো. সামসুল আলম খান ও রাণীনগরে মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, গাইবান্ধা সদরে শাহ সারোয়ার কবীর ও সাঘাটায় জাহাঙ্গীর কবীর; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আলী আসলাম জুয়েল, দিনাজপুরের খানসামায় আবু হাতেম,
কোম্পানীগঞ্জে শামীম আহমদ শামীম, চাটমোহরে আব্দুল হামিদ মাস্টার ও ফরিদপুর উপজেলায় গোলাম হোসেন গোলাপ, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে মো. নুরুল ইসলাম, বিয়ানীবাজারে আবুল কাশেম পল্লব, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সুয়েব আহমদ, জুড়ীতে এম এ মুহিদ ফারুক, কুলাউড়ায় অধ্যক্ষ এ কে এম শফি আহমদ সলমান ও রাজনগরে শাহাজান খান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তৈয়ব আলী ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ফজলুল করিম সাঈদী, জৈন্তাপুরে কামাল আহমদ ও গোয়াইনঘাটে মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, পাবনার আটঘরিয়ায় মো. তানভীর ইসলাম, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির তিনজন জয়ী:
দিনাজপুরের বেচাগঞ্জে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেন ও রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির ১ জন বহিষ্কৃত নেতা জয়ী:
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবুল কালাম বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।