নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মার্চ, ২০১৯
২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, দুটিই ছাড়তে চায় বিএনপি। বিএনপির নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আবশ্যক ফর্মুলা হিসেবে দুই জোট ছাড়তে বলা হয়েছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির একটি অংশ ২০ দলীয় জোট বিশেষ করে জামাতকে বাদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্য নেতারা ২০ দল বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা বলেন, বিএনপি যদি ২০ দলীয় জোটে না থাকে তাহলে কোন জোটেরই প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে তারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকেও সরে আসার ঘোষণা দেন।
গতরাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির অনির্ধারিত এই বৈঠকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘২০ দলীয় জোট থাকা না থাকা যেমন এখন অর্থহীন, তার চেয়েও অর্থহীন হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থাকায় বিএনপির আরও ক্ষতি হচ্ছে। বিএনপির পক্ষের জনসমর্থন নষ্ট হচ্ছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই বক্তব্যকে মির্জা আব্বাসসহ আরও কয়েকজন নেতা সমর্থন করেন। এই প্রেক্ষিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা লন্ডনের শরণাপন্ন হন এবং আপোস ফর্মুলা হিসেবে আপাতত সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং সাংগঠনিক পুনর্গঠনের দিকে বিএনপিকে মনযোগ দেয়ার কথা বলা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপি পুনর্গঠিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কোন জোটে না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
এ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মির্জা ফখরুল ড. কামাল হোসেনকে টেলিফোনে অনুরোধ জানান। এরই প্রেক্ষিতে ড. কামাল হোসেন আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, মূলত নির্বাচনী ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। যেহেতু নির্বাচন শেষ এবং নির্বাচন কেন্দ্রিক আন্দোলনের কোন বাস্তবতা নেই, কাজেই এখন আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই।
তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, যেহেতু নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে অনেকগুলো মামলা করা হয়েছে এবং এ মামলাগুলো দেখভাল করছেন ড. কামাল হোসেন ও অন্যান্য আইনজীবী, যাদের সবাই গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংযুক্ত। সেজন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি ছিলো। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বলয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি এবং গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ ড. কামাল হোসেনের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সেটা বিএনপি বা ২০ দলের অন্য কারোর নেই। এই প্রেক্ষিতে তিনি চাইছিলেন জাতিয় ঐক্যফ্রন্ট যেন থাকে।
কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে স্থায়ী কমিটি বাদ দিলেও দলের তৃণমূলের মধ্যে তীব্র আপত্তি রয়েছে। তারা মনে করছে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। বিএনপির পক্ষে কোনো কূটনৈতিকরাই এখন পারতপক্ষে কথা বলছে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামাতের সঙ্গ ত্যাগ না করে। এই বাস্তবতায় বিএনপি এখন একলা চলো নীতি অনুসরণ করবে।
একলা চলো নীতির মধ্যে বিএনপি তিনটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একটি হলো সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি, দ্বিতীয়ত সাংগঠনিক নেতৃত্ব পুনর্বিন্যাস করা ও শূন্য পদগুলোতে যতগুলো সম্ভব নেতৃত্ব প্রদান করা এবং তৃতীয়ত জনগণের ইস্যুগুলো নিয়ে আন্দোলন শুরু করা। বিএনপি আগামী কিছুদিন একলা চলছে। একলা চলার মাধ্যমে আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁদের সমার্থক সংগঠনগুলোকে খুঁজতে চায় যারা আন্দোলনে যুগপৎভাবে সমর্থন দিবে এবং অভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলন করবে।
বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, আপাতত বিএনপি কোনো জোটেই থাকবে না বরং বিএনপি একক শক্তিতে নিজেদেরকে শক্তিশালী করার জন্যই মনোনিবেশ করবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।