নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ২৪ মার্চ, ২০১৯
আপাতত দলীয় রাজনীতিকে ‘গুডবাই’ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সদ্য অব্যাহতি পাওয়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান থেকে অব্যাহতি পেলেও বর্তমানে তিনি জাপার অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য আছেন। গত দুইদিনের ঘটনাবলীর কারণে তিনি আপাতত জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, জাপার মধ্যে একমাত্র পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ হিসেবে জিএম কাদেরের বেশ সুনাম রয়েছে। আর সে সুনাম ধরে রাখার জন্যই জাপার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভেদ থেকে আপাতত তিনি দূরে থাকবেন। গতকাল রাতে তাঁর উত্তরার বাসভবনে দলের বেশ কয়েকজন উচ্চ সারির নেতা তাঁর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি তার এ অভিমতের কথা তাদের জানান। যদিও জিএম কাদেরের সমর্থকেরা চাচ্ছেন না এ মুহূর্তে তিনি জাপার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন।
এদিকে, জিএম কাদেরকে সংসদ উপনেতার পদ এবং পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে জিএম কাদেরের নিজ নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটে ব্যাপক্ষ বিক্ষোভ হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা এ আদেশ ফিরিয়ে নিতে পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিএম কাদেরকে পুর্নবহাল করা না হলে লালমনিরহাটের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা গণপদত্যাগ করতে পারেন।
জিএম কাদেরের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন বাংলা ইনসাইডারকে জানান, আপাতত সংসদীয় কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে চান এরশাদের সহোদর জিএম কাদের। সংসদে তিনি একজন সাংসদ হিসেবে তাঁর ভূমিকা রাখবেন। তবে নিজ নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটের জনগণকে বেশি বেশি সময় দেয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি। এছাড়া দলের বাইরে সুশীল প্রতিনিধি হিসেবেও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নিয়মিত অংশ নেবেন জিএম কাদের।
শনিবার রাতে জিএম কাদের বাংলা ইনসা্ইডারকে বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারা চালু করতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যা কিছু করার সবই করব আমি। রাজনীতি যে মানুষের কল্যাণে তা নিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। দৃঢতার সাথে জিএম কাদের বলেন, একজন সাংসদ হিসেবে আমি আমার ভূমিকা রাখবো, এতে করে কারো আঘাত লাগতেই পারে। কার্যকর বিরোধী দল সংসদে না থাকা-না থাকা নিয়ে শঙ্কার কথাও জানান সাবেক এ বিরোধী দলীয় উপনেতা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।