নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০১৯
বিক্ষিপ্তভাবে পদত্যাগের পর এবার বিএনপিতে গণপদত্যাগ আসছে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে বিএনপির ৫০০ সদস্যের যে কেন্দ্রীয় কমিটি তার একটি বড় অংশ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদত্যাগের কারণ হিসেবে তারা অন্তত ৭ টি কারণ উল্লেখ করেছেন বলে ঐ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। যে কারণে এই গণপদত্যাগ হচ্ছে বিএনপিতে, সেগুলো হলো:
১. বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার হওয়ার ১ বছরের বেশি সময় পরও তার মুক্তির জন্য বিএনপি আইনগত কিংবা আন্দোলনতগতভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
২. ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপিকে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে। এই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করা হয়েছে।
৩. ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর বিএনপি কোন আন্দোলন বা সংগ্রামের কোন দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব। যারফলে বিএনপিতে হতাশা বাড়ছে।
৪. জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্তটা বিএনপির ভুল সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে ভরাডুবির পরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বহাল রেখে বিএনপি আরেকটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
৫. বিএনপির নেতৃত্ব তৃনমূলের কথা শুনছে না। তৃনমূলের কথা না শুনে বিএনপির শীর্ষ ৪/৫ জন নেতারা নিজেরা বৈঠক করে সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দলের নিচের দিকের নেতাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।
৬. তারেক জিয়া বিভ্রান্তিমূলক নির্দেশনা দিচ্ছেন। একের পর এক নির্দেশনা দিয়ে দলকে ভুল পথে পরিচালনা করছেন।
৭. বিএনপির মধ্যে একটি বড় অংশ সরকারের সঙ্গে গোপন আতাত করেছে। গোপন আতাতের মাধ্যমে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
জানা গেছে ৬৪ জেলার প্রায় এক তৃতীয়াংশ সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক এই গণপদত্যাগে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক তৃতীয়াংশ সদস্য এই গণপদত্যাগে অংশগ্রহণ করবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য রয়েছেন বলেও জানা গেছে। অবশ্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘এমনি তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে সরে রয়েছেন। গণপদত্যাগের বিষয়টি সম্বন্ধে তার কোন ধারণা নেই।’ তবে তিনি মনে করেন, বিএনপি জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। যেভাবে দল পরিচালিত করা উচিত ছিল সেভাবে দল পরিচালিত হচ্ছে না। একইভাবে দলের আরেক নিস্ক্রিয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে গণপদত্যাগের যে খসড়া তৈরী করা হয়েছে তার সঙ্গে স্থায়ী কমিটির এই দুই নেতার কোন যোগসূত্রতা নেই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তারা পদত্যাগ করছেন ব্যক্তিগত কারণে। তবে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা পারস্পারিকভাবে যোগাযোগ করে একযোগে পদত্যাগের যে দলিলটি তৈরি করছেন সেই দলিলের মধ্যে বিএনপির ছাড়ার এই কারণগুলোকে উল্লেখ করেছেন এবং এই কারণে তারা পদত্যাগ করছেন বলে দলের সাংগঠনিক এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে একটি সূত্র বলছে যে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে যে মতবিরোধ ও টানপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল, কোনোরকম যাচাই বাছাই কিংবা গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করেই যেভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাতেই ফুঁসে উঠছে তৃণমূল বিএনপি। সেখান থেকে এই গণপদত্যাগের ধারনাটি এসেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। কিন্তু বিএনপির ওই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিএনপির একাধিক মাঠ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নেতারা বলছেন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে দল থেকে ১২৮ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তাঁদের অনেকেই বিএনপির পরীক্ষিত কর্মী এবং দুর্দিনের সঙ্গী। বহিষ্কৃত একাধিক নেতা বলেছেন যে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং বিএনপিকে বাচিয়ে রেখেছেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিল সে আন্দোলনে এদের প্রত্যেকেরই ভূমিকা ছিল। তারা মনে করছেন, ২০১৪ তে যারা বেগম খালেডা জিয়ার নির্দেশে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করেছিল তাঁদেরকে বেছে বেছে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা এটাও জানিয়েছেন যে, বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে যে গঠন্তান্ত্রিক রীতি সেই রীতি অনুসরণ করা হয়নি। কারণ, একজনকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বহিষ্কার করতে গেলে তাঁকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয় এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এসব বহিষ্কারের ক্ষেত্রে কোনোরকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া তাঁদের বক্তব্য হলো যে, উপজেলা নির্বাচন বিএনপি অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও এই নির্বাচন বর্জন বা বয়কটের কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করলে কাউকে বহিষ্কার করা হবে এরকম আগাম কোনো সিদ্ধান্তও তৃনমূলে জানানো হয়নি এবং এধরণের সিদ্ধান্ত নিতে গেলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকতে হয়। কিন্তু সেটাও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা করেনি।
একটি সূত্র বলছে যে, মূলত মির্জা ফখরুলের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই গণপদত্যাগ তৈরি করা হচ্ছে এবং এর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অনেক শীর্ষ নেতা জড়িত। তবে এই গণপদত্যাগ যে শেষপর্যন্ত বিএনপিকে আরও দেউলিয়া করে দিবে সে ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।