নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর কয়েকজন বিশ্বস্ত নেতা এবং কর্মকর্তার মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, এক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন এরকম একজন এম, পি দুই দিন আগে ড. কামাল হোসেনের সংগে তার বেইলী রোডের বাসায় সাক্ষাৎ করেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে কিছু ব্যক্তিগত উপহার ঐ এমপি ড. কামাল হোসেনকে পৌছে দেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর একজন ব্যক্তিগত স্টাফ মাঝে মধ্যেই ড. কামাল হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনের পর ড. কামাল হোসেন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। সেখান সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তাকে প্রটোকল দেন। গতকাল ১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনের সংগে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির শিক্ষক। ব্যক্তিগত ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সংগে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সখ্যতার কথা কারো অজানা নয়। অধ্যাপক আনিস জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে একটি লেখা দেয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ করেন। সূত্র মতে, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ড. কামাল হোসেনকে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই ফোনটি তিনি করেছেন। ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি স্মৃতিচারণ মূলক লেখা লিখবেন বলে কথা দেন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে থেকেই ড. কামাল হোসেনের সংগে আওয়ামী লীগ সভাপতির সম্পর্কের বরফ গলার খবর পাওয়া যায়। ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর সংগে সংলাপ চেয়ে চিঠি দিলে, প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষনিক ভাবে সংলাপে রাজী হন। আবদুস সোবহান গোলাপকে পাঠিয়ে জানতে চান যে, চাচা কি খাবেন? এরপর দুদফা সংলাপ হয়। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর প্রকাশ্যে রাজনৈতিক সমালোচনা থাকলেও, কেউ কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করছেন না। বরং ঘরোয় আলোচনায় দুজন দুজনার প্রশংসা করছেন। গতকাল আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সংগে আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সম্প্রতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
৩১ মার্চ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় জোর করেও কেউ ড. কামাল হোসেনের মুখ থেকে জিয়ার নাম উচ্চারণ করাতে পারেন নি। বরং তিনি হলভর্ত্তি বিএনপি কর্মীদের সামনে বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর সংগে কাউকে তুলনা করা যাবে না।’ অন্যদিকে, ঐ দিন রাতেই গণফোরামের কয়েকজন নেতার সংগে আলোচনার সময় ড. কামাল হোসেনও প্রধানমন্ত্রীর কিছু কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন। ড. কামাল বলেন ‘তিনি তো চেষ্টা করছেন।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছেও প্রধানমন্ত্রীর সংগে ড. কামালের যোগাযোগের খবর পৌছেছে। একারণেই ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বিশেষ করে বিএনপির নেতারা ড. কামল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। ড. কামাল হোসেন বিএনপি মহাসচিবকে সংসদে যাবার তাগিদ দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই বিএনপিতে একমাত্র যিনি ড. কামাল হোসেনের প্রতি আস্থাশীল। বাকী সব নেতারা এখন প্রকাশ্যেই ড. কামালকে সরকারের এজেন্ট বলছেন। যদিও ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠরা এটাকে অস্বীকার করছেন। তাদের মতে, বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে ড. কামাল হোসেন কখনও আপোষ করেনি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।