নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০১৯
যে কোন সময় এরশাদের স্বাক্ষর ছিনতাই হতে পারে এ আশংকায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বারিধারার ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ বাসভবন। এইচএম এরশাদের অসুস্থতার অজুহাতে দলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে যখন তখন কেউ যেনো কোনো স্বাক্ষর নিয়ে ফায়দা লুটতে না পারেন সেজন্য পর্যায়ক্রমে দলের একটি অংশ পাহারা দিচ্ছে বলে নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এইচএম এরশাদ নেতাকর্মীদের প্রাণ। নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতাকে একটু দেখার জন্য, খোঁজ নেওয়ার জন্য কখনো প্রেসিডেন্ট পার্কে, কখনো হাসপাতালে ছুটে চলেছেন। জিএম কাদের বলেন, পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনে নেতাকর্মীদের ভিড় থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির গত দুই সপ্তাহের গৃহবিবাদের উত্তাপ পড়েছে তৃণমূলে। এরশাদ ২২ মার্চ গভীর রাতে জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকে জাপায় নতুন করে সংকট সৃষ্টি হয়। দল চালাতে ব্যর্থ, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ ও পরের দিন বিরোধীদলের উপনেতা থেকে বাদ দেন জিএম কাদেরকে। এতে পার্টির একটি অংশ খুশি হলেও বেঁকে বসে বৃহত্তর রংপুরের নেতা-কর্মীরা। দুই সপ্তাহ না পেরোতেই রংপুরের নেতাদের চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার রাতে পুনরায় কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় জি এম কাদেরকে। শনিবার সকালে অপর এক সাংগঠনিক নির্দেশে এরশাদ তার অবর্তমানে পার্টির চেয়ারম্যান হবেন জি এম কাদের এমন এক নির্দেশনা গণমাধ্যমে পাঠান।
এরশাদের এ সর্বশেষ নির্দেশনা যাতে আর কেউ পরিবর্তন করতে না পারে সেজন্য শতাধিক নেতাকর্মী দিনভর এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ঝামেলা এড়াতে সিনিয়র নেতারাও এরশাদের বাসভবন এড়িয়ে চলছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি এইচএম এরশাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে। সাম্প্রতিক সময়ে জাপার নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহলে জাপার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও পার্টির নেতা-কর্মীরা চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, বিগত দুই সপ্তাহ ধরে পার্টির মাঝে ঘাপটি মারা কুচক্রীরা পার্টিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারা একসময় বিএনপি থেকে এ পার্টিতে এসেছে। এদের মাঝে কেউ কেউ এরশাদের বুকে ছুরিকাঘাত করে চলে গিয়ে আবার ফিরে এসেছেন। তারা সরকারের কাছে অনুরোধ রেখে বলেছেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যেন জাপাকে ভাঙার মিশনে কেউ লিপ্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ অনেকে জাপাকে ভেঙে বিএনপি-জামায়াত জোটের মিশন বাস্তবায়ন করতে চায়।
জানা যায়, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা না বলে জিএম কাদেরকে সরানো আবার পুনর্বহালে ক্ষুব্ধ একটি অংশ। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এরশাদের বাসভবন ও বনানী কার্যালয়ে পার্টির তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীর উপস্থিতি বেড়ে গেছে। তারা জটলা বেঁধে উত্তপ্ত স্লোগান দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে কোনো নেতা এরশাদের বাসভবনে এলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলেও হুমকি দেন তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।