নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯
বলিউডে রিমেক হয় দু- ধরনের সিনেমা। এক, বলিউডেরই ক্ল্যাসিক সিনেমা রিমেক। দুই, ভারতের অন্য প্রদেশ কিংবা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সিনেমার রিমেক। আর এই যে নতুন করে তৈরী। এর অন্যতম মূল কারণতো নিশ্চয়ই ব্যবসা। কিন্তু বলিউডে কতটা ব্যবসা গড়তে পারছে রিমেক ছবিগুলো? কিংবা কোন ছবি কি প্রশংসিত হয়েছে?
রিমেকেরও যদি ধারা বলা হয়। তাহলে তারও কয়েকটি ভাগ রয়েছে:
বলিউডের সিনেমা বলিউডে রিমেক:
বলিউডের সিনেমা বলিউডে রিমেক করা ছবি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে খুবই কম। যেমন ১৯৮৩ সালের জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘হিরো’-র রিমেক। পুরনো সিনেমাটিতে অভিনয় করেন জ্যাকি শ্রফ, মীনাক্ষি শিষাদ্রি। মোটেই ব্যবসা করতে পারেনি ছবিটি। ‘কর্জ’ সিনেমাটি করে যেখানে ঋষি কাপুর বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন, সেখানে এর রিমেক করে হারিয়ে যায় গায়ক, সুরকার তথা অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়া। বোল বচ্চন এই সিনেমাটি পুরনো বলিউড সিনেমা ‘গোলমাল’ এর রিমেক। হৃষিকেশ মুখার্জীর পরিচালনায় হওয়া প্রথম সিনেমার মত প্রশংসিত না হলেও রোহিত শেঠী ও স্টার কাস্টের কারণে ছবিটা ব্যবসায়ীক সফলতা পায়। ‘জাঞ্জির’ সিনেমাটি করে বলিউডে প্রতিষ্ঠা পান অমিতাভ বচ্চন। তার রিমেকটি তৈরি করে নিজেকে হাসির পাত্র করে তুলেছেন পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া। উমরাও জান এমনকী বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই-ও রেখার সৌন্দর্য ও আবেদনকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। শোলে বলিউড ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম রিমেকগুলির মধ্যে একেবারে প্রথমে থাকবে রাম গোপাল ভার্মার তৈরি ‘আগ’ সিনেমাটি। ‘চশমে বাদ্দুর’ রিমেকটি মজার হলেও প্রথম সিনেমাটিকেই বেশি ভালোবেসেছেন সিনেমাপ্রেমীরা। ‘খুবসুরত’ রেখার ক্লাসিক সিনেমার রিমেক বক্স অফিসে ভালো করতে পারেনি। ‘ভিক্টোরিয়া নম্বর ২০৩’ সত্তরের দশকের রহস্য নির্ভর সিনেমা ভিক্টোরিয়া নম্বর ২০৩-এর রিমেকে অভিনয় করে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই করেননি বিখ্যাত অভিনেতা ওম পুরী ও অনুপম খের।
দক্ষিণী সিনেমার রিমেক বলিউডে:
এখানে সফল বলা যায়। বলিউডের একাধিক সফল সিনেমা আসলে তামিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে গল্প ধার করে বানানো। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, তামিল সিনেমার বলিউড রিমেক সিনেমায় শুধু মাত্র অভিনিয়শিল্পীরা ছাড়া লোকেশন, কাহিনী ও গানের দৃশ্যায়ন একই হয়ে থাকে। সিনেমাগুলো শুধু ব্যবসা সফলই হয় না, ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় দর্শক মহলে। ‘আনজানা আনজানি’ ২০১০ সালে বলিউডে মুক্তি পায়। অনেকেই জানেন না, সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ছবিটি আসলে দক্ষিনের তেলেগু সিনেমার নকল। টলিউড সুপারস্টার রবি তেজার ‘ইটলু স্রাভানি সুব্রমানিয়াম’ ছবি থেকে মেয়া হয়েছে ‘আনজানা আনজানি’ ছবির কাহিনী। দক্ষিনে ছবিটি বেশ সাড়া ফেললেও বলিউডে ছবিটি অ্যাভারেজ হিটের তালিকায় স্থান পায়।
‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ মাধবন ও দিয়া মির্জার ছবি। এটিও তামিল ছবির হিন্দি সংস্করণ। তামিল ছবি ‘মিনালে’ ছবিটি থেকে কাহিনী নেয়া। বলিউড ও তামিল দুই ক্ষেত্রেই বেশ জনপ্রিয়তা পায় ছবি দুটি।
২০০১ সালের আরেক সুপারহিট বলিউড সিনেমা ‘নায়ক’। দক্ষিনি অভিনেতা অর্জুন সারজা অভিনীত ‘মুধালভান’ ছবির হিন্দি সংস্করণ হচ্ছে ‘নায়ক’। এস শঙ্কর পরিচালনা করেন দুটি ছবিই। দুই ভাষাতেই সমান ব্যবসা সফল ও জনপ্রিয়তা পায় ছবিগুলো।
‘নো এন্ট্রি’ ছবিটি রিমেক করা হয় তামিল ছবি ‘চার্লি চ্যাপলিন’ থেকে। সালমানের ছবিটা ব্যাবসাসফল হয়।
১৯৯৩ সালে দক্ষিনে মুক্তি পায় মালায়ালাম সিনেমা ‘মানিচিত্রাথাজু’ ছবিটি। এটি মুক্তির প্রায় ১৫ বছর পর ছবিটির হিন্দি সংস্করণ ‘ভুল ভুলাইয়া’ সুপারহিটই হয়।
এছাড়াও ওয়ান্টেড, বডিগার্ড, রাওডি রাঠৌর, সিংহম, গজনি, দৃশ্যম, বিল্লু, বিবি নাম্বার ওয়ান, হেরা ফেরি, ফোর্স, সাথিয়া ছবিগুলোর মূলত জন্মস্থান দক্ষিণেই। ওভারঅল বললে দক্ষিণী সিনেমার রিমেক হোক কিংবা কপি হোক সেটা ব্যবসাসফল হয় বলিউডে। যার সর্বশেষ উদাহরণ সিম্বা।
হলিউড থেকে রিমেক:
ব্যং ব্যং (নাইট অ্যান্ড ডে), লাইফ ইন এ মেট্রো (দি অ্যাপার্টমেন্ট), দিল হ্যায় কে মানতা নাহি (ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট), জিসম (বডি হিট), কোয়ি মিল গ্যায়া (দি এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল), ব্ল্যাক (দ্য মিরাকল ওয়ার্কার), কিঁউ কি (ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কাকুস নেস্ট),মার্ডার (আনফেইথফুল), সরকার (দ্য গডফাদার), অগ্নিপথ (স্কারফেস),কাঁটে (রিজারভোয়ের ডগস)- ছবিগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়। তবে হুবহু হলিউড থেকে কপি পেস্ট না করা হলেও উল্লেখিত ছবি অনুপ্রানিত হয়েছে হলিউড থেকেই। ব্যাবসায়িক হিসেবে আসলে ছবিগুলো অ্যাভারেজ ব্যবসা করেছে।
কোরিয়ান সিনেমা থেকে বলিউড:
মার্ডার টু ‘দ্য চেজার’, জিন্দা ‘ওল্ডবয়’ আওরাপন ‘অ্যা বিটারসুইট লাইফ’ আগলি অউর পাগলী ‘মাই স্যাসি গার্ল’, এক ভিলেন ‘দ্য চেসার’, জাজবা ‘সেভেন ডেজ’ রকি হ্যান্ডসাম ‘দ্য ম্যান ফ্রম নো হোয়ার’- এর মতো আরো কয়েকটি কোরিয়ান সিনেমা বলিউডে রিমেক হয়েছে। কোনটি আহামরি ব্যাবসা করেনি।
আপকামিং রিমেক:
ভারত - সালমন খানে র আপকামিং সিনেমা ‘ভারত’ অনুপ্রাণিত হয়েছে ‘ওড টু মাই ফাদার’ থেকে।
পতি পত্নি অর ওহ: ১৯৭৪ সালের সিনেমাটি রিমেক হচ্ছে। বিআর চোপড়ার সিনেমাটির রিমেকে অভিনয় করবেন কার্তিক আরিয়ান, ভূমি পেডেনকার, অনন্যা পান্ডে।
কবির সিং: তেলেগু হিট ফিল্ম ‘অর্জুন রেড্ডি’র রিমেক হচ্ছে বলিউডে। বলিউডের রিমেক ছবির নাম ‘কবির সিং’।
ড্রাইভ: হলিউডের রয়ান গসলিংয়ের ‘ড্রাইভ’ সিনেমার রিমেক হচ্ছে বলিউডে। বলিউড সিনেমায় অভিনয় করবেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
ক্রিক পার্টি: দক্ষিণী এই ছবিটির রিমেকেও অভিনয় করবেন কার্তিক আরিয়া ও জ্যাকলিন।
কুলি নাম্বার ওয়ান: গোবিন্দর কুলি নাম্বার ওয়ান রিমেক করবেন বরুণ ধাওয়ান।
র্যাম্বো: সিলভেস্টার স্টালিনের র্যাম্বো সিনেমার রিমেক করবেন টাইগার শ্রুফ।
কিজিয়া অ্যান্ড মেনি: হলিউডের বিখ্যাত ‘ফলট অব স্টারস’ সিনেমার রিমেক করছেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
প্রস্থনাম: দক্ষিণী এই সিনেমাটির রিমেক হবে বলিউডে। সঞ্জয় দত্ত অভিনয় করবেন। তবে এখনো নাম ঠিক হয়নি।
এগেইন বিগেইন: হলিউডের ‘এগেইন বিগেইন’ সিনেমাটির রিমেক হবে বলিউডে। সিনেমার্টি নির্মাণ করেবেন ‘খুবসুরাত’, ‘ভীরে দ্যা ওয়েডিং’ ছবির নির্মাতা শশাঙ্ক গুপ্তা।
মুলসি প্যাটার্ন: সালমান খানের প্রযোজনায় মারাঠী এই সিনেমাটি রিমেক হবে। অভিনয় করবেন তার ভগ্নিপতি আয়ূশ শর্মা।
ও কোন থি: বলিউডের ক্ল্যাসিক এ সিনেমাটির রিমেক করবেন শহীদ কাপুর।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও বিতর্কের কমতি নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।
বুধবার
(৮ মে) সন্ধ্যায় সিনেবাণিজ্য
বিশ্লেষক তরণ আদর্শ ইনস্টা
পোস্টে জানান, সঞ্জয় লীলা বনশালির ডেবিউ
ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’ এযাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী
সবথেকে বেশি দেখা ভারতীয়
সিরিজের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি
রাও হায়দরি, শেখর সুমন, অধ্যয়ন
সুমন ও ফারদিন খানের
মতো তাবড় কাস্টিং নিয়ে তৈরি ‘হীরামাণ্ডি’।
গত পয়লা মে নেটফ্লিক্সে
মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। বনশালির ১৮
বছরের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘হীরামাণ্ডি’। কোনওরকম কসরত
বাকি রাখেননি পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, বনশালি মানেই ‘লার্জার দ্যন লাইফ’ সেট,
সাজপোশাক। এই সিরিজে কোটি
কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত
হয়েছে।
সিরিজে
‘লাহোর বলে লখনউ দেখানো
আর রিসার্চ ছাড়াই গল্প সাজানোতে ক্ষোভে
ফুঁসছে পাকিস্তান। আবার নিজের দেশেও
সিরিজ মেকিং নিয়ে প্রতিপদে চর্চার
মুখে পড়তে হচ্ছে বানশালিকে। কারও দাবি, ঐতিহাসিক
তথ্যে ভুল করেছেন নির্মাতা।
তো কেউ বা আবার
কাস্টিংয়ের জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ
তুলেছেন। এমনকি সিরিজের সংলাপে ব্যবহৃত উর্দু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন দর্শকদের একাংশ।
মন্তব্য করুন
নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে
সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান
থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক
ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলার আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে
বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম
খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী
সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ
ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা
করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে
ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে
লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।
মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী
কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর
দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
পাঠানো হয়।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি
আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট
২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন
ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া
হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চিত্রনায়িকা
শবনম বুবলী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) জিডি করলেও পুরো বিষয়টিই শুরু থেকে গোপন রেখেছিলেন
তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকাই সিনেমার বুবলীর অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে একদল মানুষ অরুচিকর,
মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে
এবার কড়া পদক্ষেপ নিলেন তিনি।
সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী উল্লেখ করেছেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবত কিছু ব্যক্তি,
অনলাইন পোর্টল ও টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন
অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডাইরিভুক্ত
করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ
সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশন’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন
তুফান, ‘শাহিনুর আক্তর’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫-২০টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের
নাম উল্লেখ করেছেন বুবলী। তার অভিযোগের তালিকায় আছে দেশের ৪টি গণমাধ্যমেরও নাম। বুধবার
(৮ মে) ডিএমপির গুলশান বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে
বুবলীর জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের
সাইবার ইউনিট তদন্ত করছে।’ এদিকে জিডি প্রসঙ্গে বুবলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা
করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।
মন্তব্য করুন
বলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাডুকন। সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে বিয়ের ছবি মুছে দিয়েছেন রণবীর সিং। গত
মঙ্গলবার (৭ মে) এ বিষয়টি নেটিজেনদের নজরে আসে।
তবে রণবীর-দীপিকা দম্পতি নবজাতকের আগমনের প্রহর গুনছেন। আগামী সেপ্টেম্বরেই
দীপিকা-রণবীরের কোলে আসতে চলেছে প্রথম সন্তান।
৩ বছর আগে দীপিকাও তার ইনস্টাগ্রাম থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বিয়ের
সব ছবি। ২০২১-এর ১ জানুয়ারি দীপিকা বিয়ের সব ছবি সরিয়ে ফেলেন। এর ১১ মাস পরে আবার
সেই সরিয়ে দেওয়া বিয়ের ছবিগুলো নিজের অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে আনেন দীপিকা।
যদিও রণবীরের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, অভিনেতা আসলে ২০২২-২৩
এর আগের সমস্ত ছবি মুছে দিয়েছেন। ফলে বিয়ের ছবিও তাকে মুছতে হয়।
তবে স্পষ্ট নয়, স্থায়ী ভাবে সেই ছবিগুলো তিনি সরিয়ে দিয়েছেন কি
না। বিয়ের ছবিগুলো মুছে দেওয়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দীপিকা-রণবীর ভক্তরাও পড়েছেন অস্বস্তিতে।
বলিউড তারকা দম্পতি রণবীর সিং দীপিকা পাডুকন
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী গণভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রেহানা
মন্তব্য করুন
সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও বিতর্কের কমতি নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।
নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।
রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) জিডি করলেও পুরো বিষয়টিই শুরু থেকে গোপন রেখেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকাই সিনেমার বুবলীর অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে একদল মানুষ অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিলেন তিনি।