নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯
ডিজিটাল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ডাটাবেজ বা তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে এবং দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যেন কোনো অপকর্ম করতে না পারে, সেটা বন্ধের জন্যই এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিট থেকে নেতাকর্মীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, শুধু মূল সংগঠন নয়, অঙ্গ সংগঠনেরও নেতাকর্মীদের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নুসরাত জাহান রাফির ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম উঠে আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে জানতে চান, আওয়ামী লীগের কর্মী সংখ্যা কত? কোনো সাংগঠনিক সম্পাদকই এর উত্তর দিতে পারেননি।
যদিও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রাথমিক সদস্যপদের জন্য একটি ফি দিতে হয় এবং তাকে প্রাথমিক সদস্যপদের ফরম পূরণ করতে হয়। কিন্তু সদস্য তালিকা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ বা সংরক্ষণ করা হয় না। ফলে দেখা যায় যে, যখনই কেউ অপরাধ করে তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে গণমাধ্যম প্রচার করা হয়। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেছেন, ‘অপরাধীরা সবসময় আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করতে চায়। কারণ এতে আনা পুলিশ কোটকাচারিতে সুবিধা পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্য এটাও সত্য, অনেক সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এজন্যই অনেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন।’ তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘গত জানুয়ারি আগ থেকে আওয়ামী লীগে প্রশাসনিক সদস্যপদ দেয়া বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক সদস্যপদ প্রাপ্তিতে কিছু যোগ্যতা ও শর্ত চুড়ান্ত করা সাপেক্ষে; নতুন করে কর্মী সংগ্রহ করা হবে।’ আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা বলেছেন, ‘আগে স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিকে সদস্য সংগ্রহে কোন যাচাই বাছাই করা হতো না। যে কেউ চাইলেই স্থানীয় নেতাদের কাছে গিয়ে প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন, এ কারণেই ২০১০ থেকে প্রচুর বিএনপি, জামাত এবং সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে। কোথাও কোথাও এদের হাতেই আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রন চলে যায়। এজন্যই আওয়ামী লীগ সকল কর্মীর নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে আগামী অক্টোবরের ঐ আগেই এই তালিকা তৈরীর কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় নেতা, সাধারণ সদস্য এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের তালিকায় সংগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে কবে আওয়ামী লীগ যোগদান করেছে, পেশা, অতীতে কি রাজনীতি করেছেন কিনা, পরিবারের অন্যান্য কোন সদস্য রাজনীতি করে কিনা ইত্যাদি। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ ধরনের তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরফলে, কিছু ঘটলেই তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী বা নেতা পরিচয় দেয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। একই সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও সহজ হবে। সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজেই এই তথ্য ভান্ডার তৈরীর কাজ করছেন। এটি সম্পন্ন হলে জানা যাবে, আওয়ামী লীগের কর্মী সংখ্যা কত?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।