নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯
খালেদা জিয়াকে মুক্ত অথবা জামিনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বিএনপি। যে দেশগুলোর ওপর বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল সেই দেশগুলোর সাহায্যে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে দলটি। বিএনপির একাধিক সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য একটি বড় শ্রমবাজার। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি সৌদি আরবে কাজ করেন। সৌদি আরব যেন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করে সেজন্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সৌদিতে যে বিএনপি রয়েছে, সেখানে যে প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দ রয়েছে তাদেরকে দিয়ে সৌদি সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন এবং তাকে যেন অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসা করা হয় সেই জন্য লবিং করার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপি ঘনিষ্ট যোগাযোগ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির যে নেতৃবৃন্দ, তারা ইতিমধ্যে একাধিক কংগ্রেসম্যান সিনেটর এবং প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন, খুব শীঘ্রই যেন তারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্যোগ প্রকাশ করে এবং তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটা লবিস্ট ফার্মও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিনেটর এবং কংগ্রেস ম্যানরা যেন কথা বলে সেজন্য একটা লবিস্ট ফার্মকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নেও বিএনপির প্রবাসী নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করেছেন। তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে একটি মানবিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে তার শারীরিক অবস্থার বর্ননা দিয়েছেন। অবিলম্বে যেন খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ছাড়া কোন জায়গা থেকেই বিএনপির নেতৃবৃন্দরা তেমন কোন সাড়া পায়নি। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করবে। প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে দেশটি। তবে এ ব্যাপারে বিএনপির নেতৃবৃন্দর তেমন কোন আগ্রহ নেই বলে জানা গেছে। তারা শুধু চাইছে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেন সৌদি আরব সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
এছাড়া বিএনপির নেতৃবৃন্দ ভারতের সঙ্গেও বেগম খালেদা জিয়ার শারীরীক অবস্থা এবং মুক্তির জন্য যোগাযোগ করছে। ভারত যেন খালেদা জিয়ার জামিন এবং উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে সেজন্য অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এখন তাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আগামী ২৩ শে মে’র আগে ভারতের পক্ষ থেকে এ ধরেনের উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে না বলে ভারতের কূটনৈতিক মহল জানিয়েছে।
এজন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপি এখন সৌদি আরব , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরো কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোন দেশই খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে কোন বিবৃতি দিতে কিংবা সরকারের ওপর কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে রাজি হননি। আদৌ এ ব্যাপারে তারা কোন ভূমিকা নিবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।