নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গণভবন। তৃণমূলের বিরোধ মেটানো এবং উদ্দীপনা দিতে ঈদের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মাসে অন্তত একদিন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত স্টাফদের এ ব্যাপারে একটি সহজ এবং বুদ্ধিদীপ্ত পদ্ধতি তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর একজন ব্যক্তিগত স্টাফ বলেছেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রধান অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী যদি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে ব্যস্ত না থাকেন, তাহলে তিনি স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কখনো ফেরান না। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায়, তারা এমন সময় এলেন যে সময় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। এজন্য আমরা সপ্তাহে বা অন্তত মাসে একটি দিন তৃণমূলের জন্য রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপ্রার্থী তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আগেই তাদের সাক্ষাতের অভিপ্রায়ে নাম নিবন্ধন করবেন।’
উল্লেখ্য, এখনও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গণভবনে অবাধে যেতে পারেন। কিন্তু পাশ প্রাপ্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোনো না কোনো ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপর নির্ভর করতে হয়। সাধারণ প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এবং বিশেষ সহকারীরা এই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নানা ব্যস্ততার জন্য তারা অনেক সময় ফোন ধরতে পারেন না। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে বিগত এপিএস সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে নতুন এপিএস দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত সময়ে কিছু সমস্যা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলে মতবিরোধ এবং কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। এই বিরোধ নিস্পত্তির জন্য কোনো শাস্তির খড়গ নয়, বরং সমঝোতার পথেই যেতে চান প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তৃণমূলই আওয়ামী লীগের শক্তি। দলের দুঃসময়ে এরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এবং ওয়ান ইলেভেনের উদাহরণ দেন। তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার উপরও শেখ হাসিনা গুরুত্ব দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একজন তৃনমূলের নেতা-কর্মী কিছুই চান না। তারা তাদের ‘প্রানপ্রিয়’ দলীয় সভাপতির কথা সামনা সামনি শুনলেই তৃপ্ত হন। এটাই তাদের সবচেয়ে প্রেরণা। তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে দলের অন্য নেতাদের গুরুত্ব এখন সামান্যই। তাদের সব আবেগ এবং ভালোবাসা শেখ হাসিনাকে ঘিরেই। অন্যদিকে, শেখ হাসিনাও দলের সিনিয়র এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যতো কঠোর , তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে এতোটাই উদার। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, দলের সভাপতি তৃনমূলের সঙ্গে কথা বলতে যতো আনন্দ পান, সেটা সম্ভবত অন্য কোন কাজে তিনি পান না।’ তিনি বলেন, ‘তৃনমূলই আওয়ামী লীগ সভাপতির সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের নিরঙ্কুশ এবং শর্তহীন সমর্থনেই তিনি দলে তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। দলে তার প্রতিপক্ষরা পরাজিত হয়েছে তৃনমূলের কারণেই।’ আর এজন্যই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি সব সময় তৃনমূলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চান। তবে, এবারই প্রথমবারের মতো এরকম আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী তৃনমূলের বক্তব্য শুনবেন, তাদের সমস্যা গুলো জানবেন এবং তাদের পরামর্শ নেবেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।