নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দলকে ঢেলে সাজানোর কথা শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। প্রতি সপ্তাহেই তিনি হয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক, নাহলে সভাপতি মণ্ডলীর বৈঠক, বিভিন্ন যৌথসভা করছেন, সম্পাদক মণ্ডলীরাও বৈঠক করছেন। এই সমস্ত বৈঠক থেকে আলোচনায় যেসব বিষয় ফুটে উঠছে তা হলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগে এবার তারুণ্যের জয়জয়কার হতে পারে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির পরে সবচেয়ে ক্ষমতাবান জায়গা হলো সভাপতিমণ্ডলী বা প্রেসিডিয়াম। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সিদ্দান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু হলো প্রেসিডিয়াম। কিন্তু গত ২০১০ সালের পরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কার্যকর নয়। বরং প্রেসিডিয়ামের ক্ষমতা থাকলেও প্রেসিডিয়ামকে খুব বেশি সক্রিয় দেখা যায়নি। এজন্যই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে এবার প্রেসিডিয়ামকে ঢেলে সাজানো হতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রেসিডিয়ামে যারা অপেক্ষাকৃত বয়সে প্রবীণ তাদেরকে প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওয়ান-ইলেভেনের কলংকের কারণে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমুর মতো হেভিওয়েট নেতারা প্রেসিডিয়াম থেকে ছিটকে পড়েছেন। তারা এখন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। কাজেই তাদের ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা বা লক্ষণ নেই। বরং প্রেসিডিয়ামের যারা অপেক্ষাকৃত বয়ঃপ্রবীণ তারাও প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ পড়তে পারেন এবং তাদের বদলে নতুনরা জায়গা পেতে পারেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং দলের প্রবীণ নেতা, বর্তমান সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী খুবই অসুস্থ। তিনি শুধুমাত্র প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় তিনি তেমন একটা সক্রিয় থাকতে পারেন না। দলের সভাপতির তার প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি এবার প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, তিনিও বার্ধক্যের কারণে এখন আগের মতো কর্ম উদ্দীপ্ত নন, এজন্য তিনিও প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ পড়তে পারেন। ২০০৯ থেকে পালাক্রমে আওয়ামী লীগ স্থানীয়দের অন্তর্ভূক্ত করার একটা রেওয়াজ চালু করেছে। শ্রী পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন। এবার হয়তো তিনি বাদ পড়বেন। তার বদলে স্থানীয় পর্যায়ের অন্যকোন প্রবীন নেতাকে হয়তো প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। এভাবে প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ পড়তে পারেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রী ছিলেন আব্দুল মান্নান খান। নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার এলাকায় মনোনয়ন পেয়েছেন সালমান এফ রহমান। যদিও তিনি প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনিও প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এরা ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরো কয়েকজন আছেন যারা দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে সক্রিয় নন। দলীয় কর্মকাণ্ডে তাদের তেমন গতিশীলে দেখা যায় না। তাদের বদলে প্রেসিডিয়ামে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও সক্রিয়দের আনা হতে পারে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একটি তরুণ প্রজন্ম আস্তে আস্তে প্রৌঢ় হয়েছে। তাদেরকে আস্তে আস্তে প্রেসিডিয়ামে আনার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানকের মতো তারুণ্য শেষ করা নেতারা এবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে জায়গা পেতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে যে, একটা সময় ছিলো আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম খুব সক্রিয়। প্রেসিডিয়ামের নেতারাই দল পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। কিন্তু এটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন প্রেসিডিয়াম আগের মতো সক্রিয় নয়। বরং দলের সম্পাদক মন্ডলী। বিশেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে দল পরিচালনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এবার কাউন্সিলে সেই ধারণা পরিবর্তন করে আবার কার্যকর ও দায়িত্বশীল একটা জায়গায় দলকে নিয়ে আসতে চায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোতে আভাষ পাওয়া গেছে। এই লক্ষেই প্রেসিডিয়ামে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এখন থেকেই।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।