নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯
আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এবারের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ একজন সার্বক্ষনিক সাধারণ সম্পাদক খুঁজছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা আছে এমন কয়েকজনের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধারে সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মাহবুবুল আলম হানিফ। ওবায়দুল কাদের ফিরে আসার পরও তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। কারণ তিনি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাকে দুটি দায়িত্ব দিতে আপত্তি আছে স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শুধু ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতা নয়, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা, তৃনমূলকে মূল্যায়ন করা, আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ একজন সার্বক্ষণিক সাধারণ সম্পাদক খুঁজছেন। তিনি কোন মন্ত্রী থাকবেন না, সরকারী পদ গ্রহণ করবেন না। বরং তিনি সার্বক্ষণিকভাবে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সময় দিবেন এবং দলীয় সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো এমন একটি আওয়ামী লীগ। এজন্যই তিনি পঞ্চাশের দশকে মন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার জন্য। সেই সময়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে ছিলো যিনি দলের পদে থাকবেন, তিনি মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। যেকোন একটা গ্রহণ করেতে হবে। দুটি একসঙ্গে গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই অবস্থা পাল্টে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নেতারাই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন। ২০০৮ সালে অনেকজনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক পদটি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়, ২০০৯ সালে গঠিত মন্ত্রিসভায় দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরবর্তীতৈ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হওলেও তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপরের কাউন্সিলে সৈয়দ আশরাফের জায়গায় ওবায়দুল কাদের দায়িত্ব পালন করে। ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালেও সেতুমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি মনে করছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকার পর দল যেন দুর্বল না হয়ে পড়ে, দল যেন স্থবির না হয়ে যায়, সেজন্য একজন পূর্ণকালীন সাধারণ সম্পাদক দরকার। সেই পূর্ণকালীন সাধারণ সম্পাদকের সূচনা হতে পারে আগামী অক্টোবরের কাউন্সিল থেকে।
জানা গেছে আওয়ামী লীগের যে এখন চারজন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আছেন তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ডা. দীপুমনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাহবুবুল আলম হানিফ সংসদ সদস্য হলেও তিনি কোন মন্ত্রিসভার সদস্য নন। আব্দুর রহমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক তারা দুজনের একজনও সংসদ সদস্য নন। তারা সার্বক্ষনিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই তিনজনের একজনকে যদি পূর্ণকালীণ সাধারণ সম্পাদক করা হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের সঙ্গে এ ব্যপারে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে। তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলেই একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এই তিনজন ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামেরও দু-একজন সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক পদ পেলে তারা মন্ত্রীত্ব ছাড়তে রাজি কিনা। এ ব্যাপারে তারাও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভার সদস্য এবং যারা সাধারণ সম্পাদক পেতে ইচ্ছুক, এদের মধ্যে রয়েছেন ড. আব্দুর রাজ্জাক (কৃষিমন্ত্রী), ডা. দীপুমনি(শিক্ষামন্ত্রী)। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি এ ব্যাপারে নানা রকম বিচার বিশ্লেষন করছেন এবং নানা রকম হিসেব নিকেশের মাধ্যমেই হয়তো তিনি শেষ পর্যন্ত এই পদে কাকে মনোনিত করবেন তা চুড়ান্ত করবেন। তবে সাধারণ সম্পাদক যেই হোক না কেন, অক্টোবরের কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে নবযাত্রার সূচনা হবে। যেখানে দলের যারা সভাপতি মন্ডলী এবং সদস্য থাকবেন, তারা মন্ত্রিসভার পদ নাও পেতে পারেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা দলের সম্পাদক মন্ডলী এবং সভাপতি মন্ডলীর পদে নাও থাকতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে অন্তত আওয়ামী লীগ সভাপতি এখন পর্যন্ত সেপথেই এগুচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।
সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।
এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।
বিএনপি নেতানিয়াহু দোসর হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি।
সিঙ্গাপুর মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?
তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।
মার্কিন স্যাংশন ভিসানীতি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।