নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২১ মে, ২০১৯
নির্বাচনের সময় মন্ত্রীরা যে হলফ নামা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রাফট কোটায় যে সব মন্ত্রীরা আছেন তাদেরও সম্পদের হিসেব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনা হয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং পরীবিক্ষণের জন্য এই সম্পদের হিসেব সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মন্ত্রীদের এবং তাদের পরিবারের সম্পদের আকস্মিক বৃদ্ধি হয় কিনা তা মনিটরিং করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার নির্দেশে এই সেল খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে এটা নতুন নয়। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পরও প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের সম্পদের হিসেব নিয়েছিলেন। যদিও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা মনে করেন, ‘এটা জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় নয়। এটি জবাবদিহিতার বিষয়।’ তার মতে ,‘বর্তমান সরকার কাঠামোয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়বদ্ধ। কাজেই তাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা বলেছেন,‘ এবার দায়িত্ব গ্রহণ করেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি চান মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে যেন কোন দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে।’ ঐ উপদেষ্টা মনে করেন,‘ বিগত দুই মেয়াদে সরকার জনকল্যানে এবং উন্নয়নে অবিস্মরণীয় কাজ করেছে। কিন্তু তারপরও কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।’ তিনি বলেন,‘ এবার প্রধানমন্ত্রী চান ক্লিন মন্ত্রিসভা।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শুধু সম্পদের হিসেব নয়, মন্ত্রীরা এবার প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, মন্ত্রীদের সম্পর্কে ৫টি তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিয়মিত হালনাগাদ বা আপডেট করছে এগুলো হলো;
১. মন্ত্রীদের ( মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী ) দাপ্তরিক কার্যক্রমঃ মন্ত্রাণালয়ে কতক্ষণ থাকছেন। ফাইল নিস্পত্তি কিভাবে করছেন। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাজ কিভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন ইত্যাদি।
২. মন্ত্রীদের এলাকায় অবস্থান: মন্ত্রীরা এলাকায় কতবার যাচ্ছেন বা আদৌ যাচ্ছেন কিনা। এলাকায় নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এলাকার জনগণের সংগে তার সম্পৃক্ততা কমছে না বাড়ছে।
৩. দলের সংগে সম্পর্কঃ মন্ত্রীরা দলীয় কার্যালয়ে যান কিনা। দলীয় কর্মসূচীতে তাঁদের উপস্থিতি কেমন? দলের নেতা কর্মীদের সংগে সম্পর্ক কেমন।
৪.মন্ত্রীদের পরিবারের খবর: মন্ত্রীদের স্ত্রী, সন্তান বা নিকটাআত্মীয়রা কোথায় যান, কার সংগে মেশেন। মন্ত্রনালয়ের ঠিকাদার বা অন্য ব্যবসায়ীদের সংগে তাঁদের সম্পর্ক আছে কিনা। মন্ত্রনালয়ের কাজে হস্তক্ষেপ করেন কিনা,
৫. মন্ত্রী তদ্বির করেন কিনাঃ মন্ত্রনালয়ের কেনা কাটা, দরপত্র,নিয়োগ,বদলী ইত্যাদি বিষয় কি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয় নাকি মন্ত্রীরা এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।
জানা গেছে, এই পাঁচ তথ্যের ভিত্তিতেই এবার মূল্যায়ন হচ্ছে মন্ত্রীদের পারফর্মেন্স।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।