নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ২২ মে, ২০১৯
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ৫৭টি আর্টিকেল প্রকাশ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ১৫টি টিভি রিপোর্টিং প্রচারের জন্য নারী উন্নয়ন শক্তি’র পক্ষ থেকে সাংবাদিকগণকে আহবান জানানো হয়। তদানুসারে সাংবাদিকগণ বিভিন্ন পত্রিকায় উক্ত আর্টিকেল প্রকাশ ও টিভি চ্যানেলে রিপোর্টিং প্রচার করে তাহার কপি নারী উন্নয়ন শক্তির কাছে জমা দিলে বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী দ্বারা যাচাই-বাছাই করে উভয় শাখার ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকার জহুর হোসেন চেধৈুরী হলে আজ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরা লেখনী এবং রিপোর্টিং এর জন্য নির্বাচিত সাংবাদিকগণের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব শরীফ আহমেদ, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে ক্রেষ্ট, নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং সাংবাদিকগন এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাহফুজুর রহমান, সম্পাদক, ইউএনবি এবং ড. সুলতান মুহম্মদ রাজ্জাক, ডাইরেক্টর (অপারেশন এন্ড মার্কেটিং), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল লি:। নারী উন্নয়ন শক্তি’র নির্বাহী পরিচালক ড. আফরোজা পারভীন উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকগন তাদের ক্ষুরধার লেখনী এবং বস্তুনিষ্ট টিভি রিপোর্টিং প্রচারের মাধ্যমে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজকে জাগ্রত করতে পারে।
পত্রিকায় আর্টিকেল প্রকাশের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক রীতা ভৌমিক, দৈনিক যুগান্তর- ১ম, নাছিমা খাতুন, দৈনিক ইত্তেফাক- ২য় এবং মো: এহছানুল হক খান, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ ও ওয়াজেদ হীরা, দৈনিক জনকন্ঠ যৌথভাবে ৩য় স্থান এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টিভি রিপোর্ট প্রচারের জন্য শারমিন ইব্রাহীম, বাংলাভিশন- ১ম, শেখ হুমায়ুন কবীর সূর্য্য, নিউজ টোয়েন্টি ফোর- ২য় এবং নাজনীন আক্তার, মোহনা টিভি- ৩য় স্থান লাভ করেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রাপ্তদের মাঝে ক্রেষ্ট, নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি নারী উন্নয়ন শক্তি’র উদ্যোগে পরিচালিত হয় এবং উইমেন’স ফান্ড ফর এশিয়া, শ্রীলংকা এতে সহায়তা প্রদান করে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জে
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২
শিক্ষক, ১ শিক্ষার্থী সহ
৪ জন নিহত হয়েছেন
। শনিবার (১৮ মে) রাতে
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর
ও একই উপজেলার গোপালগঞ্জ-চাপাইল সড়কের চাপাইল নামক স্থানে এ
দুর্ঘটনা ২টি ঘটে।
নিহতরা
হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার দেবাসুর গ্রামের কানাই লাল দাসের ছেলে
ও শহরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি
মহিলা কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক পিনাকী রঞ্জন দাস (৫৭), একই
উপজেলার কড়িগ্রামের রেবতী মোহন সরকারের ছেলে
ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর
এম.এইচ.খান ডিগ্রী
কলেজের সহকারী অধ্যাপক বাবুল সরকার (৪৮), পুঁইশুর গ্রামের
আব্দুল আলী মোল্যার ছেলে
ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্যা (৪২) এবং গোপালগঞ্জ
সদর উপজেলার ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবু শেখের ছেলে
ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্র
রামিম শেখ (১০)।
পিনাকী
রঞ্জন দাস শেখ ফজিলাতুন্নেছা
সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন
ধরে গোপালগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন
পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব
পালন করে আসছিলেন।
কাশিয়ানী
উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই মোঃ আল
মাহামুদ জানান, ‘একটি মোটর সাইকেলে
করে কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ শহরের
উদ্দেশ্যে রওনা দেন শেখ
ফজিলাতুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস, এমএইচখান ডিগ্রী
কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার ও ইমাদ পরিবহনের
সুপারভাইজার জুয়েল মোল্যা তাদের মোটর সাইকেলটি শহরতলীর
হরিদাসপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে
একটি বাস ধাক্কা দেয়।
এতে মোটর সাইকেলের ৩ আরোহী মহাসড়কে
ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত
হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০
শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মোল্যা মারা যায়। আহত
অপর দু’ শিক্ষককে সংকটজনক
অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে
মারা যান।
অন্যদিকে
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ
আনিচুর রহমান জানান, শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চাপাইলে
রাস্তা পারাপারের সময় মাটিটানা ট্রলির
চাপায় রামিম শেখ মারাত্মক আহত
হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় রাত ৯ টার
দিকে তিনি মারা যায়।
মন্তব্য করুন
গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর চট্টগ্রামে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। রোববার (১৯ মে) সকাল ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কয়েকদিন টানা তাপপ্রবাহের পর এমন বৃষ্টিতে নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।
এর আগে গত ৬ মে চট্টগ্রামে কালবৈশাখী ঝড় হয়। ওইদিন তীব্র বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি আর বজ্রপাত হয়। ৩ ঘণ্টায় প্রায় ৩২ মিলিমিটারের ওই বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগর ও জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে যানচলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল।
এর পর থেকে আর দেখা মিলছিল না বৃষ্টির। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। ছোট-বড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। এরই মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে নামে নগরবাসীর জন্য।
এদিকে, হঠাৎ বৃষ্টি নামায় ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে বের হওয়া নগরবাসী। ছাতা ছাড়া বের হওয়া লোকজনকে পার্শ্ববর্তী দোকান এবং স্থাপনায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ’র দেওয়ার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেস এর অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to
Protecting Nature".
শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি।
হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।
শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি।
পরিবেশ রক্ষা হাইকিং পদযাত্রা জবি শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।
তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন