নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ মে, ২০১৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন অনড় অটুট। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সংগে রাজনীতির বাইরে তার সম্পর্কটা ছিল চোখে পড়ার মত। এই সখ্যতা নিয়ে অনেকরকম গল্প এবং আলোচনাও রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের স্বাধীকার, মুক্তির প্রশ্নে যেমন আপোষ করেননি আবার তেমনি যারা তার প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, এমনকি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল এমন অনেকের সংগে ব্যাক্তিগত সখ্যতা বঙ্গবন্ধু রেখেছিলেন। এটাই হয়তো মানবিক গুণাবলি। যেমন বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীকার আন্দোলনের জন্য উত্তাল বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেসময় তার সংগে সম্পর্ক ছিল মুসলিম লীগের নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সবুর খানের। এমনকি মওলানা ভাষানী যিনি আওয়ামী লীগ ও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তার প্রতিও তিনি সারাজীবন শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অটুট রেখে গেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই জিনিসটা দেখা যায় না। প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদ মানেই হলো একে অন্যের চরম শত্রু। তারসঙ্গে সব ধরণের সম্পর্কই বন্ধ। যেটা আসলেই কখনও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বা রাজনৈতিক গুণাবলি নয়।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বিরোধী রাজনৈতিক অনেকের সংগে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের অনেকের তিনি খোঁজখবর নেন। তার পছন্দের অনেক বিরোধীদলীয় নেতা রয়েছে। তবে সময়ের সংগে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেভাবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতার সংগে সম্পর্ক রাখতেন সেই বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই। তবে শেখ হাসিনাও এখনও অনেক বিরোধী রাজনৈতিক নেতার প্রশংসা করেন। তাঁদের সংগে দেখা সাক্ষাৎ হলে হাস্যরসাত্মকভাবে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন। জামাত ছাড়া সব দলেই শেখ হাসিনার পছন্দের নেতা রয়েছেন। এই প্রতিবেদনে তেমন কয়েকজন নেতার কথাই জানাবো-
লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান: লেফট্যানেন্ট জেনারেল মাহাবুব হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। কিন্তু তার আরেকটি পরিচয় আছে। ২১ বছর পর শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন লেফট্যানেন্ট জেনারেল মাহাবুব ছিলেন সেনাপ্রধান। সেইসূত্রে লেফট্যানেন্ট জেনারেল মাহাবুব রহমান এর সংগে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও তিনি বিএনপি করেন তারপরও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জেনারেল মাহাবুব যান এবং প্রধানমন্ত্রী তার সংগে কুশল বিনিময় করেন। তার শরীরের খোঁজখবর নেন এবং তারসঙ্গে বিভিন্ন আলাপ আলোচনাও করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মহাসচিব। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ। কিন্তু শেখ হাসিনার পছন্দের রাজনীতিবিদদের একজন ফখরুল। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে যখন সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি কেন অসুস্থ। তার চিকিৎসা তিনি করতে চান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যাপারে তার যে নমনীয়তা তাতে বুঝা যায় যে, প্রায়ই শেখ হাসিনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের খোঁজখবর নেন। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন শপথ গ্রহণ করেননি সেসময় এজন্য প্রধানমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, মির্জা ফখরুলের সংসদে আসা উচিৎ ছিল।
রুহুল কবির রিজভী: রুহুল কবির রিজভীকের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ঠাট্টামশকরা করেন, কথা বলেন। আবার তিনি একান্তে দলের নেতাকর্মীদের বলেন যে, রুহুল কবির রিজভী যেভাবে দলের আদর্শের প্রতি অনুগত তার প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার একটি সংবাদ সম্মেলনে রিজভীকে পানি দেয়ার কথা বলেছিলেন। মাঝেমাঝেই আবার প্রধানমন্ত্রী রিজভীকে নিয়ে কৌতুকও করেন।
বিএনপির বাইরে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের মধ্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগ সভাপতির একসময় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। এখন যদিও ঘনিষ্ঠতা আগের মত নেই তারপরও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের খোঁজখবর রাখেন, তার কুশালাদি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে প্রধানমন্ত্রী ভোলেন না।
বর্তমান সময়ের রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু অনেক রাজনীতিবিদকে অনেক শ্রদ্ধা করেন তাঁদের মধ্যে হায়দার আকবর খান রনো অন্যতম। হায়দার আকবর খান রনো একসময় ওয়ার্কার্স পার্টি করতেন। এখন কমিউনিস্ট পার্টি করেন। রনোর সংগে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও রনোর লেখার একজন ভালো পাঠক হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ন্যাপের নেতা মুজাফফর আহমেদকে পছন্দ করেন। সম্প্রতি মুজাফফর আহমদ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার প্যুরো খরচ তিনি বহন করেন। এছাড়াও ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের সংগে এবং মহাজোটের জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারার সংগে তার সুসম্পর্কের কথা তো সবাই জানে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।