নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় কাউন্সিলে মন্ত্রীসভার সদস্য যারা প্রেসিডিয়াম এবং সম্পাদক শুধু দলীয় পদ এবং মন্ত্রীত্ব এক সাথে রাখতে পারবেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি গত কাউন্সিল থেকেই দল এবং সরকারকে আলাদা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গতবার মন্ত্রীত্ব পাওয়া অধিকাংশকেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি সরকার এবং দলকে আলাদা করা সম্ভব হয়নি। এবার এটা যেকোনোমূল্যে করতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘এখন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং বড়। তাই এই দল পরিচালনার জন্য সার্বক্ষনিক নেতৃত্ব প্রয়োজন।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি সবসময় বলেন, সংগঠন হলো গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠন না থাকলে ক্ষমতাও থাকবে না।’ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি নতুনদের সুযোগ দিতে চান। নতুন নেতৃত্ব যেন উঠে আসে সেটা চান। একই ব্যক্তি মন্ত্রী এবং দলের নেতা হলে, নতুনরা সুযোগ পায় কম। তাছাড়া এখন সরকারের কাজের ব্যপ্তি বেড়েছে। মন্ত্রনালয়গুলোর বাজেট বেড়েছে। তাই এখন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাজ সার্বক্ষণিক। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে একজন মন্ত্রীর পক্ষে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে দলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এর ফলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও হতাশ হয়ে পড়েন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বারবার বলছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে নেতারা দলের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়েন। এজন্য দলে দরকার তারুণ্যের প্রবাহ এবং সাংগঠনিক নেতৃত্ব।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এবারের কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগে তারুণ্যের বিকাশ ঘটবে। সম্পাদক মণ্ডলী তরুণদের দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দলের প্রেসিডিয়াম থাকবেন প্রবীণ এবং সিনিয়র সদস্যরা। বর্তমানে যারা প্রেসিডিয়ামে আছেন তাদের মধ্যে থেকে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক মন্ত্রী থাকার কারণে বাদ পড়বেন এটা নিশ্চিত। এছাড়াও আরও দু’একজন বাদ পড়তে পারেন।
অন্যদিকে, ঢাকার বাইরে স্থানীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন এমন প্রবীণ নেতাদের কয়েকজনকে প্রেসিডিয়ামে যুক্ত করা হতে পারে। প্রেসিডিয়াম প্রবীণদের হলেও সম্পাদকমণ্ডলী হবে তরুণদের। যারা নতুন চিন্তা-চেতনা নিয়ে সামনে এগুতে চান। যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা অন্য কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থেকে এসেছেন। তাদের সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা করে দেওয়া হবে। এর ফলে সম্পাদক মন্ডলী সার্বক্ষণিকভাবে দলের জন্য কাজ করবেন, দলকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হবেন।
দলের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে একমাত্র ডা: দীপুমণি ছাড়া আর কেউ মন্ত্রী নন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে দুজন উপমন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী। এরা এবার কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পরবেন তা নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করবে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।