ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদাকে মাইনাস করতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ঐক্য?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০১৯


Thumbnail

আইনগত লড়াইয়ে সরকারের প্রধান টার্গেট বেগম খালেদা জিয়া, এ বিষয় আর কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলোই শুধু সচল রয়েছে। এই মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্যই সরকারের সব মনোযোগ। কিন্তু বিএনপির অন্যান্য নেতাদের মামলাগুলো যেন ঘুমিয়ে আছে। এ সমস্ত মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা মামলাগুলোকে সচল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ বা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের করা দুর্নীতি মামলা নিম্ন আদালতে বিচারের শেষ পর্যায়ে ছিল। হঠাৎ করেই এই মামলা থমকে গেছে। এখন এই মামলা আর এগুচ্ছে না। প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর এই মামলা থমকে থাকার কারণ কেউ জানে না।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাও এরকম সাক্ষ্য-প্রমানের এক পর্যায়ে আটকে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে নাশকতা সন্ত্রাসের প্রায় শতাধিক মামলার একটিও আদালতে বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় নেই। সবগুলো মামলাই হিমঘরে রয়েছে।

২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি সারাদেশে যে তাণ্ডব, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করেছিল, সেই মামলাগুলো দ্রুত বিচারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কোনো মামলাই নিষ্পত্তি তো দূরের কথা মামলাগুলোকে এগিয়ে নেওয়ারও কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এ সমস্ত ঘটনা দেখে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, এই মামলাগুলোকে সচল রাখা বা এই মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে সরকারের দিক থেকে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। কেন নেই, এটাই রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা বড় প্রশ্ন।

মনে করা হচ্ছে যে, সরকার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এই মামলাগুলোকে ব্যবহার করছে। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে খালেদা জিয়া এবং তার ঘনিষ্ঠদের আটকানোর পরিকল্পনায় সরকার সফলভাবে এগুচ্ছে। আর এই পরিকল্পনায় সরকারকে সমর্থন বা সহযোগিতা দিচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামলা এগোয় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন নির্বাচন করেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন এবং নির্বাচনের পর তার সংসদ সদস্যদেরকে সংসদে পাঠান তখন এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বাইরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি যতই বাকযুদ্ধে লিপ্ত থাকুক না কেন ভেতরে ভেতরে তাদের মধ্যে একটা সমঝোতা রয়েছে। এই সমঝোতার অবয়ব কি তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এটা বোঝা যায় যে, সরকার বেগম জিয়ার মামলাগুলোকে দ্রুত নিষ্পত্তি করে তার বন্দিত্বকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে যেমন বদ্ধ পরিকর, তেমনি বিএনপিও বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয়। সরকারের সঙ্গে বিএনপির তাহলে কী ধরণের সমঝোতা হতে পারে সেই প্রশ্ন উঠছেই।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে যে, সমঝোতার মূল বিষয়টি এরকমই যে, বিএনপিকে জিয়া পরিবারমুক্ত করতে চায় সরকার। বেগম খালেদা জিয়া যদি নাইকো দুর্নীতি মামলা বা যেকোনো একটি মামলায় দণ্ডিত হন, তাহলে চিরস্থায়ীভাবে তার ঠিকানা হবে কারাগার। সেটা যদি করা যায় তাহলে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে। আর তারেক জিয়াও যে দেশে ফিরে বিএনপির হাল ধরবেন সেরকম বাস্তবতা তার নেই। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপিকে জিয়া পরিবারমুক্ত করার একটা সূবর্ণ সুযোগ সরকারের সামনে এসেছে। বিএনপির মধ্যেও একটা বড় অংশ বেগম খালেদাকে চাইলেও তারেক জিয়াকে নেতৃত্বে দেখতে চায় না। এর ফলে সরকার এবং বিএনপির মধ্যে একটা গোপন সমঝোতা তৈরি হয়েছে। যে সমঝোতার অংশ হিসেবে বিএনপি নতুনরূপে আবির্ভুত হবে। জিয়া পরিবার যেভাবে পঁচাত্তরের খুনী এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, সেরকম পরিস্থিতি আর থাকবে না। সেরকম পরিস্থিতি না থাকলেই নতুন বিএনপি আত্মপ্রকাশ করবে। সেই বিএনপির সঙ্গে সরকার একটা আপসরফার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবে। এই প্রক্রিয়ার কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি ইতিমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি। বিএনপির পাঁচজন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেছেন। সরক্ষিত কোটায় বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাও শপথ নিয়েছেন। বগুড়ার উপনির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে। এসব থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সরকার এবং বিএনপি একটা সমঝোতার পথে এসেছে। এই সমঝোতার ধারায় শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া মাইনাস হন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন