নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৯ এএম, ১১ জুন, ২০১৯
মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকেই হম্বি-তম্বি করেই সময় পার করছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। নিজ মন্ত্রণালয়কে দুনীতির উর্দ্ধে রাখার ঘোষণা দিয়ে তা রুখতে পারছেন না কোনভাবেই। বিশেষকরে রাজউকের রাঘব-বোয়াল দুনীতিবাজরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মন্ত্রীর হম্বি-তম্বিকে কোনভাবেই পাত্তা দিচ্ছেন না তারা। বিশেষকরে বিজেএমসি ভবন ভাঙ্গা নিয়ে মন্ত্রী যে হুংকার দিয়েছিলেন তাতে অনেকেই নড়েচড়ে বসেছিলেন। অনেকেরই ধারনা ছিলো দুর্নীতি করে হয়তোবা পার পাওয়া যাবে কিন্তু পরক্ষনেই তা ভূল প্রমাণিত হয়। প্রতিদিনই মন্ত্রী কোন না কোন সভা-সমাবেশ কিংবা সেমিনারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করছেন।
সম্প্রতি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এক সভায় তিনি কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘হয় দুর্নীতিবাজরা থাকবে, না হয় আমি থাকব।’ এনিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির উপর জিরো টলারেন্স। দুর্নীতি দূর করতে তিনি সরকার গঠন করেছেন। আমি সেই সরকারের একজন মন্ত্রী। আমার অধীনে কেউ দুর্নীতি করতে পারবে না।শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি নিজে ঘুষ খাই না। কমিশন খাই না। আমার অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও ঘুষ খেতে দেব না। কমিশন বাণিজ্য ও সিন্ডিকেট করতেও দেব না। সিন্ডিকেট বাণিজ্য বন্ধ।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজউকে এক হাজারের বেশি ফাইল পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা ইতোমধ্যে ৭০০ ফাইল উদ্ধার করেছি। অনেক ডেস্কের তালা ভেঙে ফাইল বের করেছি। ফাইল বের হতে হবে। হয় ফাইল বের হবে, না হয় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের বেশকিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমার কাছে রয়েছে। সবাইকে ভালো হতে হবে। ভালো যদি না হয় খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেট আমি ভাঙবই। এটা আমি করতে না পারি তাহলে আমি হারিয়ে যাব। অন্যথায় যাদের দুর্নীতির কারণে মানুষ ভুগছে তারাই হারিয়ে যাবে।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।