নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০১৯
টানা ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা পরিবর্তন করে করে তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছেন। টানা তিন মেয়াদে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যর বিরুদ্ধেই অতিকথনের অভিযোগ রয়েছে। তারা শুধু কথাই বলেছেন, মন্ত্রিসভা বা জনগনের কাজে খুব সফল হতে পারেননি। আবার অনেক মন্ত্রী আছেন যারা মন্ত্রিসভার দায়িত্ব নিবারণ করেও কথা কম বলছেন এবং কাজ অনেক বেশি করছেন। একেবারেই বিতর্ক বা সরকারকে বিব্রত করছেন না। এই মন্ত্রিসভার একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, গত ছয়মাসে সদস্যরা কথা বলে তেমন বিতর্কিত হয়নি। দুয়েকজন মন্ত্রী ছাড়া অধিকাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই অতিকথনের অভিযোগ নেই। তবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ না করার অভিযোগ আছে অনেকের বিরুদ্ধে। কথা কম বলে ভালো কাজ করার নজির স্থাপন করেছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার যারা, তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন:
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ: গত মেয়াদে তিনি ছিলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী। এই মেয়াদে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। গণমাধ্যমে তার উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ে না। রাজনৈতিক বক্তৃতা বিবৃতিতেও তিনি মাঠ গরম করছেন না। কিন্তু তিনি নীরবে নিভৃতে তার মন্ত্রণালয়ের কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ে এখন ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি অনেক কমেছে। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হিসেব নিয়ে প্রথমেই একটা বার্তা দিয়েছেন। যার কারণে ভূমি মন্ত্রণালয় এখন আর আগের মতো দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রণালয়ের তকমা থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর জন্য ভূমি মন্ত্রী কৃতিত্ব পেতেই পারেন। যদিও তিনি কথা বলেন খুব কম। দলীয় বিষয় ছাড়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার পদচারণা তেমন লক্ষ্য করা যায় না।
ইয়াফেস ওসমান: বর্তমান সরকারের সবচেয়ে ভাগ্যবান মন্ত্রীদের একজন। যিনি টানা তিন মেয়াদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিন মেয়াদে সংবাদ সম্মেলন বা গণমাধ্যমে তার উপস্থিতি ছিলো একেবারেই নগন্য। খুব প্রয়োজন ছাড়া তিনি কখনোই গণমাধ্যমের সামনে আসেন না। তাকে রাজনৈতিক বক্তব্য বিবৃতি দিতেও খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু তিনি গত তিন মেয়াদে সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক মন্ত্রণালয় হিসেবে নিজের মন্ত্রণালয়কে গড়ে তুলেছেন। মন্ত্রণালয়ে কাজের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন। বিশেষ করে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই গবেষণার বিষয়টিকে তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন। এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় এখন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো গবেষণার কাজ হচ্ছে। মন্ত্রী হিসেবে সে বিবেচনায় তিনি সফল। যদিও রাজনৈতিক মাঠে তিনি একেবারেই একজন দর্শক।
জাহিদ মালেক: জাহিদ মালেক গত মেয়াদে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। এই মেয়াদে তিনি পূর্ণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও মন্তনালয়ের কাজে মনোনিবেশ করেছেন। ইতমধ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই পদক্ষেপগুলো সঠিক কি ভুল তা প্রমাণ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই পদক্ষেপগুলো যে অত্যন্ত জরুরি ছিল, সেটি তিনি নিশ্চিত করতে পেরেছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ বন্ধ করেছেন। কোনোরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না এবং নিজেকেও দুর্নীতি থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা আনার ক্ষেত্রে তিনি পারদর্শী। ইতিমধ্যে তিনি দক্ষ ও কার্যকর মন্ত্রী হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। এছাড়া ডাক্তার নার্সদের কাজের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডা. দিপু মনি: শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ডা. দিপু মনির নিয়োগ ছিল একটি বড় চমক। তিনি শুধু মন্ত্রী নন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও বটে। মন্ত্রিত্ব লাভের পর দেখা গেছে কথাবার্তায় একটি পরিমার্জিত ভাব এনেছেন। বিশেষ করে, ২০০৮ এ প্রথম মেয়াদে যেমন অতি কথণের অভিযোগ ছিল, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে পরিশীলিত আকারে উপস্থাপিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের কাজের ব্যাপারে যেরকম তিনি নিষ্ঠাবান সেরকমভাবে হুটহাট মন্তব্য করে বিতর্কও সৃষ্টি করছেন না। দায়িত্ব গ্রহণ করে পরীক্ষায় নকল যেমন বন্ধ করেছেন, মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং মন্ত্রণালয়ে তিনি কোনো বিতর্ক তৈরি করতে দেননি।
এছাড়াও আরও কয়েকজন মন্ত্রী রয়েছেন যারা মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে অতিকথন এবং বিতর্কিত মন্তব্যে নিজেদেরকে বিতর্কিত করছেন না। এদের মধ্যে অনেকেই একেবারে নতুন মন্ত্রী। তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কাজে সফল কি ব্যর্থ তা প্রমাণ করার এখনও সময় হয়নি। তবে তাঁরা যদি মন্ত্রণালয়ের কাজে মনোনিবেশ করেন এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে তাদেরও ভবিষ্যতে সফল হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।