নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০১৯
আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আওয়ামী যুবলীগ। দ্বিতীয় সক্রিয় সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগের নিজস্ব পর্যালোচনায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সংগঠনগুলোকে চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষীকি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের স্বীকৃত সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলোকে কার্যকর এবং দ্রুত যেন কর্মসূচী প্রদান করতে পারে সেই লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব টিমের রেকর্ড অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে মাত্র দুটি সংগঠন খুবই কার্যকর। বাকিগুলো প্রায় নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বিশেষ দিবস এবং তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি ছাড়া অন্যকোন কর্মসূচী তারা পালন করছে না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫এ (২) ধারায় সহযোগী সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এখানে মোট ৬টি সহযোগী সংগঠনের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ, বাংলাদেশ তাঁতী লীগ। এছাড়াও নিজস্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে এরকম দুটি অঙ্গ সংগঠন হলো জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব টিমের মাঠ পরিচালনায় দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া অধিকাংশ সংগঠনের কার্যক্রম প্রায় নিস্ক্রিয়। বিশেষ দিবস উদযাপন এবং দলগুলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি ছাড়া তারা অন্যকোন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নয়। এ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বিভিন্ন রকম নিজস্ব কাজে ব্যস্ত থাকেন। দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু কিছুদিন আগেও এই সংগঠনগুলো সক্রিয় ছিল। তাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান ছিল। এখন তাদের দৃশ্যমান কার্যক্রম চোখে পড়ে না। আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব গবেষণা টিমের প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রচার প্রচারণার কাজে যথেষ্ট সক্রিয়। বিভিন্ন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে তারা সংগঠনের কার্যক্রমকে অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে। আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব টিমের প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, যেকোন দলীয় কর্মসূচীতে যুবলীগের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকে সবচেয়ে বেশি। যুবলীগ সবচেয়ে সংগঠিত সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
এরপরপরই রয়েছে ছাত্রলীগ। যদিও ছাত্রলীগের কার্যক্রমও আওয়ামী যুবলীগের মতোই। কিন্তু ছাত্রলীগের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি, নানা রকম কোন্দল- অনৈক্য এবং বিভিন্ন রকমের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এ কারণে ছাত্রলীগের সুনামের চেয়ে সাম্প্রতিক সময় বদনাম বেশি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, তারা যদি বাড়াবাড়ি করে এবং দলের ভাবমূর্তী নষ্ট করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই দুটি সংগঠন ছাড়া অন্যান্যদের কার্যক্রম একেবারেই ম্লান। এক সময় আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সক্রিয় সংগঠন ছিলো আওয়ামী স্বেচ্চা সেবক লীগ। কিন্তু গত ১বছরের বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে পরিচালিত হতো। বিশেষ করে আইভি রহমান যখন এর সভাপতি ছিলেন তখন এটি অত্যন্ত সক্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করত। এখন এই সংগঠনটি মৃয়মান। মহিলা আওয়ামী লীগের বড় অংশই এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। জাতীয় আইনজীবী পরিষদ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ গঠন করে সংঠনের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। আওয়ামী পন্থি আইনজীবীরা স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত। এরমধ্যে একটি ঐক্য প্রক্রিয়া আনার লক্ষ্য দেখা গেছে। কিন্তু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কার্যক্রম তেমন নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ তাঁতীলীগ প্রায় নিষ্ক্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শ্রমীক লীগের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন রক্ত সঞ্চালন করে নতুন নেতৃত্ব এনে এগুলোকে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে যেমন কর্মসূচি করবে তেমনি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকেও পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করতে হবে। দলের সাধারণ সম্পাদককে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে, যে অঙ্গসংগঠনগুলো নিষ্ক্রিয় সেগুলোর নেতৃত্বে নতুন নেতৃত্ব এনে সেগুলোকে সক্রিয় করার জন্য। খুব শীঘ্রই এই অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নতুন করে শুরু করা হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।