নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১২ জুলাই, ২০১৯
মন্ত্রিসভায় যখনই রদবদলের প্রশ্ন আসে তখনই তাদের নাম উচ্চারিত হয়। কিন্তু তারপরেও শেষপর্যন্ত তারা মন্ত্রী হন না। আগামীকাল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার দ্বিতীয়দফা রদবদল হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার এই রদবদলে কারা আসছেন, কাদের পদোন্নতি হচ্ছে তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই রদবদলটাও গত রদবদলের মতো একটি ছোট রদবদল। এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেন, এবং একজন প্রতিমন্ত্রীকে নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ৭ই জানুয়ারীতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মত মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল তখন থেকেই কয়েকজনের নাম ঘুরেফিরে এসেছিল। এই আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল আরও আগে। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন পাননি। এদের মধ্যে দলের দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-আব্দুর রহমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক। সাংগঠনিক সম্পাদক- আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর হতাশায় তাঁরা মুষড়ে পড়েছিলেন, সেইসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁদেরকে বলেছিলেন যে, নির্বাচনের পর তাঁদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। এরপর তাঁরা আশায় বুক বেধেছিলেন যে নির্বাচনের পর তাঁদের মন্ত্রী করা হবে। গুঞ্জন ছিল যে, ৭ই জানুয়ারির মন্ত্রিসভায় তাঁরা মন্ত্রী হতে পারেন। এরপর আবার মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁদের নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কিন্তু তাঁরা মন্ত্রিত্ব পাননি। প্রশ্ন থাকছে সংসদ সদস্য হিসেবে বঞ্চিত হয়েছেন, মন্ত্রিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিন্তু কেন? আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সাঙ্গঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য, দলকে কার্যকর এবং দলকে গতিশীল করতেই তাঁদেরকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি চাইছেন পূর্ণকালীন কিছু নেতাকর্মী দল পরিচালনা করুক যারা দলের জন্য সময় দেবেন, তৃণমূলের সমস্যাগুলো শুনবেন এবং শৃংখলাবিরোধী কার্যক্রমগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেটি নিশ্চিত করবেন। আগামী বছর মুজিব বর্ষ, তাতে আওয়ামী লীগের ব্যপক সাংগঠনিক তৎপরতা রয়েছে। তাছাড়া আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সমস্ত বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি চান না যে, দল এবং সরকার একাকার হয়ে যাক। তার অভিজ্ঞতা হচ্ছে দল এবং সরকার যখন একাকার হয়ে যায় তখন সংগঠন দুর্বল হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কর্মকান্ডের চেয়ে টেন্ডার ব্যাবসা ইত্যাদিতে ঝুকে পরে। ফলে তিনি শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করতে চাইছেন যারা সরকারে থাকবে না, মন্ত্রী, এমপি হবেন না। তাঁরা সরকারের কর্মকান্ড, নীতি, কৌশলের যৌক্তিক সমালোচনা করবেন। মন্ত্রী,এমপি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাঁদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনবে এবং দল হবে সরকারের উপরে। এরকম একটি পরিকাঠামো তৈরি করতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করে সেইপথে আওয়ামী লীগকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এজন্যই তাদেকে মন্ত্রিত্ব বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে মন্ত্রিত্ব থেকে বঞ্চিত হলেও দলে তাঁদের প্রভাব এবং গুরুত্ব আগের থেকে বেড়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।