নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৯
এরশাদ ও বিদিশা দম্পত্তির একমাত্র সন্তান এরিক এরশাদকে কাছে পেতে মা বিদিশা সিদ্দিক এবার যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। বিদিশা সিদ্দিক তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন,‘‘ এবার শুরু ছেলেকে উদ্ধার করার যুদ্ধ’’। এরশাদ-বিদিশার চূড়ান্ত বিবাহ বিচ্ছেদ হবার পর থেকেই এরিক প্রশ্নে আইনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন বিদিশা এবং এরশাদ। অবশেষে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এরিক মা এবং বাবার সান্নিধেই থাকার সিদ্ধান্ত দেয় আদালত। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপোষ-রফার মাধ্যমে পালা করে মা বিদিশা এবং বাবা এরশাদের কাছেই পালা করে থাকতেন এরিক। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে বেশির ভাগ সময়ই বাবা এরশাদের সান্নিধ্যেই ছিল এরিক। এরশাদ মারা যাবার আগে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কেই ছিলো এরিক। এদিকে, এরশাদের মৃত্যুর পর বিদিশা সিদ্দিক ভারতের আজমীর থেকে ছুটে আসেন সাবেক স্বামীর মুখদর্শনে। কিন্তু জাপার নেতা-কর্মীদের প্রবল বাঁধার মুখে তিনি এরশাদের মরদেহ দেখতে পাননি। এমনকি একমাত্র পুত্র এরিকের সাথেও কোন প্রকার যোগাযোগ করতে পারেননি বিদিশা। বাংলা ইনসাইডারকে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, আমার সন্তান আমার কাছেই নিরাপদ। এতোদিন বাবা জীবিত ছিলো তাই আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে বাবার কাছেই নিরাপদ মনে করেছি। এখন আমি আমার সন্তানকে একা রেখে শান্তি ও স্বস্তি পাচ্ছিনা। আমার শেষ চাওয়া আমার সন্তান আমার কাছেই থাকবে। আদালতের নির্দেশনাও আছে এমন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন