নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ২৯ জুলাই, ২০১৯
কোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়া (জিএএস কে)-এর আয়োজনে আঠাশে জুলাই আনসান সিটিতে বাংলাদেশী ইপিএস সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির সন্ধানে এক বিশেষ প্যানেল (সেমিনার) অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশী ইপিএস কর্মী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, সমাজসেবীসহ বিভিন্ন পেশার শত শত লোক উপস্থিত হয়ে বাংলাদশী কর্মী যাতে আরো বেশী আসতে পারে সে বিষয়ে মত বিনিময় করেন। এমন একটা উদ্যোগ সত্যিই প্রয়োজন ছিল বলে সবাই মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে শুরুতে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব ডেভিড একরাম ওপেনিং স্পীচে বলেন, "বিভিন্ন দেশ থেকে ইপিএস কর্মীরা কোরিয়ায় এসে অধিকাংশ কোম্পানী ইতিমধ্যে দখল করে ফেলেছেন। এমতাবস্থায় আর বসে থাকা যায় না। সকলকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানিয়ে বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীদের সংখ্যা গরিষ্ঠতায় এগিয়ে যেতে আহ্বান করেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন পাওয়া পয়েন্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে প্যানেল ডিসকাশনের সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্যানেল ডিসকাশনের প্রথম পর্বে ছিল সমস্যা অনুসন্ধান করা, কি কি কারনে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় পিছিয়ে আছে তা অনুসন্ধান করা। ২য় পর্বে ছিল সমস্যা সমূহ সমাধানের উপায় বা পদক্ষেপ কি হওয়া উচিত তা খূঁজে বের করা এবং ৩য় পর্বে ছিল, পদক্ষেপ গুলো কি ভাবে ফলপ্রসূ ভাবে কার্যকর করা যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাওয়া।
কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন সমস্যার কথা, যেমনঃ কিছু বাংলাদেশী ইপিএস কর্মী আছে যাদের সাথে কোরিয়ান মালিকেরা কাজ করতে কমফোর্ট ফিল করেন না, বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীদের
আত্মসন্তুষ্টির অভাব, যতপায় আরো ততো চায়, কোরিয়ান খাবারে অভ্যস্থ না থাকা, বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীরা ছোট খাটো ত্যাগ দিতে জানেনা, নিজের স্বার্থ ছাড়া বোঝে না, ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন দরকার, মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন, একের বিরুদ্ধে অন্যে কোরিয়ান মালিকদের কাছে অভিযোগ পেশ করা, কোরিয়ান মালিকদের বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ হওয়া, অনেক সময় কোরিয়ান মালিকেরা বাংলাদেশী ইপিএস কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় কাজের সময় ঝামেলা পোহাতে হয়, কোম্পানী পরিবর্তন করা, কোম্পানী পরিবর্তন করার জন্য মিথ্যা অসুস্থতার ভান করা, পরিচ্ছন্নতার অভাব, কাজের দক্ষতা ও সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্কের অভাব, নিজেদের মধ্যে গোন্ডগোল করা প্রভৃতি অভিমত ব্যক্ত করেন সিনিয়র ইপিএস সদস্য রবিউল ইসলাম, এমডি ডালিম, এমডি রাকিবুল আলম, মনোজ সুভাকর, রাকিবুল, সুমি, আমিনুল মোগল, মাসুদ, শেখ রিপন, শেখ ওমর, মিজান, খন্দকার রুবেল, জালাল আহমেদ,নাজমুল হাসান, শাহিন, মাইনুর সুলতানসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশী ইপিএস মহিলা সদস্য ইশরাত জাহান এমা বলেন, কোরিয়ান কালচারের সাথে বাংগালী মেয়েদের খাপ খাওয়াতে কষ্ট হয়। বাংলাদেশী মহিলা কর্মীরা যদি নিজের কালচার নিজেরা রেখে কোরিয়ান কালচারের সাথে মিনিমাইস করতে পারে তবে কোরিয়াতে বাংলাদেশী মহিলা কর্মীর চাহিদা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ দুতাবাসের লেবার উয়িংসের সদস্য শেখ নিজামূল হক বলেন, মামলা মকদ্দমার কারণে কোরিয়ান মালিকেরা অনেক সময় খুব ঝামেলায় পড়ে যান, কোরিয়ান মালিকেরা সব সময় খুব ব্যস্ত থাকেন। থানা পুলিশ করার সময় তাঁদের থাকেনা। অনেকে নিজেদের কালচাল প্রতিষ্ঠা করতে বা ডরমিটরিতে রান্না করার ব্যবস্থা না থাকলেও রান্না করতে চায় যেটা কোরিয়ান মালিকদের জন্য একটা বাড়তি বার্ডেন হয়ে দাড়ায়।
বিশেষ অতিথি মকিমা বেগম প্রথম সচিব (শ্রম) বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীদের কর্ম দক্ষতাসহ বিভিন্ন গুনাগুনের কথা উল্লেখ করে বলেন তাঁরা যদি আরো একটু পরিচ্ছন্নতা, রাখেন, চুক্তির মেয়াদপূ্র্ণ করে, তুচ্ছ বিষয়ে একে অপরের অভিযোগ তথা মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রম মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ না করে তবে কোরিয়ান মালিকদের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
জনাব আব্দুল মতিন, জনাব রফিকুল ইসলাম ভূট্টো ও মুন্সী রফিকুল ইসলাম ব্যবসা প্রতিনিধি হিসাবে পানেল ডিসকাশন যোগদান করে কোরিয়ান মালিকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, বিশেষ পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারন করা, সর্বদা ভালো সার্ভিস দেওয়া, আচরণে সত্যিকার দেশ প্রেম প্রকাশ করা, কাজে কোরিয়ানদের চেয়ে বেশী দক্ষতা অর্জন করার পরামর্শ দেন।
প্রধান অতিথি ও প্যানেল প্রধান মান্যবর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়া(জিএএসকে)কে সময় উপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের আলোচনায় যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে, তা যদি আমরা পরিহার করতে না পারি, শুধরাতে না পারি তবে ইপিএস পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত অন্য পনেরোটা দেশের সাথে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বো, কোরিয়ান কোম্পানী কিন্তু খালি থাকবে না, অন্য দেশের কর্মী এসে সেখানে ভরে যাবে। অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করে, যে কোম্পানীতে প্রথম এসেছেন সেটাতে যদি পুরো সময় থাকেন তাতেই বেশী লাভবান হবেন এবং বাংলাদেশে রেমিটেন্স বেশী যাবে। বাংলাদেশী সকল ইপিএস কর্মীকে তাদের মালিকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেন।
প্যানেল ডিসকাশনটি পরিচালনা করেন অর্গানাইজ সংগঠনের সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন, সঞ্চালনায় ছিলেন এমডি নাজমুল হুদা, পিএইচডি।
অনুষ্ঠান শেষে সুস্বাধু দেশী খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনায় ছিলেন ইয়াসিন, সামাদ, সজল, নাসিম, শামীম রুবেল চৌধুরী, রকিব, রুবেল খন্দকার, রিপন, রাসেল ও আরেফিন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করেন কোরিয়ার বিখ্যাত রেমিটেন্স কম্পানি জি মানি ট্রান্স।
মন্তব্য করুন
ভারতের
নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে
মস্কোর সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন।
মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে বলেন, আমরা ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এমনকি আমরা পৃথিবীর কোনো
নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না।
এর
আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল
করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা
লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে
মস্কো।
রাশিয়ার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মার্কিন অভিযোগকে দেশ ও রাষ্ট্র
হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় নির্বাচন মার্কিন রাশিয়া
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব
করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির
সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।
মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।
এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার
আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের
মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন
পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার
দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন
তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল
সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
সম্প্রচার করা হয়। গত
মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে
দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
মন্তব্য করুন
গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই
লড়বে।
এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে...
আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে)
নখ দিয়েই লড়াই
করবো।’
এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে
নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।
তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন,
বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা
ইসরায়েলিদের নখের আছে!
যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহু ইসরায়ল গাজা
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। সেই আগ্রাসন বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী রাফা অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।
চুক্তি
ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল
রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। শুক্রবার
(১০ মে) এক প্রতিবেদনে
এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা
রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’ অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।
গাজার
সবচেয়ে বড় শহুরে এলাকা
রাফা। রাফা শহরের সাবরা
এলাকায় দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি
বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ
অন্তত ১২ জন নিহত
হয়েছেন।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস যোদ্ধারা রাফাতে লুকিয়ে আছে। মূলত ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে লাখ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফাতে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাবে না বলে তারা আশা করে। এই ধরনের কোনও অভিযান হামাসকে পরাজিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য ভালো হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে না।
মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘(প্রেসিডেন্ট বাইডেনের) দৃষ্টিতে রাফাতে কোনও ধরনের আঘাত করা ইসরায়েলের সেই উদ্দেশ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে না।
কিরবি
বলেন, ইসরায়েলের মাধ্যমে হামাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে
এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি
থাকায় সেখানে অভিযান চালানোর চেয়ে গোষ্ঠীর নেতৃত্বের অবশিষ্টাংশ খুঁজে বের করার জন্য
আরও ভালো বিকল্প পন্থা
রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে। সেসময় ওই রায়ে ইসরায়েলকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
অস্তিত্ব
রক্ষায় ইরান পারমাণবিক নীতি
পরিবর্তন করতে পারে। দেশটি
ঝুঁকতে পারে পরমাণু অস্ত্র
বানানোর দিকে। ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি
খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি এ কথা জানিয়েছেন।
ইরানের
স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কে তিনি
জানান, তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনও
সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ইরানের
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সামরিক
মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া তাদের
কোনও উপায় থাকবে না।
খামেনির
উপদেষ্টা খারজি ২০২২ সালে বলেছিলেন,
ইরান প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে
সক্ষম। তবে বোমা তৈরি
করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত
এখনও নেয়নি।
গত
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের এক ঊর্ধ্বতন জেনারেল
নিহত হওয়ার পর ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক
দিকে মোড় নিয়েছিল। দুই
দেশই নিজেদের মাটি থেকে সরাসরি
একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলা করে।
মন্তব্য করুন