নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৯
আগস্টের পরই মন্ত্রিসভায় আরেকবার রদবদল হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল থেকে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। সাত মাস বয়সী সরকার তৃতীয় মেয়াদে নানা রকম অস্বস্তির মধ্য দিয়ে সময় পাড় করছে। সাম্প্রতিক সময় ডেঙ্গু ইস্যু এবং গুজব সন্ত্রাসে সরকার প্রথমবারের মতো চাপের মুখে পড়েছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে। এরকম পরিস্থিতিতে ২০দিন পর দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী আজ সারাদিনই সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী ঢাকার দুই মেয়রসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। তারপরই জাতীয় শোক দিবস। এই দীর্ঘ ছুটিতে অনেক রকম নাশকতা এবং ষড়যন্ত্রের আশংকা করছে সরকার। এই সময়টা যেন নির্বিঘ্নে কাটে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন।
এই নির্দেশনার ফাঁকে ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, সরকারের আকার বড় হয়েছে। বাজেট বেড়েছে। বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভার অবয়ব বড় হওয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অন্তত তিনজন সরকারের নীতি নির্ধারকের কাছে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার স্বল্পতার কথা উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিধি অত্যন্ত বড় এবং কর্মকাণ্ড ব্যাপক হওয়ায় একজন মন্ত্রীর পক্ষে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা নয়। বরং সঙ্গে একজন প্রতিমন্ত্রী থাকা উচিত এমন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী করেছেন বলে জানা গেছে। এটা সরকারের একজন দায়িত্বশীল নীতি নির্ধারক বলেছেন। এতে স্পষ্টতই মন্ত্রিসভার অবয়ব বড় করার ব্যাপারে এটা একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, স্থানীয় স্থাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের একক মন্ত্রীর কর্তৃত্বে দেশ চলছে। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রী রয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুজনকে ভাগ করে একজনকে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্ব এবং অন্যজনকে পল্লী উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী থেকে অতীতে যে পরিমাণ কর্মকাণ্ড ঘটতো, গত দশ বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত হয়েছে। সরকারের অবয়ব কর্মকাণ্ড অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় একক একজন ব্যাক্তির পক্ষে মন্ত্রিসভার সবকিছু পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই বিভিন্ন মহল মনে করছেন।
বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে যে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরী হয়েছিল। এমন পরিস্থিতি তৈরী হতো না যদি ওই মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী থাকতেন। একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী প্রয়োজন বলে মনে করছেন সরকারের একাধিক নীতি নির্ধারকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নতুন প্রজন্মের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়িয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার একটি কৌশল সরকার বিবেচনা করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগস্টে সরকার মন্ত্রিসভার রদবদল করবে না বরং এই সময়ে যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সে পরিস্থিতিগুলো মোকাবিলা করে সময় ব্যায় করবে। সেপ্টেম্বর নাগাদ মন্ত্রিসভার রদবদল বিবেচনা করা হবে। সেক্ষত্রে সরকারের কাজে গতি আনা এবং মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেদিকটা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।