ইনসাইড বাংলাদেশ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: দণ্ডিতরা কে কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় মোট ৪৯ জন আসামি ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এছাড়া তারেক রহমান এবং হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে।

বাকি তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা কে কোথায়?

তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় একযুগ যাবত লন্ডনে অবস্থান করছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে তাকে ‘পলাতক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। অর্থ পাচার এবং দুর্নীতির মামলায় এরই মধ্যে তাঁর সাজা হয়েছে।

লুৎফুজ্জামান বাবর

বিএনপি সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর বাবরকে আটক করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে আছে। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও এরই মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

আব্দুস সালাম পিন্টু

বিএনপি সরকারের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন আব্দুস সালাম পিন্টু। এছাড়া তখন তিনি টাঙ্গাইল জেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপমন্ত্রী থাকলেও তারেক রহমানের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে জানা যায়। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বর্তমানে তিনি জেলেই আছেন।

আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামী। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। 

মুফতি হান্নান

উগ্র ইসলামপন্থী দল হরকাতুল জিহাদের নেতা ছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলার মূল আসামী। তাঁর স্বীকারোক্তির মাধ্যমেই গ্রেনেড হামলা মামলায় মোড় ঘুরে যায় বলে জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির পর তারেক রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অনেককেই এ মামলার আসামী করা হয়। সিলেটে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সে গ্রেনেড হামলায় ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী আহত হয়েছিলেন। এছাড়া আরো কয়েকটি বোমা হামলার সাথে জড়িত ছিল এ জঙ্গি নেতা।

তাজুল ইসলাম

তিনি মাওলানা তাজউদ্দীন হিসেবে পরিচিত। বিএনপি সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু তার ভাই। গ্রেনেড হামলার পর তাকে ভুয়া পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন বলে জানা যায়। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

হারিছ চৌধুরী

বিএনপি সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। তৎকালীন সরকারে যাদের প্রভাব অনেক বেশি ছিল হারিছ চৌধুরী তাদের মধ্যে অন্যতম। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়া হয়েছে। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান হারিছ। বর্তমানে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নয়। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশে আসা যাওয়া করছেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন।

মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী

বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর তাকে আটক করা হয়। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিজিএফআই-এর প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী। তৎকালীন প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা বা এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক। গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামী। মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এরই মধ্যে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক এ কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার ভাগ্নে। এ মামলায় দীর্ঘ সময় তিনি জামিনে থাকলেও এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন।

শহুদুল হক

আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সময় পুলিশ প্রধান ছিলেন শহুদুল হক। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার। গ্রেনেড হামলা হওয়ার পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্র পক্ষ। কারণ, হামলার পর ঘটনাস্থল একবারও পরিদর্শন করেননি তিনি। শহুদুল হক এক সময় সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর শহুদুল হককে পুলিশ প্রধানের পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। বিএনপি সরকারের সময় পুলিশ প্রধান পদে খুব বেশি দিন থাকতে পারেননি তিনি। আদালত অবমাননার দায়ে তাকে সে পদ ছাড়তে হয়েছিল। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ এক বছর আট মাস পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন শহুদুল হক।

মোহাম্মদ আশরাফুল হুদা

গ্রেনেড হামলার সময় আশরাফুল হুদা ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ চার মাসেরও কম সময় পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন আশরাফুল হুদা। মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

খোদাবক্স চৌধুরী

গ্রেনেড হামলার সময় অতিরিক্ত পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন খোদাবক্স চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ প্রধান হয়েছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ

বিএনপির টিকিটে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মামলার অভিযোগপত্রে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। ধারনা করা হয়, তিনি সৌদি আরবে পলাতক আছেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আমেরিকায়

বিএনপি সরকারের সময় তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিজিএফআই-এর দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন। পরবর্তীতে সেনা-সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি ডিজিএফআই-এর প্রধান হয়েছিলেন। সে সরকারের মেয়াদ শেষ হলে তিনি আমেরিকায় চলে যান। মামলার কাগজপত্রে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। 

লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। 

সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সাবেক সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান এবং এএসপি আব্দুর রশিদ বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ তিনজন বিএনপি সরকারের সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন।

গ্রেনেড হামলা মামলার আরেক আসামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ পলাতক রয়েছেন। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারওয়ান বাজারের আগুন

প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় ১০টা ৩৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। 


কারওয়ান বাজার   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুসহ দু’জনের

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সড়কের পার্শ্ববর্তী পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পড়ে যায়। এসময় ফুটপাতে থাকা অন্তত ৬ জন লরির ধাক্কায় পুকুরে তলিয়ে যায়। এঘটনায় বছর বয়সী এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই মোড়ে প্রজাপতি পার্কের পাশে ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায় যায়নি। এছাড়া আসাদুজ্জামান সানি (১৯) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সানির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন। তারা হলেন, ইমরান (৮), নুরুল আমিন (২১), তাসপিয়া (২০) ও নুসরাত (৩৫) ।

জানা গেছে, একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটি প্রজাপতি পার্কের পাশে মোড় নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ফুটপাতে থাকা ছয়জনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটিসহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে পাঁচজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় হতাহতরা বেশিরভাগই একই পরিবারের। তারা পার্শ্ববর্তী নেভালে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন।

কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মামুনুর রশীদ জানান, ‘দুর্ঘটনার পর আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে শিশুটির মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘পতেঙ্গা দুর্ঘটনায় জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।’


লরি   নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে   পুকুরে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। 


কারওয়ান বাজার   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। মৃত হজযাত্রী হলেন মোঃ আসাদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর -১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

হজযাত্রীদের মধ্যে যারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজার ৫৬২ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


হজযাত্রী   সৌদি আরব   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুনে আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। আগামী বাজেটের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে এমন গুঞ্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ মহলে। বিভিন্ন সূত্র গুলো বলছেন, মন্ত্রিসভায় আরও নতুন মুখ আসতে পারে। দু একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য কতগুলো ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এসেছে। এরকম বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। পয়লা মার্চ ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়। এখন মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৪ জন। সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ভুল ধারণা করছে। বিশেষ করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে সরকার নতুন করে গুরুত্ব দিতে চায় বলেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় এখনও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তরুণ এই প্রতিমন্ত্রীর হাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ন্যস্ত করার ফলে সংকটের সমাধান হয়নি। বরং জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার এখানে একজন পূর্ণমন্ত্রী দিতে পারেন এমন আলোচনা ছিল। এর আগেও মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অবসরে গেছেন এবং নতুন সচিবকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীকে আনা হবে। 

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। সেখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে। একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন বটে। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একজন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানা গেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম নীতির বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটি নিয়ে সামনে বড় ধরনের সমঝোতা এবং সংলাপে বাংলাদেশকে যেতে হবে বলে অনেকেই মনে করেন। এই বাস্তবতায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টিও সরকারি মহলে আলাপ আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। গত কয়েক মাসে তার পারফরম্যান্স অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছে। এ ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকা জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নসরুল হামিদের পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। 

বিভিন্ন মহল বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, একজন ঝানু রাজনীতিবিদকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার রদবদল বা মন্ত্রিসভায় কাউকে অন্তভুর্ক্ত করা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন সেই বিবেচনা অনুযায়ী যে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তভুর্ক্ত করতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন এখনও মন্ত্রিসভা অপূর্ণাঙ্গ। তাই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ যে কোন সময় হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

মন্ত্রিসভা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন