ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তাল হংকংয়ে কেমন আছে বাংলাদেশিরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

বাণিজ্য নগরী হিসেবে পরিচিত হংকং মাস তিনেক ধরে বিক্ষোভের নগরী হয়ে উঠেছে। এ বছরের জুনে প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে বিক্ষোভের শুরু। এখন তা চীনবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা ক্রমশই সহিংস হয়ে উঠছে এবং দেশের স্বাধীনতার দাবি তুলছে।

এগারো সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের প্রভাব হংকংয়ের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে। সেখানকার অর্থনীতির প্রায় ২০ শতাংশ পর্যটন এবং খুচরা ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। এই বিক্ষোভের ফলে এ দুটি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসার কাজে বহু বিদেশি নাগরিক পরিবার পরিজন নিয়েই হংকংয়ে বাস করেন। চলমান পরিস্থিতিতে তারা পড়েছেন বিপাকে। এদের মধ্যে বহু বাঙালীও আছে।

বাংলাদেশি সৈয়দ ইকরাম ইলাহী হংকংয়ের বড় একজন ব্যবসায়ী। হংকংয়ে ২৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, বিক্ষোভের কারণে তার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে হংকংয়ের যে সুনাম ছিল, তা অনেকটাই খর্ব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের বায়াররা স্কেয়ারড (ভীত)। তারা আমাদের ব্যবসা দিতে একটু ভয় পাচ্ছে। তারা দেখেছে, আমাদের এখানে এ রকম সমস্যা চলছে। আমমা মালপত্র ঠিকমতো রফতানি করতে পারব কি-না, সে ব্যাপারে তারা চিন্তিত। ব্যবসায়ীরা যে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন, এই মুহূর্তে তার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান সৈয়দ ইকরাম ইলাহী। কারণ এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তার মতে, বিক্ষোভ দমনে পুলিশ বা হংকং সরকার কোনো কিছুই করতে পারছে না। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই এই আন্দোলনে সায় দিয়েছে। অনেকে প্রতিবাদে নেমেছে। যতদিন পরিস্থিতি শান্ত না হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ থাকবে। শেয়ার সূচকও পড়তির দিকে, যা আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ের আর্থিক খাতের কর্মকর্তা, বিমানবন্দরের কর্মী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মচারীরা এই বিক্ষোভকে সমর্থন করছেন। বিক্ষোভ ও হরতালে যোগ দিয়েছেন তারা। ফলে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য নগরীর ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।

তিনমাস ধরে হংকংয়ে চলা গণতন্ত্রপন্থী এই আন্দোলন দমনের জন্য চীনের হস্তক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্দোলন দমনের পদক্ষেপ নিলে তা চীনের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হংকং সংকট মোকাবিলায় হস্তক্ষেপের জন্য চীন যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া মিলছে। চীন গত কয়েকদিনে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ম ভাষায় মন্তব্য করেছে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে।

হংকংয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সৈয়দ ইকরাম ইলাহীরও ধারণা, চীন কঠোর হাতে এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে না।

বাংলাদেশি গৃহবধূ ফাহমিদা মজুমদার পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে হংকংয়ে থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘হংকং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য তো বটেই, এমনকি বসবাসের জন্যেও শান্তির ও নিরাপদ শহর ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে চলা এই বিক্ষোভ তাকে এবং তার মতো সেখানে বসবাসরত অসংখ্য বাংলাদেশি পরিবারের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। হংকংয়ের এই বিক্ষোভের পরিণতি কী হয়, পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। মা হিসেবে আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। বর্তমানে আমরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার সন্তানদের অনেক বন্ধুবান্ধব হংকংয়ের বাসিন্দা। তারা বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। আমার ছেলেমেয়েরা এই বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়বে কি-না সেটা নিয়ে অবশ্যই উদ্বেগ আছে। চীন যদি হস্তক্ষেপ করে, হংকংয়ের প্রশাসন যদি চীনের হাতে চলে যায়, আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে এসব নিয়ে অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কায় দিন কাটছে।’

বিশ্লেষকদের মতে, চীন যদি হংকংয়ে হস্তক্ষেপ করে, বিক্ষোভকারীদের দমনে সেখানে সেনাবাহিনী নামায়, তাহলে তার জন্য চীনকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং মুক্ত বন্দর এলাকা বলে হংকংয়ের যে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সঙ্গে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। চীনকে আন্তর্জাতিক স্তরে বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। পশ্চিমা দেশগুলো চীনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাববে এবং বিশ্বে চীনের অবস্থান ও দেশটির অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পকে বিদ্রূপ করে যা বললেন বাইডেন

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্রুপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, 'তার ইচ্ছা, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই নিজের শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করুক।' 

করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত জিনিস (ব্লিচ, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল) ব্যবহার করা যেতে পারে। 

টিভিতে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প এই অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।   

ট্রাম্পের করা এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার (১০ মে) বাইডেন এই মন্তব্য করেন। 

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে শুক্রবার সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বাইডেন বলেন, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। জনগণকে বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেন বাইডেন।

নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন ও রিপাবলিক নেতা ট্রাম্পের মধ্যে ব্যাপক বাগযুদ্ধ চলছে। দু'জনই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বাইডেন বলেন, 'মনে আছে, তিনি (ট্রাম্প) বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো কাজটি হল আপনার হাতে ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা ব্লিচ প্রয়োগ করা। তিনি এমনটা বলেছিলেন। আর তিনি এমনটাই ভাবেন। আমার ইচ্ছা, তিনি নিজেই নিজের শরীরে এর কিছুটা প্রয়োগ করবেন।'


ডোনাল্ড ট্রাম্প   মার্কিন প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুর প্রেসিডেন্টের ভাই গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই চাপের মধ্যে রয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর আগে গত মার্চ মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর চাপের মধ্যে থাকা প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের ভাইকে দুর্নীতির নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ভাইয়ের নাম নিকানোর রোলুয়ার্তে এবং প্রসিকিউটররা বলছেন, নিকানোর ঘুষের বিনিময়ে আঞ্চলিক নেতা এবং মেয়রদের তহবিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার বোনের দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন।

যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন নিকানোর রোলুয়ার্তে।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের আইনজীবী মাতেও কাস্তানেদা-সহ আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পেরুর পুলিশ ‘রোলেক্সগেট’ নামে পরিচিত দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাড়িতে অভিযান চালানোর কয়েক সপ্তাহ পর এই পরোয়ানা জারি করা হলো।

গত মার্চ মাসের শেষের দিকে চালানো ওই অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ এক ডজনেরও বেশি রোলেক্স ঘড়ির সন্ধান করে। মূলত বিলাসবহুল এসব ঘড়ি নিজের কাছে আছে বলে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে ঘোষণা করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের বড় ভাই ৬৪ বছর বয়সী নিকানোর বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া প্রসিকিউটররা প্রেসিডেন্টের আইনজীবী মাতেও কাস্তানেদাকে বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। কাস্তানেদা প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেকে দুর্নীতির তদন্তে পরামর্শ দিচ্ছেন।

এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারিকে 'রোলেক্সগেট' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে।

এদিকে বোলুয়ার্তে ও কাস্তানেদা উভয়েরই গ্রেপ্তার এবং তাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযানের চিত্র স্থানীয় টেলিভিশনের ক্যামেরায় উঠে এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পেরুর বিচার বিভাগ বলেছে, তারা ১০ ​​দিনের জন্য নিকানোর বোলুয়ার্তে এবং অন্যান্যদের 'আটকে রাখার' নির্দেশ দিয়েছে।


পেরু   প্রেসিডেন্ট   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হজ যাত্রীদের পরিবহনে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সালেহ আল-জাসের জানিয়েছেন, হজ মৌসুমে যাত্রীদের পরিবহনে উড়ন্ত ট্যাক্সি এবং ড্রোন ব্যবহার করা হবে। আল আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমানে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা চলছে। এক্ষেত্রে হজ মৌসুমে অনেক প্রতিষ্ঠান আমাদের একাধিক পরিবহন সরবরাহ করতে চাচ্ছে।   

তিনি বলেন, আমরা হজ যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করতে চাই এবং এ বছর হজে হাজিদের জন্য উড়ন্ত ট্যাক্সি চালু করা আমাদের জন্য বড় একটি উদ্যোগ। 

এর আগে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স জানিয়েছিল, তারা উড়ন্ত ট্যাক্সির মাধ্যমে কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে হজ যাত্রীদের জেদ্দার বিমানবন্দর এবং মক্কার হোটেলগুলোতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থাটি ১০০টি উড়ন্ত ট্যাক্সি কেনার কথাও জানিয়েছিল।

এদিকে হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে সৌদি আরব। এবার হজ ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। 

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন। যদি কেউ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে তাহলে ভবিষ্যতে সে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি না-ও পেতে পারেন। অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বের করেও দেয়া হতে পারে।

প্রতি বছর মাত্র একবারই মক্কার পবিত্র কাবা শরীফে হজ পালন করা হয়। এ বছর জিলক্বদ মাসের চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে হজ হতে পারে ১৪ জুন।


হজ   যাত্রী   উড়ন্ত ট্যাক্সি   ড্রোন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‌'এমভি আবদুল্লাহ' এখন বাংলাদেশের জলসীমানায়

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়তে যাচ্ছে এমভি আব্দুল্লাহ। 

কুতুবদিয়ায় পৌঁছানোর পর দুই দিন পণ্য খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দরের নোঙরে ভেড়ার কথা রয়েছে; সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।  

২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ এখন বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় প্রবেশ করেছে জানিয়েছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। ১৩ মে বিকাল নাগাদ আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাকি পণ্য খালাস করবে।

এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।

জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর রয়েছে।

জাহাজ চলচাল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিক এর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলঙ্কার কাছেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এর পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয় এটি। 


এমভি আবদুল্লাহ   বাংলাদেশ   জলসীমানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারে আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে তাদের এই আবেদন। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রাফা হলো মিসর সীমান্তে অবস্থিত গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছেন। এত মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করলেও বারবার রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিজের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যামূলক। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জাতি, ও গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানিতে গাজায় গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন আইসিজে।

আইসিজে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল— দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করছে।


ইসরায়েল   আইসিজে   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন