ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘুমন্ত বাবাকে খুন করেও কেন বাহবা পাচ্ছে ৩ বোন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

তিন কিশোরী বোন মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন ঘুমন্ত বাবাকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারও করেছে। অথচ হত্যাকারী এই তিন বোনেরই মুক্তি দাবি করছে লাখ লাখ মানুষ। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এমনটাই ঘটছে। তিন বোনের মুক্তির দাবিতে তিন লাখের বেশি মানুষ আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, বাবার হাতে বহু বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এই তিন বোন। মস্কোতে একটি ফ্ল্যাটে মেয়ে ক্রেস্টিনা (১৯), অ্যাঞ্জেলিনা (১৮) এবং মারিয়ার (১৭) সঙ্গে বসবাস করতেন ৫৭ বছর বয়সী বাবা মিখাইল খাচাতুরইয়ান। ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় মিখাইল একে একে তিনজনকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। ঘরবাড়ি ঠিকঠাক পরিষ্কার না করার জন্য তিনজনের সঙ্গেই তিনি ভীষণ রাগারাগি করেন। শাস্তি হিসেবে তাদের ওপর পিপার গ্যাসও স্প্রে করেন। এর কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে যান মিখাইল। আর তখনই তিন মেয়ে একটি ছুরি, হাতুড়ি এবং পিপার স্প্রে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ঘুমন্ত বাবার ওপর। সব আক্রোশ ঝেড়ে হিংস্রভাবে আঘাত করে হত্যা করেন বাবাকে।

ময়নাতদন্তে, মিখাইলের দেহে ৩০টিরও বেশি ছুরিকাঘাতের ক্ষত পাওয়া যায়। এর মধ্যে মারাত্মক আঘাত ছিল মাথা, ঘাড় ও বুকে। বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তিন বোন মিলে পুলিশকে ফোন করেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আত্মসমর্পণ করেন। এরপর শুরু হয় মামলার তদন্ত। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়নের ইতিহাস।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তিন বছরের বেশি সময় ধরে বাবা মিখাইল খাচাতুরইয়ান তার মেয়েদেরকে মারধর ও নানাভাবে নির্যাতন করতেন। তাদেরকে ঘরে আটকে রাখতেন। এমনকি যৌন নিপীড়নও চালাতেন। তিন মেয়ের কাউকেই লোকজনের সাথে মিশতে দেওয়া হতো না। ফ্ল্যাটের ভেতর আটক অবস্থায় প্রতিনিয়ত নিপীড়নের শিকার হতে হতে তাদের মধ্যে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস সিনড্রোম (পিটিএসডি) দেখা দিয়েছিল।

মিখাইল তার স্ত্রীর ওপরও একইভাবে নির্মম নির্যাতন চালাতেন। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অরেলিয়া ডুনডুক পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। তাকে বাঁচাতে প্রতিবেশীরাও গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে। তারাও মিখাইলকে খুব ভয় পেতেন। কিন্তু কোনোবারই পুলিশ তাদেরকে কোনো সাহায্য করেনি। ২০১৫ সালে অরেলিয়াকে মিখাইল বাসা থেকে বের করে দেন। তারপর থেকে মেয়েদের সঙ্গে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি অরেলিয়া। মেয়েদের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক রাখা তার জন্য নিষিদ্ধ ছিল।

রুশ পুলিশ সাধারণত পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে ‘পারিবারিক বিষয়’ হিসেবে ধরে নেয়। নির্যাতনকারীকে তেমন কোনো শাস্তিই পেতে হয় না। এ কারণেই স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালিয়েও বেঁচে যাচ্ছিলেন মিখাইল। কিন্তু তিন মেয়ের ওপর তার অত্যাচারের ইতিহাস সামনে আসার পর ক্ষেপে ওঠে রাশিয়ার জনগণ। 

ঘটনার প্রথম থেকেই মামলাটি পুরো রাশিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এসব তথ্য প্রকাশের পর মানবাধিকার কর্মীরাও মেয়েদের পক্ষে লেগে যান। তারা যুক্তি দেখান, এই তিন বোন অপরাধী নন, বরং অপরাধের শিকার। নিপীড়ক বাবার কাছ থেকে রেহাই পাবার কোনো উপায় না পেয়ে বছরের পর বছর নির্যাতন সইছিলেন তারা। ঘটনাটা অনুধাবন করতে পেরে রুশবাসী ওই তিন বোনের পক্ষেই দাড়াচ্ছে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের অভিযোগ, অ্যাঞ্জেলিনা হাতুড়ি, মারিয়া ছুরি এবং ক্রেস্টিনা পিপার স্প্রে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বোনকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, হত্যাকাণ্ডটি মূলত আত্মরক্ষার্থে ঘটানো হয়েছে। রাশিয়ার দণ্ডবিধিতে শুধু তাৎক্ষণিক সহিংসতার ক্ষেত্রে আত্মরক্ষা নয়, টানা নির্যাতন বা অপরাধের শিকারের ক্ষেত্রেও পাল্টা হামলাকে আত্মরক্ষা হিসেবে বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জিম্মি অবস্থায় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি নির্যাতনকারীকে হত্যা করলে সেটি ‘আত্মরক্ষার্থে হত্যা’। আর এই আইনের পরিপ্রেক্ষিতেই তিন বোনের আইনজীবী দাবি করছেন, বছরের পর বছর টানা অপরাধের শিকার হয়ে এ কাজ করেছেন তারা। তাই তাদেরকে মুক্তি দেয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত কী ঘটে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন