নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় থাকা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী নেত্রী। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার, জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মের্কেল এবং শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাকেও টপকে গেছেন শেখ হাসিনা। উইকিলিকসের সর্বশেষ গবেষণা মতে, শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের পুনরুত্থান করা সবচেয়ে আইকনিক নেত্রী।
ডেইম পার্লেট লুইজি, গভর্নর জেনারেল অব সেন্ট লুসিয়া কোনো স্টেটের হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী নেত্রী। সে ১৯৯৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ক্ষমতায় বসে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ ক্ষমতা ছাড়েন। ২০ বছর ১০৫ দিন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু তিনি অতটা বিখ্যাত নন বিশ্ব রাজনীতিতে। আঞ্চলিক রাজনীতিবিদ হিসেবেই তিনি পরিচিত ছিলেন।
আইসল্যান্ডের ভিগডিস ফিনভোগাডটির ১৯৮০ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনিও বিশ্ব রাজনীতিতে অতটা পরিচিত মুখ ছিলেন না।
ডোমিনিকার প্রধানমন্ত্রী ডেইম উজনাইন ১৪ বছর ৩২৮ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ২১ জুলাই ১৯৮০ সাল থেকে তিনি ১৪ জুন ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি মেরি ম্যাকক্লে ১৩ বছর ৩৬৪ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ক্ষমতাবান নারী নেত্রী। তিনি ২২ নভেম্বর ২০০৫ সালে ক্ষমতায় বসেন। বর্তমানেও তিনি ক্ষমতায় আছেন। তবে তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ২০২১ সালের পর ক্ষমতায় থাকবেন না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন, ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় আসেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভোট পেয়ে তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী তিনি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ইতিমধ্যে ১৫ বছর ক্ষমতায় রয়েছেন। চতুর্থবার ক্ষমতায় বসে তাঁর একবছর শেষ করলেন সফলতার সঙ্গে। শেখ হাসিনা তাঁর চতুর্থমেয়াদও সফলতার সঙ্গে শেষ করবেন তা হলফ করে বলা যায়। বর্তমান হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নারী নেত্রী। শেখ হাসিনা নানা ইস্যুতে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধানও।
শেখ হাসিনার চেয়ে ক্ষমতায় কম ছিলেন ব্রিট্রেনের মার্গারেট থ্যাচার। তিনি ব্রিটেন শাষণ করেন ১১ বছর ২০৮দিন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন।
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন মেয়াদে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ১১ বছর ৭দিন ক্ষমতায় ছিলেন।
চারজন দীর্ঘমেয়াদি নারী রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর চতুর্থবারের শাষণ আমল সম্পূর্ণ করতে পারলে এই তালিকায় থাকা বিখ্যাত অন্যদের থেকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবেন। যা হয়তো এই প্রজন্মে অন্যদের ছোঁয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।