ইনসাইড পলিটিক্স

ড. কামালকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপিতে বিলীন করার একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাকে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান প্রস্তাব দিয়েছে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে যেন বিএনপি থেকে বিলীন করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, বগুড়া উপনির্বাচনের আগেও জাতীয় ঐক্যফন্টের নেতা মাহামুদুর রহমান মান্নাকে তারেক জিয়া সরাসরি টেলিফোন করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। যদিও তারেক জিয়ার সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করেছিলেন মাহামুদুর রহমান মান্না।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রিটা রহমানকে রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার পিতা মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া ছিলেন বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী। রিটা মূলত বিএনপির জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি অব বাংলাদেশের প্রধান ছিলেন। তবে তিনি নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন তারেক রহমানের অনুরোধেই। তারেক রহমান এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপির সঙ্গে একীভূত করার ফর্মূলা দিয়েছেন বলে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শীর্ষনেতা নিশ্চিত করেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথাও বলছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নাটকীয়ভাবেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে শেষমুহূর্তে বিকল্পধারাকে বাদ দেওয়া হয়। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীও ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে এসে ব্যর্থ হন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবির পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এসময় বিএনপির শীর্ষনেতা ঐক্যফ্রন্ট বিলুপ্ত করে ২০ দলকে শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক দলের সঙ্গে বিএনপির আদর্শের দিক থেকে সাংঘর্ষিক অবস্থান রয়েছে। ড. কামাল আহমেদ সবসময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলেন। এসব বিভিন্ন অভিযোগে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গাটছড়া বাধার ব্যাপারটি বিএনপিতে সমালোচিত হয়। কিন্তু তারপরেও তারেকের আগ্রহেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট টিকে আছে বলে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্তত দুইটি বৈঠকে বিএনপির কেউ উপস্থিত থাকেননি। এরপর ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার কথা বলে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। একটা সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও সরে যান, অন্যান্যরাও নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থাকবে কি থাকবে না এরকম সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সবাইক অবাক করে দিয়ে তারেক জিয়া ঐক্যফ্রন্টকে রেখে বরং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকেই একরকম বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। ২০ দলূীয় জোটের তেমন কোনো কর্মকাণ্ডই এখন আর চোখে পড়ে না আমাদের।

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল আন্দালিব রহমান পার্থসহ একাধিক নেতা ২০ দল থেকে সরে গিয়েছেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েই। এই প্রেক্ষাপটে ২০ দল এখন আছে কি নেই- সে প্রশ্নের উত্তর বিএনপির নেতারাও জানেন না। সম্প্রতি হঠাৎ করেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে চাঙা করার উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছে যে, ড. কামাল হোসেনকে তারেক রহমান ফোন করেছেন। এছাড়াও তিনি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহামুদুর রহমান মান্না এবং আ স ম আবদুর রহমানকে টেলিফোন করেছেন এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপিতে একীভূত করার প্রস্তাব করেছেন। এই প্রস্তাবে তারা তেমন কোনো ইতিবাচক প্রস্তাব দেননি বলেই জানা গেছে। বিএনপির একাধিক নেতা তারপরেও মনে করছেন আস্তে আস্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপিতে একীভূত করলে জাতীয় রাজনীতির জন্য তা হবে ইতিবাচক। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম একজন নেতা তারেক রহমানের এই প্রস্তাবকে হাস্যকর, উদ্ভট বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, লন্ডনে থেকে কর্মহীন এই লোকটি সারাক্ষণ উদ্ভট উদ্ভট চিন্তাভাবনা দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে আজকে বিএনপিকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকেও সেই সঙ্গে একটি সংকটাপন্ন অবস্থায় ফেলেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যেসব নেতাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হযেছে, তাদের অন্তত দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারা এ ধরনের প্রস্তাবে রাজি হওয়াকে অর্থহীন এবং অবাস্তব বলছেন।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন