ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্যাসিনোর পাঁচ স্বর্গরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

যে নেশাটা মানুষকে চুম্বকের মতো টানে সেটা হলো জুয়া। এই জুয়া খেলতেই ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ভিড় জমায় বিশ্বের বেশ কিছু দেশের ক্যাসিনোতে। শুধুমাত্র মনোরঞ্জনের জন্য সেখানে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উড়ায় তারা। এমন কিছু দেশ বা শহর আছে যেগুলো এই ক্যাসিনো ব্যবসার ওপর ভর করেই টিকে আছে। চলুন জেনে নেই এমন কিছু ক্যাসিনো স্বর্গের কথা-

ম্যাকাও


মাত্র ত্রিশ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপ ম্যাকাওয়ের নিজস্ব কোনো উৎপাদন নেই। তবে এটা পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ। খরুচে দেশের তালিকাতেও ম্যাকাওয়ের নাম উপরের দিকেই। ভাবছেন কীভাবে এটা সম্ভব? ম্যাকাওয়ের আয়ের প্রধান উৎস হলো পর্যটন আর জুয়া। গোটা দ্বীপটি জুড়েই আছে অসংখ্য ক্যাসিনো। কোনো বাড়তি কড়াকড়ি ছাড়াই ধনকুবেররা ডলারের বান্ডিল দেখিয়ে ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারেন। 

নিজস্ব মুদ্রাব্যবস্থা, ভাষা এবং সীমানা থাকলেও ম্যাকাও কিন্তু পুরোপুরি স্বাধীন দেশ নয়। সাড়ে চারশ` বছর শাসন করার পর পর্তুগিজরা ১৯৯৯ সালে চীনের কাছে ম্যাকাওকে হস্তান্তর করে। বর্তমানে চীনের `স্পেশাল অ্যাডমিনিসট্রেটিভ রিজিওন` বলা হয় একে। এখানকার বিলাসবহুল হোটেল আর শপিং কমপ্লেক্সগুলোতেও রয়েছে ক্যাসিনো। 

লাস ভেগাস 

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ক্যাসিনোর শহর লাস ভেগাস। এ কারণেই এই শহরের অন্য নাম সিন সিটি বা পাপের শহর। বিশ্বের নামি-দামি সব সেলিব্রেটি আর ধনকুবেররা টাকা ওড়াতে আসে এখানে। মজার ব্যাপার হলো, এই শহরের ফাইভ স্টার হোটেলগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা। হবে নাই বা কেন, এদের মূল ব্যবসা যে ক্যাসিনো! ছোট-বড় সব হোটেলের সঙ্গেই থাকে বিশাল সব ক্যাসিনো। যারাই এখানে থাকতে আসে তারা সখের বশে হলেও ক্যাসিনোতে ঢু মারে। আর একবার ঢুকে পড়লে এখান থেকে বের হওয়াটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। কারণ ক্যাসিনোগুলোতে কোন ঘড়ি বা জানলা থাকে না। অর্থাৎ আপনি বুঝতেই পারবেন না কতটা সময় পার হলো। জুয়া খেলতে বসলে কফি, বিয়ার, মদ সবই ফ্রি! কিন্তু ২০০ ডলারের ফ্রি পেতে গিয়ে অনেকে হাজার হাজার ডলার হারিয়ে বসেন। 

ক্যাসিনোতে জোচ্চুরির অনেক খবর শোনা গেলেও লাস ভেগাসে কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারন বিভিন্ন ধরণের গেমে প্রত্যেক বোর্ডের ওপরই বসানো থাকে ২০-২৫ টা ক্যামেরা। কেউ দুই নম্বরি করে ধরা পড়লেই ২৫ বছরের জেল। 

মোনাকো 

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর বসে মোনাকোর মন্টে কার্লোতে। এ কারণে সারা বিশ্বের ধনীদের কাছেই এটি আকর্ষণীয় একটি জায়গা। পৃথিবীর সব মিলিয়নিয়ার-বিলিয়নিয়াররা এখানে ভিড় জমান। তবে নিজেদের দেশের ক্যাসিনোতে মোনাকোবাসীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। মোনাকোর জলে-স্থলে সর্বত্রই যেন অর্থের ছড়াছড়ি। মন্টে কার্লো ক্যাসিনোয় এক রাতেই লাখ লাখ ডলার উড়ে যায়। এই ক্যাসিনোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠোর। কেউ খেলতে আসার সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে ক্যাসিনোর ডাটাবেসে রাখা হয়। এমনকি পৃথিবীর বড় সব ক্যাসিনোর নিয়মিত জুয়াড়িদের তথ্যও এই ক্যাসিনোর ডাটাবেসে রয়েছে। এখানে প্রতি বছর প্রায় দেড় মিলিয়ন পর্যটকের আগমন ঘটে। এর বেশিরভাগই আসে জুয়ার টানে। 

সিঙ্গাপুর 

সিঙ্গাপুরে ২০০৫ সালে প্রথম ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু হয়। এরপর গত এক যুগে দেশটি জুয়ার স্বর্গে পরিনত হয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্যই মূলত ক্যাসিনো বাড়াচ্ছে সিঙ্গাপুর। স্থানীয়দের ক্যাসিনোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি খরচা করতে হয়। 

নেপাল 

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জুয়ার আসরগুলো বসে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল ক্যাসিনোস, ক্যাসিনো ইন নেপাল, ক্যাসিনো সিয়াংগ্রি, ক্যাসিনো অ্যান্না, ক্যাসিনো এভারেস্ট ও ক্যাসিনো রয়েল এখানকার জনপ্রিয় ক্যাসিনোগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ক্যাসিনোগুলোর আকর্ষনীয় খেলাগুলো হলো পোকার (জুজু খেলা), বাক্কারাট (বাজি ধরে তাস খেলা), রুলেট, পন্টুন, ফ্লাশ, বিট, ডিলার, ব্লাকজ্যাক এবং কার্ডস্লট মেশিনের খেলা। অনেকে এখানে এসে এক রাতেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আবার কেউ কেউ হয়ে যান ভিখিরি। 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার একটি সরকারি বৈঠক শেষে ফেরার পথে তিনি তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। স্লোভাক গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর।

হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দিল জর্ডান

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। 

বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল।

জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।

জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।


ইরান   অস্ত্র   চোরাচালান   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সব সফর স্থগিত করলেন জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের খারকিভে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনারা। এরপর সেখান দিয়ে একের পর এক অঞ্চল দখল করে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে তারা।

এরমধ্যেই নিজের সব আন্তর্জাতিক সফর স্থগিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

বুধবার (১৫ মে) তার দপ্তর থেকে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'আগামী কয়েকদিনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অন্যান্যদের যেসব আন্তর্জাতিক সফর ছিল সেগুলো স্থগিত এবং সফরগুলোর সময় পুনরায় নির্ধারিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কায়রাইলো বুদানোভ সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, খারকিভের সম্মুখভাগের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়েছে। এরপরই জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে খারকিভের রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সেনারা তীব্র হামলার মুখে পড়েছে এবং তাদের আরও সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেন সাধারণত সেনাদের প্রত্যাহার করার সরাসরি ঘোষণা দেয় না। এর বদলে তারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে 'সেনাদের সুবিধাজনক স্থানে' নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

সেনাবাহিনীর এ মুখপাত্র আরও বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন রুশ সেনাদের তারা শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছেন না।

এদিকে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান খারকিভের ভোভচানস্ক এবং লুকিয়ান্তসি থেকে সব মানুষকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার এমন আহ্বানের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সেদিকটায় তড়িৎ গতিতে এগিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনারা।

রুশ বাহিনী খারকিভে কী লক্ষ্য নিয়ে প্রবেশ করছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন তারা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চান। যেন ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতর কোনো ধরনের হামলা না চালাতে পারে।


সফর   স্থগিত   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০ বছর পর ক্ষমতা ছাড়ছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং। 

টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'।

বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।

১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে সিঙ্গাপুর। এরা সবাই দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিপল'স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সদস্য। প্রথমজন লি কিউয়ান ইয়িউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের স্থপতি। বর্তমান বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংয়ের পিতা লি কিউয়ান ইয়িউ টানা ২৫ বছর দেশটির সরকারপ্রধান ছিলেন। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম গোহ চোক তং।

৭২ বছর বয়সী লি সেইন লুং অবশ্য এখনই রাজনীতি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির পর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সদস্য থাকবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের সাংবাদিকদের শেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লি সেইন। সেই সাক্ষাৎকারে এত বছর ধরে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও অন্যদের চেয়ে বেশি গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টা করিনি; বরং চেষ্টা করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে চলতে।’

‘এবং আমি মনে করি, গত ২০ বছরে জাতিগতভাবে আমরা কিছু সাফল্য অর্জন করেছি। তবে এটা আমি স্বীকার করব যে, দুই পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমার কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল।’

১৯৮৪ সালে তরুণ বয়সে সাধারণ কর্মী হিসেবে পিএপিতে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার বাবা লি কিউয়ান ইয়িউ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে বাবা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও সে সময় দল থেকে তেমন কোনো আনুকূল্য পাননি তিনি। আর দশজন সাধারণ কর্মীর মতোই ছিলেন।

লি সেইনের উত্থান ঘটা শুরু হয় দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং’য়ের সময়। গোহ চোক তং’য়ের একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে নিজেকে দলের ভেতর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি এবং তার ধারবাহিকতাতেই ২০০৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন।

প্রথম দিকে অবশ্য লি সেইনকে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রায় সবই ছিল স্বজনপ্রীতিমূলক (নেপোটিজম)। বলা হতো, সিঙ্গাপুর লি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে আর সেই পরিবারের সংরক্ষক হলেন গোহ চোক তং।  

তবে পরবর্তী ২০ বছরে বহুবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্ব সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বহুমুখী এবং বিকশিত হয়েছে, একটি সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দেশটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র এবং ট্যুরিস্টদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে; মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া তার শাসনামলের ২০ বছরে কখনও মূল্যস্ফীতি বা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়নি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও নয়।

ভূরাজনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন লি সেইন। পরস্পরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দুই শক্তিমান দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি।

তবে অন্য সব রাজনীতিবিদের মতো লি সেইনও সমালোচনার ঊর্ধে নন। বিভিন্ন আইনী প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা সীমিত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। এ কারণেও তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল। মূলত তার শাসনামলেই ২০১১ এবং ২০২০ সালের ভোটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিল পিএপি।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড ল’ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও লি সেইনই আসলে সিঙ্গাপুরের জনগণের প্রকৃত নেতা। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।’


ক্ষমতা   সিঙ্গাপুর   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহব্যাপী চলা ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় শনিবার মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি থেকে শীতল লাভা নির্গত হয়েছে। ফলে এর কাছাকাছি অবস্থিত বিভিন্ন জেলার বাড়ি-ঘর, রাস্তা এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহরিয়ানতো বলেন, সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন। তিনি জানিয়েছেন, এখনো ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যেই ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   ভারী বৃষ্টি   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন