নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
শুধু ছাত্রলীগ, যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনকি মন্ত্রী, এমপিদেরও অপকর্মের তদন্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর একটি নিজস্ব টীম এই কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন অপরাধ এবং অনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ২৭জন এমপিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরা দলের জন্য ক্ষতিকর। এমপি হয়ে এরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব টীম দিয়ে এই অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসার পর এমপিদের বিরুদ্ধেও এই ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এই ২৭জন এমপির মধ্যে ঢাকার এমপি অন্তত তিনজন। এদের একজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শ্মশানঘাটের জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। আরেক এমপির বিরুদ্ধে রয়েছে টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের লালন পালনের অভিযোগ। বিভিন্ন সূত্র বলছে, মতিঝিল এলাকায় যেমন যুবলীগের ক্যাসিনোর বিষয়ে সাংসদ রাশেদ খান মেননের সম্মতি ছিল ঠিক তেমনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এমপিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী এমপি যার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দেখা দেয় তাঁকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, যশোর, রাজশাহীসহ অন্তত ১৭টি জেলার ২৭ এমপির বিরুদ্ধে এধরণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী এসব অভিযোগের ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন। তিনি একাধিক শীর্ষ নেতাকে বলেছেন, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ নয় যারাই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এটাও বলেছেন যে, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এমপিদের বিরুদ্ধে নানারকম অবৈধ তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদেরকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সতর্ক করে দিয়েছেন। শেষ সতর্কবার্তা যদি তারা গ্রহণ না করেন সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সংগঠনের নামে কেউ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করলে বা সন্ত্রাসীকে লালন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউন্সিলের আগে দলের একটি ক্লিন ইমেজ আওয়ামী লীগ সভাপতি তৈরি করতে চান। এই ক্লিন ইমেজের অংশ হিসেবেই তিনি এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দলের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।