ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এই বয়সেও দিনে ১৮ ঘন্টা কাজ করেন মাহাথির!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক রাষ্ট্রপ্রধান কে জানেন? নিশ্চয়ই জানেন তিনি মাহাথির মোহাম্মদ। গতবছর তিনি ফের মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৯৪ বছর। এই বয়সেও প্রতিদিন গড়ে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন বলে সম্প্রতি তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। গতবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে চার দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘পাকাতান হারাপান’ জোটের প্রধান নির্বাচিত হন তিনি। এই জোটের অন্য আরেকটি দল ছিল আনোয়ার ইব্রাহিমের ‘পার্টি কেয়াদিলান রাকায়াত’।

আনোয়ার ইব্রাহিম একসময় মাহাথির সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাহাথিরই তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। প্রায় ছয়বছর কারাভোগ করেন তিনি।

এরপর ২০১৫ সালে একই অভিযোগে আনোয়ার ইব্রাহিমকে আবারও কারাগারে পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

২০১৮ সালে মাহাথির ক্ষমতা গ্রহণের পর ছাড়া পান আনোয়ার। নির্বাচনের আগে আনোয়ারের দলের সঙ্গে মিলে জোট গঠন করেছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। আনোয়ার কারাগারে থাকায় নির্বাচনে জোট জয় পেলে মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে একটি অনানুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছিল। কথা ছিল মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হলে আনোয়ারকে মুক্ত করবেন এবং দুই বছর পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

গত মাসের ১৮ তারিখ এক সাক্ষাৎকারে আনোয়ার ইব্রাহিম আগামী মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। তবে আনোয়ারের এই বক্তব্যের সপ্তাহখানেক পর ‘ইউএস কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’-এর এক অনুষ্ঠানে মাহাথির আরও তিন বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করে অন্য প্রার্থীর জন্য রাস্তা তৈরির অঙ্গীকার করছি আমি। ফলে আমার হাতে হয়ত সর্বোচ্চ তিন বছর সময় আছে। তাই আমি দিনে ১৮ ঘণ্টা করে কাজ করছি। কারণ আমার বেশি সময় নেই। এখনো অনেক কাজ বাকি।’ মালয়েশিয়ার পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৩ সালে।

ওদিকে, আনোয়ার ও মাহাথিরের এমন বক্তব্যের পর তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দেশ ভারত

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২২ সালে ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। যার ফলে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দেশটি। 

মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। এই প্রতিবেদন থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়কারী দেশ ছিল ভারত।  শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে- যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের রেমিট্যান্স আয় বছর বছর বেড়েই চলছে। ২০১০ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আয় ছিল ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই আয় দাঁড়ায় ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলারে।

২০২০ সালে আয় আরও বেড়ে হয় ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে দেশটির রেমিট্যান্স আয় ছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স গ্রহণে ২০২২ সালে বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ছিল ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে আরও বলা হয়, ভারতের এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১.৩ শতাংশ প্রবাসী।

এর ফলে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমিক সরবরাহকারী দেশ। দেশটির সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ভারত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ২৩.৪ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১৮ শতাংশ আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৬.৮ শতাংশ আসে যুক্তরাজ্য থেকে, চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.৭ শতাংশ আসে সিঙ্গাপুর থেকে এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.১ শতাংশ আসে সৌদি আরব থেকে। 


রেমিট্যান্স   ভারত   আইওএম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও তিন দেশে সৌদির ই-ভিসা পদ্ধতি চালু

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ডিসেম্বরে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করে সৌদি আরব। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশকে ই-ভিসার অন্তর্ভুক্ত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশিদের জন্য সৌদির এই ডিজিটাল ভিসা চালু হয় চলতি মাসের শুরুতে। এবার আরও ৩টি দেশকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের তিন দেশ বার্বাডোজ, বাহামাস ও গ্রেনাডাকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ৬৩ টি দেশকে ই-ভিসা সুবিধার আওতায় এনেছিল সৌদি আরব। ই-ভিসা সুবিধার আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকরা অনলাইনে সহজেই সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরের মতো প্রবেশপথগুলো থেকেই এই ভিসাসংক্রান্ত সব সুবিধা নিতে পারেন।

নতুন এই সুবিধা চালুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য সৌদি আরবের পর্যটক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপসাগরীয় জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরাও এই ই-ভিসা সেবা নিতে পারবেন। এই ভিসার আওতায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর বাসিন্দারা সৌদি আরবে পর্যটন, ওমরাহ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুবিধা পেয়ে আসছেন।

এর বাইরে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের যাত্রীদের জন্য ট্রানজিট ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব সরকার। এই ক্ষণকালীন ভিসার সাহায্যে এই সংস্থা দুটির যাত্রীরা চাইলে সৌদি আরবে ৯৬ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করতে পারবেন।


ই-ভিসা   সৌদি আরব   মধ্যপ্রাচ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলজিয়ামে শিশুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আরেক শিশু

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেলজিয়ামে ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ করেছে কয়েকজন ছেলে শিশু। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ বছর।

বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস টাইমস জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে জড়িত ছিল মোট ১০ শিশু। যাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। তারা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত তিনবার নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য মেয়ে শিশুটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটি চলার সময় শিশুটির এক ছেলে বন্ধুর বন্ধুরা তাকে লোভ দেখিয়ে বনের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তার একাধিক বন্ধু তাকে নির্যাতন করে। মেয়েটির ছেলে বন্ধুটি এতে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়ে শিশুটিকে দুইদিন সেখানে আটকে রাখা হয়। নির্যাতনকারী শিশুরা নিজেদের স্মার্টফোনে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করে।

বেলজিয়ামের অপর সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাড জানিয়েছে, ছেলে শিশুদের দলটির সবাই কম বা বেশি এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউই এই নির্যাতন থামানোর কথা বলেনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত শিশুরা অভিবাসীদের সন্তান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর চারজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।  

ওয়েস্ট ফ্লেমিসের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, সবচেয়ে কম বয়সী অভিযুক্তের বয়স ১১ বছর। যেহেতু অভিযুক্তরা খুবই কম বয়সী। তাই আমরা খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করছি না। তবে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এখন তদন্ত করা হবে অভিযুক্ত শিশুরা কতটা নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া আশপাশের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে।


বেলজিয়াম   শিশু   সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   শিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকিৎসার অভাবে গাজাবাসীর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চিকিৎসার অভাবে সাধারণ মানুষের ধীর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় আহতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় গাজার ভেতরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা।

এ ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আহত এবং অসুস্থরা ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করছেন। কারণ এখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই এবং তাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগও নেই। গাজার একমাত্র ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গেছে।'

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, 'ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং আহত ও অসুস্থদের বাঁচানোর জন্য, সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য এবং হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পৌঁছতে দেওয়ার জন্য আমরা একটি দ্রুত ও মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।'

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাধে। সাত মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ।


চিকিৎসা   গাজা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'ইসরায়েলগামী' ৩ জাহাজে হুথির ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি জানিয়েছে, এডেন উপসাগরে দুটি ও ভারত মহাসাগরে একটি ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলার দাবি। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এই দাবি করেন।

ইয়াহিয়া সারি জানান, এডেন উপসাগরে 'এমএসসি দিয়েগো' ও 'এমএসসি গিনা' নামক দুটি পণ্যবাহী জাহাজে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত মহাসাগরে 'এমএসসি ভিট্টোরিয়া' নামক আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তিনটি জাহাজ-ই ইসরায়েলে যাচ্ছিল বলে দাবি হুথির। 

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৭ মে) দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তবে এতে জাহাজগুলোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ও ক্রুরা সবাই অক্ষত রয়েছেন।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার শিকার দুটি জাহাজ ছিল পানামার পতাকাবাহী, যারা সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানির জন্য কাজ করছে।

চলতি বছরের ৩ মে ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা দেন হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি। এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইসরায়েলি বন্দরের দিকে যাওয়া যেকোনো জাহাজ আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। আর সম্প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে এই ঘোষণা কার্যকর হবে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী ও এডেন উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ শিপিং চ্যানেলে ইসরায়েলগামী জাহাজে লক্ষ্য করে বারবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে। মূলত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এই হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। 

তাদের হামলার কারণে বেশ কয়েকটি বড় শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। এসব জাহাজ এখন আফ্রিকা ঘুরে কয়েক হাজার মাইল পথ অতিরিক্ত পাড়ি দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করছে। এর ফলে পণ্য পরিবহনের খরচ যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য।


ইসরায়েল   জাহাজ   হুথি   ড্রোন   হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন