নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি বেবি ট্যালকম পাউডারে ক্যানসার সহায়ক অ্যাসবেস্টসের সন্ধান মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমীক্ষার এই বিষয়টি সামনে আসার পরই বেবি পাউডারের কৌটা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে কোম্পানিটি।
মার্কিন স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, এই প্রথম জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গেছে। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
তবে পাউডারে অ্যাসবেস্টসের মাত্র অনে কম হলেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কারণ অ্যাসবেস্টসের গুঁড়া শিশুদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই স্বাস্থ্য সংস্থার আদেশ জারি করার পরই বাজার থেকে ৩৩ হাজার বেবি পাউডারের কৌটা বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়।
এদিকে বহুজাতিক কম্পানিটির তরফ থেকে পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, কঠোর মান যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যে, জেএনজের কসমেটিক ট্যাল্ক নিরাপদ। বছরের পর বছর নিজেদের ও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিন্সট্রেশন’র (এফডিএ) পরীক্ষায় আমাদের পাউডারে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এমনকি এফডিএ গত মাসের পরীক্ষাতেও এমন কিছু খুঁজে পায়নি। গত ৪০ বছরে একের পর এক হাজার হাজার পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের ট্যাল্ক পণ্যে অ্যাসবেস্টস নেই।
মেডিক্যাল গবেষণা অনুসারে দীর্ঘকাল অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে মেসোথেলিওমা ও ফুসফুস ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে। এদিকে বেবিপাউডারে অ্যাসবেস্টসের অভিযোগ উঠার পর থেকেই শেয়ারবাজারে জনসন অ্যান্ড জনসনের স্টকে ৬ শতাংশ দরপতন হয়।
তবে জনসন অ্যান্ড জনসন পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। জনসনের মনোরোগ ওষুধ ‘রিসপেরডাল’ সেবনের ফলে এক যুবককে স্তনবৃদ্ধির মামলায় হেরে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ বিলিয়ন ডলার নির্দেশ দিয়েছে পেনসিলভেনিয়ার একটি আদালত।
এসবের বাইরে আশঙ্কাজনক হারে আফিম জাতীয় ওষুধে আসক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারেও এ জেএনজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এসব নিষ্পত্তিতে শত শত কোটি ডলার ব্যয়ভার বহন করতে হতে পারে এ কোম্পানিকে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।